সাইফুল মাসুম, ঢাকা
কেউ বিক্রি করছেন প্রসাধনসামগ্রী, কেউ গৃহস্থালি পণ্য, আবার কেউ বিক্রি করছেন জুতা, শিশুদের পোশাক। ‘যেইটা নেন, এক শ; বাইচ্ছা লন, এক শ; এক দাম, এক শ’—এমন হাঁকডাকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত হকাররা। ক্রেতা-বিক্রেতার পাশাপাশি পথচারীদের চলাচলেও বেশ সরগরম জায়গাটি। অথচ নিউ মার্কেটের চার নম্বর গেটের সামনে থাকা ওভারব্রিজটিকে ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মাসখানেক আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ওভারব্রিজে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছে। তাতে লেখা, ‘ফুটওভারব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ; সর্বসাধারণের ফুটওভারব্রিজের ওপরে ওঠা নিষেধ; আদেশক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’। কিন্তু কে শুনে কার কথা! হকার, ক্রেতা, পথচারী সবাই যেন উদাসীন। সিটি করপোরেশনেরও যেন নোটিশ ঝুলিয়ে দায় শেষ। ঝুঁকি বন্ধে এখনো নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এমনকি হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশির দশকে তৈরি করা ফুটওভারব্রিজটি অনেকটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে ওঠে গেছে পলেস্তারা। কিছু অংশে বেরিয়ে পড়েছে জং ধরা রড। আর ক্ষয়ে গেছে ওঠানামার সিঁড়ির অংশে লাগানো লোহার পাত। কোনো কোনো অংশে ভেঙে পড়েছে সিঁড়ির পাত। এমন পরিবেশেই অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন অন্তত ৪০ জন হকার। দিনজুড়েই থাকছে ক্রেতার উপস্থিতি। এ ছাড়া পথচারী তো রয়েছেই। ওভারব্রিজটিতে গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করেন মো. সিফাত। মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করেন হকার নোমান মিয়া। তাঁরা জানান, সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেখেছেন। কিন্তু কেউ তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করতে বলেনি। আর অনেক বছর ধরে এই ওভারব্রিজে ব্যবসা করেন বলে তাঁরা কাউকে ভয়ও পান না।
ভারী ব্যাগ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ওভারব্রিজ পার হচ্ছিলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী সাজেদা বেগম। তিনি বলেন, ‘আসলে সাইনবোর্ডটি আমার চোখে পড়েনি। তবে ওপরে ওঠে বুঝতে পারলাম, ওভারব্রিজটি নড়বড়ে।’ ফুটওভারব্রিজের ওপরে কথা হলে আরেক পথচারী রুবেল বলেন, ‘ভয়ের কী আছে! সব মানুষ পড়ে মরলে, আমরা মরমু। দশের লগে মরাও ভালো।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সরগরম থাকে এই ফুটওভারব্রিজ। নোটিশ দেওয়ার পর এক দিনের জন্যও থামেনি এই কর্মযজ্ঞ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হকার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভারব্রিজটিতে দোকান বসানোর জন্য প্রত্যেককে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আর এই টাকার সমন্বয় করেন ওভারব্রিজের লাইনম্যান মিজান মিয়া। সে হিসেবে ৪০ জন হকার থেকে প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় আট হাজার টাকা। মাসে যা দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এভাবে বছরে প্রায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে ব্রিজটি থেকে। লাইনম্যান মিজান মিয়া জানান, তিনি ছয় বছর ধরে এ ওভারব্রিজে পাপোশ বিক্রি করেন। ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ডের বিষয়ে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, এমন সাইনবোর্ড আগেও লাগাইছে। কীসের জন্য লাগায়, কীসের জন্য খুইল্লা নেয়, এগুলো জানি না।’ হকারি করার জন্য কাউকে চাঁদা দিতে হয় কি না, জানতে চাইলে মিজান বলেন, ‘ব্যবসা করতে হলে তো কিছু দিতে হয়ই।’
ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, প্রকৌশলগত দিক বিবেচনা করে ডিএসসিসির আঞ্চলিক কমিটি তা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এক মাস আগে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে এ-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির কাছে সুপারিশও পেশ করা হয়েছে।
কারিগরি কমিটির প্রধান ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। যেকোনো সময় এখানে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। সাইনবোর্ড দিলেও কেউ তোয়াক্কা করছেন না। আগামী সপ্তাহেই এটা ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। লোহার রড দিয়ে আপাতত যাতায়াত বন্ধ করে দেব।’
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে অত্যাধুনিক ওভারব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নান্দনিকতার বিষয়েও আমাদের চিন্তা আছে।’
কেউ বিক্রি করছেন প্রসাধনসামগ্রী, কেউ গৃহস্থালি পণ্য, আবার কেউ বিক্রি করছেন জুতা, শিশুদের পোশাক। ‘যেইটা নেন, এক শ; বাইচ্ছা লন, এক শ; এক দাম, এক শ’—এমন হাঁকডাকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত হকাররা। ক্রেতা-বিক্রেতার পাশাপাশি পথচারীদের চলাচলেও বেশ সরগরম জায়গাটি। অথচ নিউ মার্কেটের চার নম্বর গেটের সামনে থাকা ওভারব্রিজটিকে ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মাসখানেক আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ওভারব্রিজে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ডও টাঙিয়েছে। তাতে লেখা, ‘ফুটওভারব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ; সর্বসাধারণের ফুটওভারব্রিজের ওপরে ওঠা নিষেধ; আদেশক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’। কিন্তু কে শুনে কার কথা! হকার, ক্রেতা, পথচারী সবাই যেন উদাসীন। সিটি করপোরেশনেরও যেন নোটিশ ঝুলিয়ে দায় শেষ। ঝুঁকি বন্ধে এখনো নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এমনকি হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশির দশকে তৈরি করা ফুটওভারব্রিজটি অনেকটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে ওঠে গেছে পলেস্তারা। কিছু অংশে বেরিয়ে পড়েছে জং ধরা রড। আর ক্ষয়ে গেছে ওঠানামার সিঁড়ির অংশে লাগানো লোহার পাত। কোনো কোনো অংশে ভেঙে পড়েছে সিঁড়ির পাত। এমন পরিবেশেই অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন অন্তত ৪০ জন হকার। দিনজুড়েই থাকছে ক্রেতার উপস্থিতি। এ ছাড়া পথচারী তো রয়েছেই। ওভারব্রিজটিতে গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করেন মো. সিফাত। মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী বিক্রি করেন হকার নোমান মিয়া। তাঁরা জানান, সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেখেছেন। কিন্তু কেউ তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করতে বলেনি। আর অনেক বছর ধরে এই ওভারব্রিজে ব্যবসা করেন বলে তাঁরা কাউকে ভয়ও পান না।
ভারী ব্যাগ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ওভারব্রিজ পার হচ্ছিলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী সাজেদা বেগম। তিনি বলেন, ‘আসলে সাইনবোর্ডটি আমার চোখে পড়েনি। তবে ওপরে ওঠে বুঝতে পারলাম, ওভারব্রিজটি নড়বড়ে।’ ফুটওভারব্রিজের ওপরে কথা হলে আরেক পথচারী রুবেল বলেন, ‘ভয়ের কী আছে! সব মানুষ পড়ে মরলে, আমরা মরমু। দশের লগে মরাও ভালো।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সরগরম থাকে এই ফুটওভারব্রিজ। নোটিশ দেওয়ার পর এক দিনের জন্যও থামেনি এই কর্মযজ্ঞ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক হকার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ফুটওভারব্রিজটিতে দোকান বসানোর জন্য প্রত্যেককে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আর এই টাকার সমন্বয় করেন ওভারব্রিজের লাইনম্যান মিজান মিয়া। সে হিসেবে ৪০ জন হকার থেকে প্রতিদিন চাঁদা ওঠে প্রায় আট হাজার টাকা। মাসে যা দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এভাবে বছরে প্রায় ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে ব্রিজটি থেকে। লাইনম্যান মিজান মিয়া জানান, তিনি ছয় বছর ধরে এ ওভারব্রিজে পাপোশ বিক্রি করেন। ঝুঁকিপূর্ণ লেখা সাইনবোর্ডের বিষয়ে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, এমন সাইনবোর্ড আগেও লাগাইছে। কীসের জন্য লাগায়, কীসের জন্য খুইল্লা নেয়, এগুলো জানি না।’ হকারি করার জন্য কাউকে চাঁদা দিতে হয় কি না, জানতে চাইলে মিজান বলেন, ‘ব্যবসা করতে হলে তো কিছু দিতে হয়ই।’
ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, প্রকৌশলগত দিক বিবেচনা করে ডিএসসিসির আঞ্চলিক কমিটি তা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এক মাস আগে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে এ-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির কাছে সুপারিশও পেশ করা হয়েছে।
কারিগরি কমিটির প্রধান ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন। যেকোনো সময় এখানে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। সাইনবোর্ড দিলেও কেউ তোয়াক্কা করছেন না। আগামী সপ্তাহেই এটা ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। লোহার রড দিয়ে আপাতত যাতায়াত বন্ধ করে দেব।’
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে অত্যাধুনিক ওভারব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নান্দনিকতার বিষয়েও আমাদের চিন্তা আছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫