Ajker Patrika

করোনা উপসর্গ নিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ১৪
করোনা উপসর্গ নিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

করোনা উপসর্গ নিয়ে সুবর্ণা ইসলাম রোদেলা নামে মানিকগঞ্জ শহরের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রোদেলা মানিকগঞ্জ শহরের সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

রোদেলা মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকার বশির উদ্দিন মোল্লা ও শামসুন্নাহার জ্যোৎস্নার মেয়ে।

রোদেলার স্বজনেরা জানান, তিন দিন ধরে রোদেলা জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তার ওষুধ চলছিল। বুধবার দুপুরে রোদেলার মারাত্মকভাবে শ্বাসকষ্ট, গলা ও বুকে ব্যথা শুরু হয়। দ্রুত জেলা সদরের গিলন্ড এলাকায় মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। গাবতলী এলাকায় পৌঁছালে রোদেলা অ্যাম্বুলেন্সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোদেলার বাবা বশির উদ্দিন মোল্লা বলেন, অফিস করতে গত সোমবার আমি বাড়ি থেকে ঢাকার শ্যামলী গেছি। এক দিন পর বুধবার সকালে আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে জানায় রোদেলার অবস্থা ভালো না। সে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসি। দুপরের পর মেয়েকে নিয়ে দ্রুত মুন্নু হাসপাতালে যাই।

মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। সিটি স্ক্যান পরীক্ষার পর ছাত্রীর ফুসফুসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও খুবই কম ছিল। সংকটাপন্ন অবস্থা হওয়ায় তাকে দ্রুত রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনায় মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ কারণে রোদেলার মা, বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষা করা হবে কি না সেটা সিভিল সার্জন কার্যালয় বলতে পারবে।’

এর আগে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত শনিবার থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ওই শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। পরে তার ৫৮ জন সহপাঠীকে করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তবে কারও করোনা শনাক্ত না হওয়ায় এবং আক্রান্ত শিক্ষার্থী সুস্থ হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ওই শ্রেণির পাঠদান চালু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত