আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
বিচারিক আদালতের কেস ডকেট (সিডি) বা বিচারাধীন মামলার যাবতীয় নথি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় পুলিশ। তাদের দাবি, সিডি হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কৌঁসুলিরা এর সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, বিচারাধীন মামলার নথি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশ অবশ্য বলছে, সিডি নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়; বরং সুব্যবস্থাপনার জন্য এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি পরিচালনার দায়িত্ব যাদের কাছেই থাকুক না কেন, তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা দরকার।
২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের কাছে থাকছে সিডি (মামলার সূচিপত্র, মানচিত্রসহ যাবতীয় নথি)। এর আগে তা পুলিশের হেফাজতে থাকত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব নিয়মকানুন অনুসরণ করেই সিডি সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবস্থাপনায় কোথাও কোনো ত্রুটি আছে বলে আমার জানা নেই।’
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলার সাক্ষ্যপর্যায়ে সাক্ষীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিডির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশকে সিডি দেওয়া হয় না। ফলে সাক্ষীকে প্রস্তুতি ছাড়াই উপস্থাপন করতে হয়। এ ছাড়া মামলার সিডি গায়েব হওয়ারও নজির আছে। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সিডি ২০২২ সালে পাওয়া যাচ্ছিল না। একই বছর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ মাদক মামলার ডকেট গায়েব হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
তাপস কুমার পালের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তারা এত বেশি মামলার তদন্ত করেন যে পুরোনো মামলার ঘটনা তাঁরা ভুলে যান। কোন মামলা কোথায় বিচারাধীন, তার কোনো খোঁজ তাঁরা রাখেন না।
তিনি বলেন, ‘তাঁদের অনেকবার অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁদের কেস ডায়েরিতে মামলার বিস্তারিত লিখে রাখেন। তাহলে আর সিডি খুঁজতে তাঁদের ঝামেলা হতো না।’
জানা গেছে, কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে সিডির নিয়ন্ত্রণ চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে পুলিশ সদর দপ্তর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই আছে।
পিরোজপুরের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ শফিউর রহমান গত ডিসেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, বিচারাধীন মামলার ডকেট আদালতে সঠিকভাবে সংরক্ষিত না থাকায় যথাসময়ে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া পিপি-এপিপিদের কার্যালয়ে সহকারীরা সম্পর্কিত থাকায় মামলার গোপনীয়তা ব্যাহত হয়। এই অবস্থায় আগের মতো পুলিশি হেফাজতে সিডি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে তিনি প্রস্তাব দেন।
শফিউর রহমান বর্তমানে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) সদর দপ্তরে কর্মরত। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।পিরোজপুরের এসপি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার পূর্বের এসপি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁর হয়তো কোনো পর্যবেক্ষণ ছিল। তবে আমাদের কোনো সমস্যা হলে সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করি।’
দিনাজপুরের এসপি শাহ ইফতেখার আহমেদ সিডি সংরক্ষণের জন্য কোর্ট পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রেকর্ডরুম বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার ডকেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয়। যথাযথভাবে বিচার পরিচালনার জন্য সিডির সুব্যবস্থাপনা দরকার। কোর্ট চত্বরে সিডি ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা কক্ষ ও নির্দিষ্ট কর্মী থাকবেন। আইন অনুযায়ী যাঁদের সেটি দেখার কথা, তাঁরাই দেখতে পারবেন। তাহলে নথি গায়েব বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটবে না। সিডির দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই এই প্রস্তাব দিয়েছি। বিষয়টা এমন নয় যে ডকেট পরিচালনার দায়িত্ব পুলিশকে দিতে হবে।’
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, সিডির গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অবশ্যই সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কাউকে দোষারোপ না করে যেভাবে বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়, তার একটি সুন্দর পথ খুঁজে বের করতে হবে।
বিচারিক আদালতের কেস ডকেট (সিডি) বা বিচারাধীন মামলার যাবতীয় নথি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় পুলিশ। তাদের দাবি, সিডি হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো এবং গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কৌঁসুলিরা এর সমালোচনা করছেন। তাঁরা বলছেন, বিচারাধীন মামলার নথি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনো সুযোগ নেই।
পুলিশ অবশ্য বলছে, সিডি নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়; বরং সুব্যবস্থাপনার জন্য এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি পরিচালনার দায়িত্ব যাদের কাছেই থাকুক না কেন, তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা দরকার।
২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের কাছে থাকছে সিডি (মামলার সূচিপত্র, মানচিত্রসহ যাবতীয় নথি)। এর আগে তা পুলিশের হেফাজতে থাকত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব নিয়মকানুন অনুসরণ করেই সিডি সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবস্থাপনায় কোথাও কোনো ত্রুটি আছে বলে আমার জানা নেই।’
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মামলার সাক্ষ্যপর্যায়ে সাক্ষীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিডির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তখন উদ্দেশ্যমূলকভাবে পুলিশকে সিডি দেওয়া হয় না। ফলে সাক্ষীকে প্রস্তুতি ছাড়াই উপস্থাপন করতে হয়। এ ছাড়া মামলার সিডি গায়েব হওয়ারও নজির আছে। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সিডি ২০২২ সালে পাওয়া যাচ্ছিল না। একই বছর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ মাদক মামলার ডকেট গায়েব হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
তাপস কুমার পালের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তারা এত বেশি মামলার তদন্ত করেন যে পুরোনো মামলার ঘটনা তাঁরা ভুলে যান। কোন মামলা কোথায় বিচারাধীন, তার কোনো খোঁজ তাঁরা রাখেন না।
তিনি বলেন, ‘তাঁদের অনেকবার অনুরোধ করেছি, যাতে তাঁদের কেস ডায়েরিতে মামলার বিস্তারিত লিখে রাখেন। তাহলে আর সিডি খুঁজতে তাঁদের ঝামেলা হতো না।’
জানা গেছে, কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে সিডির নিয়ন্ত্রণ চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে পুলিশ সদর দপ্তর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই আছে।
পিরোজপুরের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ শফিউর রহমান গত ডিসেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, বিচারাধীন মামলার ডকেট আদালতে সঠিকভাবে সংরক্ষিত না থাকায় যথাসময়ে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া পিপি-এপিপিদের কার্যালয়ে সহকারীরা সম্পর্কিত থাকায় মামলার গোপনীয়তা ব্যাহত হয়। এই অবস্থায় আগের মতো পুলিশি হেফাজতে সিডি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে তিনি প্রস্তাব দেন।
শফিউর রহমান বর্তমানে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) সদর দপ্তরে কর্মরত। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।পিরোজপুরের এসপি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার পূর্বের এসপি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁর হয়তো কোনো পর্যবেক্ষণ ছিল। তবে আমাদের কোনো সমস্যা হলে সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করি।’
দিনাজপুরের এসপি শাহ ইফতেখার আহমেদ সিডি সংরক্ষণের জন্য কোর্ট পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রেকর্ডরুম বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার ডকেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয়। যথাযথভাবে বিচার পরিচালনার জন্য সিডির সুব্যবস্থাপনা দরকার। কোর্ট চত্বরে সিডি ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা কক্ষ ও নির্দিষ্ট কর্মী থাকবেন। আইন অনুযায়ী যাঁদের সেটি দেখার কথা, তাঁরাই দেখতে পারবেন। তাহলে নথি গায়েব বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটবে না। সিডির দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাই এই প্রস্তাব দিয়েছি। বিষয়টা এমন নয় যে ডকেট পরিচালনার দায়িত্ব পুলিশকে দিতে হবে।’
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, সিডির গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অবশ্যই সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। কাউকে দোষারোপ না করে যেভাবে বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়, তার একটি সুন্দর পথ খুঁজে বের করতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪