Ajker Patrika

কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ০৪
কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ছয় দফা দাবি দুই-এক দিনের মধ্যে মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা টানা তৃতীয় দিনের মতো যশোর কালেক্টরেট (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) চত্বরে অবস্থান নেন।

জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্তরা এ দিনও আবস্থান নিয়ে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

টানা অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মনিরামপুরের কুশখালী এলাকার ৭০ বছর বয়সী সুলপান গোলদার বলেন, ‘আমার ৯ জনের সংসার। দুই ছেলে পরের জমিতে কাজ করত।

এখন তাঁরা বাইরের জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করছে। ঘরে-বাইরে পানি। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

সমস্যা সমাধানের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন কুলটিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব রাশিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘ঘর-বাড়ি-রান্নাঘরে পানি থই থই করছে।

আমাদের এলাকায় পানিতে ডুবে চার শিশু মারাও গেছে। এইরকম অবস্থায় মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পানি সরানোর এই দাবিতে আমরা ডিসি অফিসে আসছি।’

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির মনোহরপুর আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় রয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন-নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্তু আমরা দেখছি, এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি জল নিষ্কাশনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি টিআরএম (জোয়ারাধার) প্রকল্প বাদ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী হত্যার জন্য সেচ প্রকল্প চালু করেছে। আমরা অবিলম্বে এই সেচ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি।’

আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে জাতীয় কর্মশালায় গৃহীত ৯৬ শতাংশ মানুষের দাবি ছিল, বলি কপালিয়া টিআরএম চালুর। কিন্তু সেই দাবি অগ্রাহ্য করে পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) নদীকে হত্যা করতে সেচ প্রকল্প চালু করেছে।’

শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২-১ দিনের মধ্যে আমাদের প্রাণের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খানসহ সংগঠনটির নেতারা গণসংগীত পরিবেশন করেন।

সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস বলেন, ‘এই সেচ প্রকল্প ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনে তেমন কোনো কাজে আসবে না। একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে টিআরএম চালু এবংমাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করা হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতেও প্রশ্ন তোলা যাবে না

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত