আয়নাল হোসেন ও সাইফুল মাসুম, ঢাকা
বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কয়েক মাস ধরে কমতির দিকে। সে অনুযায়ী দেশের খুচরা বাজারে দাম অনেক বেশি। পাইকারি বাজারে কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সরকারিভাবে নির্ধারিত দামের বেশি। খোলা সয়াবিন তেল রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকার বেশি দামে। সরকার-নির্ধারিত দাম ১৫৯ টাকা। প্রতি কেজি চিনির সরকার-নির্ধারিত দাম খোলা ১৩০ টাকা এবং প্যাকেট ১৩৫ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা চিনিই বিক্রি হচ্ছে ১৩২-১৩৫ টাকায়।
ইলিশের বাজার এমনিতেই চড়া। ইলিশের ভরা মৌসুমের শেষ সময়ে এবার দাম আরও বাড়ল। রাজধানীর বিভিন্ন মাছবাজারে আগের চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। অন্যান্য মাছেরও দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০-১০০ টাকা। কয়েক দিন ধরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও মরিচ। মুরগি ও ডিমের দামও চড়াই আছে। ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার নির্ধারণ করে
দিলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীই তা মানছেন না।
বাজারে গতকাল শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা দরে। ডিমের হালি ৫০-৫৫ টাকা। যদিও সরকার-নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকা হারে হালি ৪৮ টাকা। সরকার প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে বিক্রি হয় ৪০-৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে কমাচ্ছে না কোম্পানিগুলো। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) সয়াবিন তেল ৫ হাজার ৭৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি সয়াবিনের দাম পড়ে ১৫৩ টাকা ৫৪ পয়সা। প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ে ১৪১ টাকা ৫৬ পয়সা। এই সয়াবিন তেল (খোলা) পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকায়। অন্যান্য বাজারে দাম ১৫৫-১৬০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৪-১২৫ টাকায়। আর পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরা পর্যায়ে দাম ১২৫-১২৬ টাকা। অন্যান্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়।
তেল ও চিনির দাম পাইকারিতে কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে না কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে পণ্য কেনাবেচা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে সরকার নির্ধারণের পরও সেটি কোনো কাজে আসবে না।
গতকাল প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৮০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হয় ১১০০ টাকা দরে। হাতিরপুলের শাহরাস্তি পোলট্রি হাউসের মালিক তাজুল ইসলাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি এত দিন ২০০ টাকা ছিল, এখন বিক্রি করছেন ২১০ টাকায়। সোনালিকা মুরগি আগের মতোই ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বনশ্রী এ ব্লক কাঁচাবাজারে গতকাল মাছ বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১৩০০ টাকা। এখন তা ১৫০০ টাকার ওপরে। অন্যান্য মাছের দামও কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
পলাশীর বুয়েট বাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। বড় সাইজের রুই বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৮০০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারে নিয়মিত ক্রেতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মাছ-মাংসের এত দাম, কেনাই কষ্টকর। এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম নিয়েছে ৭৫ টাকা। পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢ্যাঁড়স কেজি ৬০ টাকায় কিনেছি। বৃষ্টির কারণে নাকি দাম বেড়েছে।’ তবে পলাশীর বুয়েট বাজারে সবজি বিক্রেতা আজিজ মিয়ার দাবি, বেগুন আর মরিচের দামই শুধু বেড়েছে। অন্য সবজির দাম সামান্য ওঠা-নামা করছে। আজিজ মিয়া জানান, দুই দিন আগেও তিনি বেগুন ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন, এখন বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা দরে, এখন বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা দরে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষ অনেক কষ্টে আছে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ড. গোলাম রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে। যত দিন পর্যন্ত দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করা হবে, তত দিন পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ কমবে না।
বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কয়েক মাস ধরে কমতির দিকে। সে অনুযায়ী দেশের খুচরা বাজারে দাম অনেক বেশি। পাইকারি বাজারে কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সরকারিভাবে নির্ধারিত দামের বেশি। খোলা সয়াবিন তেল রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকার বেশি দামে। সরকার-নির্ধারিত দাম ১৫৯ টাকা। প্রতি কেজি চিনির সরকার-নির্ধারিত দাম খোলা ১৩০ টাকা এবং প্যাকেট ১৩৫ টাকা। রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা চিনিই বিক্রি হচ্ছে ১৩২-১৩৫ টাকায়।
ইলিশের বাজার এমনিতেই চড়া। ইলিশের ভরা মৌসুমের শেষ সময়ে এবার দাম আরও বাড়ল। রাজধানীর বিভিন্ন মাছবাজারে আগের চেয়ে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। অন্যান্য মাছেরও দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০-১০০ টাকা। কয়েক দিন ধরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও মরিচ। মুরগি ও ডিমের দামও চড়াই আছে। ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার নির্ধারণ করে
দিলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীই তা মানছেন না।
বাজারে গতকাল শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা দরে। ডিমের হালি ৫০-৫৫ টাকা। যদিও সরকার-নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকা হারে হালি ৪৮ টাকা। সরকার প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করলেও বাজারে বিক্রি হয় ৪০-৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
রাজধানীর পাইকারি বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে কমাচ্ছে না কোম্পানিগুলো। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) সয়াবিন তেল ৫ হাজার ৭৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি কেজি সয়াবিনের দাম পড়ে ১৫৩ টাকা ৫৪ পয়সা। প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ে ১৪১ টাকা ৫৬ পয়সা। এই সয়াবিন তেল (খোলা) পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকায়। অন্যান্য বাজারে দাম ১৫৫-১৬০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৪-১২৫ টাকায়। আর পাইকারি বাজারসংলগ্ন খুচরা পর্যায়ে দাম ১২৫-১২৬ টাকা। অন্যান্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়।
তেল ও চিনির দাম পাইকারিতে কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে না কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে পণ্য কেনাবেচা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে সরকার নির্ধারণের পরও সেটি কোনো কাজে আসবে না।
গতকাল প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৮০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হয় ১১০০ টাকা দরে। হাতিরপুলের শাহরাস্তি পোলট্রি হাউসের মালিক তাজুল ইসলাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি এত দিন ২০০ টাকা ছিল, এখন বিক্রি করছেন ২১০ টাকায়। সোনালিকা মুরগি আগের মতোই ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
বনশ্রী এ ব্লক কাঁচাবাজারে গতকাল মাছ বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ১৩০০ টাকা। এখন তা ১৫০০ টাকার ওপরে। অন্যান্য মাছের দামও কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
পলাশীর বুয়েট বাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি। বড় সাইজের রুই বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭৫০-৮০০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৮০০-৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারে নিয়মিত ক্রেতা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মাছ-মাংসের এত দাম, কেনাই কষ্টকর। এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম নিয়েছে ৭৫ টাকা। পটোল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢ্যাঁড়স কেজি ৬০ টাকায় কিনেছি। বৃষ্টির কারণে নাকি দাম বেড়েছে।’ তবে পলাশীর বুয়েট বাজারে সবজি বিক্রেতা আজিজ মিয়ার দাবি, বেগুন আর মরিচের দামই শুধু বেড়েছে। অন্য সবজির দাম সামান্য ওঠা-নামা করছে। আজিজ মিয়া জানান, দুই দিন আগেও তিনি বেগুন ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন, এখন বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা দরে, এখন বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা দরে।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে মানুষ অনেক কষ্টে আছে বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ড. গোলাম রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে। যত দিন পর্যন্ত দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করা হবে, তত দিন পর্যন্ত মানুষের দুর্ভোগ কমবে না।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫