Ajker Patrika

বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের মনে করেন লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের মনে করেন লিটন

বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় গতকাল দিনের অনুশীলন বাতিলই করে দিল বাংলাদেশ দল। দলের অনুশীলন না থাকলেও লিটন দাসকে ঠিকই আসতে হয়েছে মাঠে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী তিনি এলেন সংবাদ সম্মেলনে। কারণ, তিনি এবার বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। দায়িত্বটা যতই সাময়িক হোক, লিটন এটা নিশ্চয়ই বুঝেছেন, অধিনায়ক হলে পালন করতে হয় কত বাড়তি দায়িত্ব।

৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে উত্থান-পতনের সবই দেখেছেন লিটন। তবে টেস্টে তাঁকে কঠিন সময় কমই দেখতে হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লায় ৪৪ রানের ইনিংসের পর টেস্ট ক্রিকেটে লিটনের পথচলাটা মসৃণই বলা যায়। লিটনের ব্যাটিং মাধুর্যের বেশির ভাগ অভিজাত এই সংস্করণে প্রকাশ পেয়েছে বললেও খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। টেস্ট নিয়ে লিটনের বাড়তি আবেগের এটা একটা কারণ হতে পারে।

টেস্ট ক্রিকেটের আভিজাত্য তিনি মনেপ্রাণে লালন করেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সামনে রেখে গতকাল লিটনের সংবাদ সম্মেলনে এই আবেগ ধরা দিল নতুন রূপে। ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার এলেন সংবাদ সম্মেলনে। ৮ বছরে নিজের ৩৯তম টেস্টে এসে পেতে যাচ্ছেন ভিন্ন এক স্বাদ। দেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ‘অভিষেক’ হতে যাচ্ছে লিটনের। তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্ব করা তিনি বাংলাদেশের পঞ্চম অধিনায়ক।

অধিনায়কত্ব পাওয়ার অনুভূতি লিটনের কাছে ‘বিশেষ কিছু না’ না হলেও এটা অবশ্য বললেন, ‘একটা ভালো লাগার ব্যাপার তো কাজ করে। টেস্ট ক্রিকেটকে সবাই প্রাধান্য দেয়। টেস্ট ক্রিকেটার হওয়াটাই অনেক বড় বিষয়। এর মধ্যে দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করা, এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়।’

বিশেষ অনুভূতি অনুভব করতে লিটন একটু অপেক্ষা করছেন। সেটা হতে পারে আগামীকাল সকালে, যখন তিনি অধিনায়কের ব্লেজার পরে টস করতে নামবেন। লিটন বললেন, ‘দেখা যাক, টস করতে গেলে অনুভূতিটা যদি আসে।’ অনুভূতির সরাসরি প্রকাশ লিটন করেননি, তা ঠিক। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেশ কয়বার বুকে হাত ঠেকালেন। আট বছর আগে ফতুল্লায় সেই শুরু। এরপর দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এখন তিনি অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের পথচলা নিয়ে লিটন বললেন, ‘উত্থান-পতন ছিল। আমার বিশ্বাস সামনেও থাকবে। আপনি যদি ব্যর্থ না হন, তাহলে শিখতে পারবেন না। টেস্ট ক্রিকেট একটা গর্বের বিষয়। দেশের হয়ে খেলাই বড় কিছু, সেখানে অধিনায়কত্ব! ব্যক্তিগত লক্ষ্য অনেক বড় কিছুর আর অধিনায়কত্বে আমি আমার শতভাগ দিতে চেষ্টা করব।’ 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত একমাত্র টেস্টের অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বাংলাদেশের। দুই দলের দ্বিতীয় লড়াইয়ের আগে ঘুরেফিরে আসছে ২০১৯ সালের চট্টগ্রাম টেস্ট হার। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন লিটন। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘ওটা অতীত হয়ে গেছে অনেক আগেই। আর অতীত নিয়ে এত চিন্তিত না। এসব নিয়ে খুব একটা ভাবিও না। যেহেতু নতুন খেলা, নতুন চ্যালেঞ্জ—এটা নিয়েই এখন আমাদের প্রস্তুতি।’

টেস্টের এক দিন আগেও মিরপুরের উইকেট আর মাঠ আলাদা করা কঠিন ছিল। ম্যাচের আগে ঘাস আরও কাটলেও সবুজের আভা থাকবে নিশ্চিত। ১৫ জনের দলে ৫ পেসার রেখেছে বাংলাদেশ। এবার আফগানদের যে পেসশক্তি দেখাতে চান লিটনেরা, এতেই পরিষ্কার। গতকাল অধিনায়কের কথাতেও ইঙ্গিত থাকল একাদশে তিন পেসার থাকার, ‘যখন ঘাসের উইকেটে খেলবেন, দুইয়ের বেশি পেসার খেলানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।’ সবুজ উইকেট হলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জও অজানা নয় লিটনের। অধিনায়ক বলছেন, ‘মিরপুরে যখন খেলা হয়, তখন স্পিন উইকেটেই খেলা হয়। আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাই যে ঘাসের উইকেটে কীভাবে খেলি। এটাই দেখার বিষয় আমরা কীভাবে এখানে টিকে থেকে বড় স্কোর করতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত