Ajker Patrika

জনপ্রতিনিধি হয়েই বেপরোয়া

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৪৩
জনপ্রতিনিধি হয়েই বেপরোয়া

সাহাবুর আলী। রাজশাহীর সীমান্তবর্তী উপজেলা চারঘাটের আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি। মাদক, হত্যাসহ প্রায় ছয়টি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সেই সাহাবুর এখন চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, শুধু সাহাবুর আলী নন, একই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আরেক মাদক কারবারি আশরাফ আলী। চারঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একাধিক মাদক মামলার আসামি তজলুল হক।

স্থানীয় পর্যায়ের অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর চারঘাট উপজেলার ছয় ইউপিতে অনুষ্ঠিত ভোটে চিহ্নিত এই তিন মাদক কারবারি ছাড়াও হাফ ডজন আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

সাহাবুর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পরই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর ও ২ জানুয়ারি দুই দফা ওই গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা করে ককটেল ফুটিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তখন রিয়াজুল জরুরি সেবা পেতে ৯৯৯—এ কল করেন।

রিয়াজুল ইসলাম অগ্রণী ব্যাংকের চারঘাট শাখার লোন কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ইউপি নির্বাচনে সাহাবুরের প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।

তবে সাহাবুর আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভ করার পর গত ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে বিজয় মিছিল করি। সন্ধ্যার দিকে রিয়াজুলের বাড়ির সামনে গাড়ি কিছু সময়ের জন্য দাঁড় করানো হয়।

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জনপ্রতিনিধি কিংবা যেই হোক মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত