মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, এই মহীয়সী নারী নারীমুক্তি ঘটিয়েছেন। ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বন্দীদশা থেকে নারীদের মুক্ত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র মিলনায়তনে রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে নারী সমাজকে আলোকিত করেছেন বলেই নারীরা আজ পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব ও কৃতিত্ব অর্জন করে চলেছেন। তাঁর উজ্জ্বল উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।
সাংসদ আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সঙ্গে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
আশিকুর রহমান পায়রাবন্দ তথা রংপুরের মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষা ও মেধা-মননে যোগ্যতা অর্জন করে রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও সাংসদের স্ত্রী রেহানা আশিকুর রহমান বলেন, ‘রোকেয়ার জন্মভূমিতে আমার শ্বশুর বাড়ি। এ জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, বেগম রোকেয়া একটি আন্দোলনের নাম। তাঁর আন্দোলনের ফলেই নারীরা আজ মর্যাদার সঙ্গে পুরুষের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজ করছেন।
বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে পারলেই বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
অপর বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুসুদন রায় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের আলোচক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পায়রাবন্দের মতো একটি গ্রামে জন্ম নিয়ে বেগম রোকেয়া গোটা ভারতবর্ষের নারীদের জাগ্রত করে তুলেছেন। কিন্তু এখনো নারীরা পরিবারসহ সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ বেতর রংপুরের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক মনোয়ারা বেগম বলেন, অনেকেই জানেন না রোকেয়ার চারজন মা ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনো অপর তিন মা সম্পর্কে আলোচনা করেননি। এ বিষয়গুলো জানার জন্য রোকেয়াকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
রোকেয়ার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নির্মিত রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে সাংসদ আশিকুর রহমানসহ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মনোয়ারা বেগম।
রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও এই পায়রাবন্দে হিল্লা বিয়ের প্রচলন ছিল। ঘরে ঘরে বাল্যবিয়ের হিড়িক ছিল। কিন্তু অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা আরও পরিবর্তন ঘটিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে চাই।’
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি এই মিঠাপুকুরে প্রথম নারী নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় গর্ববোধ করছি। এখানে এসেই শুনেছি বেগম রোকেয়ার পৈতৃক জমি বেহাত হয়েছে। তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সংগ্রহশালা নেই। আমরা জমি উদ্ধার, স্মৃতিকেন্দ্রে একটি রোকেয়া কর্নার নির্মাণ ও বিরাজমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু পায়রাবন্দকে নয় রংপুর তথা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তুলেছেন। তিনি এই এলাকার নারীদের রোকেয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রটি সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভার আগে রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং পায়রা উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। পরে সফল নারীদের জয়িতা সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, এই মহীয়সী নারী নারীমুক্তি ঘটিয়েছেন। ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বন্দীদশা থেকে নারীদের মুক্ত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পায়রাবন্দের বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র মিলনায়তনে রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে নারী সমাজকে আলোকিত করেছেন বলেই নারীরা আজ পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ক্ষেত্রেই নেতৃত্ব ও কৃতিত্ব অর্জন করে চলেছেন। তাঁর উজ্জ্বল উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।
সাংসদ আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার সঙ্গে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
আশিকুর রহমান পায়রাবন্দ তথা রংপুরের মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষা ও মেধা-মননে যোগ্যতা অর্জন করে রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য ও সাংসদের স্ত্রী রেহানা আশিকুর রহমান বলেন, ‘রোকেয়ার জন্মভূমিতে আমার শ্বশুর বাড়ি। এ জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।’
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, বেগম রোকেয়া একটি আন্দোলনের নাম। তাঁর আন্দোলনের ফলেই নারীরা আজ মর্যাদার সঙ্গে পুরুষের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজ করছেন।
বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে পারলেই বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।
অপর বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুসুদন রায় জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের আলোচক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, পায়রাবন্দের মতো একটি গ্রামে জন্ম নিয়ে বেগম রোকেয়া গোটা ভারতবর্ষের নারীদের জাগ্রত করে তুলেছেন। কিন্তু এখনো নারীরা পরিবারসহ সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ বেতর রংপুরের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক মনোয়ারা বেগম বলেন, অনেকেই জানেন না রোকেয়ার চারজন মা ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনো অপর তিন মা সম্পর্কে আলোচনা করেননি। এ বিষয়গুলো জানার জন্য রোকেয়াকে নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
রোকেয়ার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নির্মিত রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের অচলাবস্থা নিরসনে সাংসদ আশিকুর রহমানসহ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মনোয়ারা বেগম।
রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাবুব রহমান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও এই পায়রাবন্দে হিল্লা বিয়ের প্রচলন ছিল। ঘরে ঘরে বাল্যবিয়ের হিড়িক ছিল। কিন্তু অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা আরও পরিবর্তন ঘটিয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে চাই।’
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার জন্মভূমি এই মিঠাপুকুরে প্রথম নারী নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় গর্ববোধ করছি। এখানে এসেই শুনেছি বেগম রোকেয়ার পৈতৃক জমি বেহাত হয়েছে। তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সংগ্রহশালা নেই। আমরা জমি উদ্ধার, স্মৃতিকেন্দ্রে একটি রোকেয়া কর্নার নির্মাণ ও বিরাজমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, বেগম রোকেয়া শুধু পায়রাবন্দকে নয় রংপুর তথা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তুলেছেন। তিনি এই এলাকার নারীদের রোকেয়ার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রটি সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভার আগে রোকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং পায়রা উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। পরে সফল নারীদের জয়িতা সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪