Ajker Patrika

প্রচারে মুখর বাসাইল

শহিদুল ইসলাম, বাসাইল
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৪
প্রচারে মুখর বাসাইল

বাসাইল উপজেলার ছয়টি ইউপির মধ্যে চারটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। নির্বাচন ঘিরে শেষ সময়ের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকেরা। প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনী আলাপ-আলোচনায় সরগরম পাড়া-মহল্লা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে উপজেলার অলিগলি। এ ছাড়া ডিজিটাল অডিও প্রাচারসহ মিছিল-মিটিং, পথসভা, উঠান বৈঠকে গণসংযোগ চলছে অবিরাম। চলছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। প্রার্থী-সমর্থক ছাড়াও হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আড্ডা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাঞ্চনপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, হাবলা ইউপিতে পাঁচজন, ফুলকি ইউপিতে সাতজন ও কাউলজানী ইউপিতে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৫৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে চার ইউপির মধ্যে দুটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে চার ইউপিতেই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় প্রতিটি ইউপিতেই নৌকার প্রার্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ফুলকি ইউপির বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী নামে এক ভোটার বলেন, ‘আমরা এমন একজন চেয়ারম্যান চাই যিনি সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন করবেন। ইউনিয়নের সব প্রকল্প ব্যয় উন্মুক্ত ও জবাবদিহিমূলক পরিষদ গঠন করবেন।’

কাউলজানী ইউপির ফন্নু মিয়া বলেন, ‘সৎ ও যোগ্য যিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করবে, গরিব-দুঃখীর কল্যাণে পাশে থাকবেন, এমন প্রার্থীকে ভোট দেব।’

কাঞ্চনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন অর রশিদ (আনারস প্রতীক) বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। এবারও জনগণের ইচ্ছাতেই প্রার্থী হয়েছি।’

ওই ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন মুখ শামীম আল মামুন (চশমা প্রতীক) বলেন, ‘এলাকাবাসীর দোয়া ও ভালোবাসা পুঁজি করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’

হাবলা ইউপির আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি দুবার এই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি নির্বাচিত হলে হাবলা ইউপিকে মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করব।’

উপজেলার ফুলকি ও কাউলজানী ইউপি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া দুই প্রার্থী করিম তালুকদার ও আতাউল গনী হাবিব বলেন, তৃণমূলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তাঁরা নির্বাচিত হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। আর ভোটাররা বলছেন এ দুই ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে অজানা এক আতঙ্ক কাজ করছে। তাঁরা কেউ কেউ দলীয় প্রার্থীর লোকজনের প্রভাব ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আতঙ্কিত।

নির্বাচন প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনি শংকর রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রচার চালাতে প্রার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত