রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
সারা দেশের মতো তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে প্রসাধনীর দোকানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য। দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডের দিকে বেশি ঝুঁকছেন মানুষ। তবে হাত বাড়ালেই পাওয়া এসব প্রসাধনীর বেশিরভাগই নকল।
জানা গেছে, কজন অসাধু ব্যবসায়ী আসল ব্র্যান্ডের মোড়ক বা কৌটা সংগ্রহ করে তাতে নকল প্রসাধনী ঢুকিয়ে বাজারে সরবরাহ করছে। এসব পণ্য কিনে এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়া তারা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
মানুষ বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তেল, সাবান, শ্যাম্পু, মেহেদি, লিপস্টিক, নেইল পলিশ, বিভিন্ন ধরনের লোশন, ক্রিম, ভ্যাসলিন, বডি স্প্রেসহ আরও অনেক প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে। ভোক্তাদের বিপুল চাহিদাকে পুঁজি করে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল ও মানহীন প্রসাধনসামগ্রী বাজারে ছাড়ছে। অনৈতিকভাবে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা শিশুসহ সব বয়সী মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে ক্ষতির মুখে।
অনুসন্ধানে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এসব প্রসাধনী সামগ্রী ঢাকার চকবাজার থেকে আনা হয়। দেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও বিদেশি নামকরা কোম্পানির পণ্য হুবহু নাম অথবা নামের একটি অক্ষর পরিবর্তন করে থাকে। যেমন- মেরিলের অনুকরণে লেখা হয় মারিল, মেরিট, মরিল ও মোরিন। জুঁই নারকেল তেলের অনুকরণে জুহি ও জুন, তিব্বতের অনুকরণে বিব্বাত ও তিবত লেখা হয়। এ্যারোমটিককে অনুসরণ করে এ্যারোমা, এ্যারোমেকি ও এ্যারোমেরিট ইত্যাদি লেখা হয়।
তারা আরও বলেন, বিদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে খালি কৌটা কিনে নকল পণ্য ঢোকানো হয়। যখন এসব পণ্য দোকানে বিক্রি করা হয় তখন আসল পণ্যর সঙ্গে এগুলোর দামের অনেক পার্থক্য থাকে। অনেকে আসল নকল বুঝতে না পেরে এগুলো কিনে প্রতারিত হন।
ফুটপাত থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোয় এসব ভেজাল ও নকল সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার প্রান্তিক পর্যায়ে ফেরি করেও বিক্রি করা হয় ক্ষতিকর এসব প্রসাধনী। আসল নামে তৈরি করা এসব নকল পণ্য খুবই কম মূল্যে বাজারে ছাড়া হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলোর আসল-নকল বোঝা কঠিন।
কাটেংগা বাজারে প্রসাধনী কিনতে আসা ক্রেতা রিংকির বলেন, কয়েক দিন আগে কাটেংগা বাজার থেকে একটি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী কিনি, কিন্তু দোকানদার আমাকে ফেয়ার অ্যান্ড লাডলী দেয়। এটি ব্যবহার করে আমার ত্বকে সমস্যা হয়েছে। আরবি নামে অন্য একজন ক্রেতা বলেন, নকল প্রসাধনী বিক্রির দায়ে জরিমানার খবর টিভিতে দেখতে পাই, কিন্তু কোনটা আসল কোনটা নকল কীভাবে বুঝব তার কোন উপায় নেই। দোকানি যেটা ভালো বলে দেন, সেটা আমরা বিশ্বাস করে কিনে নিই।
তেরখাদা কাটেংগা বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী হিরু শেখ বলেন, প্রতিটি পণ্যের গায়ে বারকোড থাকার কথা, বারকোডও থাকে, কিন্তু এগুলো স্ক্যান করলে পণ্য সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপিত হয় না। আমরাও চাই বাজার থেকে নকল প্রসাধনী উঠে যাক। ক্রেতাদের কষ্টের টাকায় ভালোকিছু পেলে আমরা খুশি।
নকল প্রসাধনী ব্যবহারে থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি। অচিরেই বাজার থেকে এ সব নকল প্রসাধনী বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিং চায় ক্রেতা সাধারণ।
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নকল প্রসাধনী ব্যবহারে চর্মরোগ বেশি হয় এবং নকল প্রসাধনী যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় তাহলে ক্যানসারের মত বড় ধরনের রোগও হতে পারে। কসমেটিকস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করায় প্রায়ই প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
সারা দেশের মতো তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে প্রসাধনীর দোকানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য। দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডের দিকে বেশি ঝুঁকছেন মানুষ। তবে হাত বাড়ালেই পাওয়া এসব প্রসাধনীর বেশিরভাগই নকল।
জানা গেছে, কজন অসাধু ব্যবসায়ী আসল ব্র্যান্ডের মোড়ক বা কৌটা সংগ্রহ করে তাতে নকল প্রসাধনী ঢুকিয়ে বাজারে সরবরাহ করছে। এসব পণ্য কিনে এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়া তারা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
মানুষ বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তেল, সাবান, শ্যাম্পু, মেহেদি, লিপস্টিক, নেইল পলিশ, বিভিন্ন ধরনের লোশন, ক্রিম, ভ্যাসলিন, বডি স্প্রেসহ আরও অনেক প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে। ভোক্তাদের বিপুল চাহিদাকে পুঁজি করে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল ও মানহীন প্রসাধনসামগ্রী বাজারে ছাড়ছে। অনৈতিকভাবে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা শিশুসহ সব বয়সী মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে ক্ষতির মুখে।
অনুসন্ধানে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এসব প্রসাধনী সামগ্রী ঢাকার চকবাজার থেকে আনা হয়। দেশের বিভিন্ন কোম্পানি ও বিদেশি নামকরা কোম্পানির পণ্য হুবহু নাম অথবা নামের একটি অক্ষর পরিবর্তন করে থাকে। যেমন- মেরিলের অনুকরণে লেখা হয় মারিল, মেরিট, মরিল ও মোরিন। জুঁই নারকেল তেলের অনুকরণে জুহি ও জুন, তিব্বতের অনুকরণে বিব্বাত ও তিবত লেখা হয়। এ্যারোমটিককে অনুসরণ করে এ্যারোমা, এ্যারোমেকি ও এ্যারোমেরিট ইত্যাদি লেখা হয়।
তারা আরও বলেন, বিদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে খালি কৌটা কিনে নকল পণ্য ঢোকানো হয়। যখন এসব পণ্য দোকানে বিক্রি করা হয় তখন আসল পণ্যর সঙ্গে এগুলোর দামের অনেক পার্থক্য থাকে। অনেকে আসল নকল বুঝতে না পেরে এগুলো কিনে প্রতারিত হন।
ফুটপাত থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজারের দোকানগুলোয় এসব ভেজাল ও নকল সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার প্রান্তিক পর্যায়ে ফেরি করেও বিক্রি করা হয় ক্ষতিকর এসব প্রসাধনী। আসল নামে তৈরি করা এসব নকল পণ্য খুবই কম মূল্যে বাজারে ছাড়া হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলোর আসল-নকল বোঝা কঠিন।
কাটেংগা বাজারে প্রসাধনী কিনতে আসা ক্রেতা রিংকির বলেন, কয়েক দিন আগে কাটেংগা বাজার থেকে একটি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী কিনি, কিন্তু দোকানদার আমাকে ফেয়ার অ্যান্ড লাডলী দেয়। এটি ব্যবহার করে আমার ত্বকে সমস্যা হয়েছে। আরবি নামে অন্য একজন ক্রেতা বলেন, নকল প্রসাধনী বিক্রির দায়ে জরিমানার খবর টিভিতে দেখতে পাই, কিন্তু কোনটা আসল কোনটা নকল কীভাবে বুঝব তার কোন উপায় নেই। দোকানি যেটা ভালো বলে দেন, সেটা আমরা বিশ্বাস করে কিনে নিই।
তেরখাদা কাটেংগা বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী হিরু শেখ বলেন, প্রতিটি পণ্যের গায়ে বারকোড থাকার কথা, বারকোডও থাকে, কিন্তু এগুলো স্ক্যান করলে পণ্য সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপিত হয় না। আমরাও চাই বাজার থেকে নকল প্রসাধনী উঠে যাক। ক্রেতাদের কষ্টের টাকায় ভালোকিছু পেলে আমরা খুশি।
নকল প্রসাধনী ব্যবহারে থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি। অচিরেই বাজার থেকে এ সব নকল প্রসাধনী বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিং চায় ক্রেতা সাধারণ।
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নকল প্রসাধনী ব্যবহারে চর্মরোগ বেশি হয় এবং নকল প্রসাধনী যদি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় তাহলে ক্যানসারের মত বড় ধরনের রোগও হতে পারে। কসমেটিকস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা বলেন, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করায় প্রায়ই প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪