Ajker Patrika

উচ্ছেদ অভিযানে রোষানলে সওজ, নানা অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩৬
উচ্ছেদ অভিযানে রোষানলে  সওজ, নানা অভিযোগ

‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই দেখি, আমার দোকান ভাঙা শেষ। সেখানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মেশিনারি পার্টস ছিল’ জানালেন ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক। এমন অভিযোগ শেরপুরের শত ব্যবসায়ীর। বগুড়ার শেরপুরে ধুনট মোড় থেকে রণবীরবালা পর্যন্ত সওজের উচ্ছেদ অভিযানে এমন অভিযোগই পাওয়া গেছে।

সওজের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্য সঙ্গে নিয়ে গতকাল সকাল নয়টায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন। শুরুতে তাঁরা জনতার রোষানলে পড়েন। এতে দুই ঘণ্টা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকে। পরে সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান মিঞা ঘটনাস্থলে গেলে পুনরায় অভিযান শুরু করেন।

ব্যবসায়ীরা ও স্থাপনার মালিকেরা জানান, বগুড়ার শেরপুরে ধুনট রোড থেকে কাজীপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ আগে থেকেই সীমানা নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী তারা ছয় মাস আগে আরসিসি ড্রেনও নির্মাণ করে। কিন্তু মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই দুই সপ্তাহ আগে রাস্তার দক্ষিণ পাশে নতুন করে সীমানা চিহ্নিত করা হয়। তার ভিত্তিতেই গতকাল মঙ্গলবার সওজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, উচ্ছেদ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই তাঁদের লিখিত কোনো নোটিশ দেয়নি। শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং মাইকিং করেই দায় সেরেছে।

উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পর্কে সওজের বগুড়া জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মাইকিং করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সময়মতো স্থাপনা সরিয়ে না ফেললে ১৪ ডিসেম্বর অভিযানের মাধ্যমে তা ভেঙে ফেলা হবে।

তবে লাল কালিতে চিহ্নিত অংশের বাইরেও অনেক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কীটনাশক ব্যবসায়ী তবিবর রহমান বলেন, ‘আমার দোকান লাল চিহ্নের প্রায় দুই ফুট বাইরে। তারা অন্যায়ভাবে দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’

রাস্তার জায়গা অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় একটি স্থাপনার মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘রাস্তার সেন্টার পয়েন্ট থেকে দুই পাশেই সমানভাবে জায়গা নেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে কয়েক দফায় দক্ষিণ পাশ থেকে একতরফাভাবে জায়গা নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে র‍্যাব ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখানো হয়। ‘এ বিষয়ে তিনি সওজের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। এ ছাড়া লাল দাগ থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির স্থাপনা এখনো অক্ষত রাখা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি সেক্রেটারি কামরুজ্জামান মিঞা বলেন, ‘আমরা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এর আগে লিখিত নোটিশ দিয়েছি, তিন দিন মাইকিং করেছি। আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এতে কোনো পক্ষপাতের সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত