Ajker Patrika

র‍্যাম্পে হাঁটল গরু-উট

আরাফাত রহমান অভি, শেকৃবি
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৭
র‍্যাম্পে হাঁটল গরু-উট

যেমন বাহারি রং, তেমনি চমক লাগানো সৌন্দর্য। গড়ন দেশীয় টিয়া পাখির মতো। তবে আকারে অনেক বড়। কাছে গেলেই চিৎকার করে স্বাগত জানায়। পাখিটি দেখে কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেন, আবার কেউ মোবাইল ফোনে তোলেন ছবি। পাখিটির নাম স্কারলেট ম্যাকাউ।

আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে গতকাল বুধবার প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে বিদেশি পাখিটির মতো অনেক রকমের প্রাণী আনা হয়েছিল। সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে এ প্রদর্শনী। ১১০টি স্টলে ছিল লাভবার্ড, কোকাটেল, বাজরিগার, ফিঞ্চ, নানা প্রজাতির পায়রা, গ্রে প্যারোট, উটপাখি, জাভা, বিদেশি ঘুঘু, উট, দুম্বা, বিদেশি জাতের পোষা কুকুর, উন্নত জাতের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া।

প্রদর্শনীতে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ওষুধসামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ সরঞ্জাম মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও ছিল। তবে বিদেশি পাখির স্টল ও উট ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ ছিল বেশি। মিরপুর থেকে মায়ের সঙ্গে প্রদর্শনীতে যাওয়া ছোট্ট তাসনিম কোকাটেল পাখি দেখিয়ে বলে, টোপর মাথায় সাদা-হলুদ পাখিটা খুব দুষ্টু। তাসনিমের মা ফেরদৌস আরা বলেন, তিনি নিজেও পাখি পোষেন। এখানে হরেক রকমের প্রাণীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন।

মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোর স্টলে ছিল উন্নত জাতের গবাদিপশু, উটপাখি ও উট। উটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন আসাদ গেট এলাকার আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে এসে প্রথমবার উট দেখে ছবি ওঠানোর লোভ সামলাতে পারিনি।

প্রতিটি স্টলের সামনেই ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক। প্রাণীগুলো দেখভালসহ দর্শনার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তাঁরা। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া ক্রাউন পিজিয়ন নামে দুর্লভ একটি কবুতর এনেছিলেন পিজিয়ন ড্রিম স্টলের আহমেদ সামি। তিনি বলেন, ‘অনেক তরুণ পাখি পালন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁদের পোষা পাখির বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।’

এদিকে সকাল ১০টায় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি মানুষ কাজ করছে। ফলে দেশে বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। খাবারের চাহিদা যেমন মিটছে, পুষ্টি ও আমিষ গ্রহণের ফলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ছে। পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মাদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত