Ajker Patrika

বুকের মধ্যে ফেস

বিরস
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৫৫
বুকের মধ্যে ফেস

যাঁরা প্রতিদিন বাসে আসা-যাওয়া করেন, তাঁদের প্রায় সবারই নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়; বিশেষ করে সহযাত্রীদের কত প্যাচাল যে সহ্য করতে হয়! এ রকম এক বাসযাত্রীর একদিন পাশে বসা এক তরুণীর কথা কানে এল। তরুণীটি সম্ভবত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ফোন কানে লাগিয়ে বেশ হাসিমুখে কাউকে বলছেন, ‘ফেসবুকে আর জ্বালাতন করিস না। তোর ফেসটাই তো বুকের মধ্যে চেপে রেখেছি।’

বাসযাত্রী রীতিমতো চমৎকৃত হলেন। বুকের মধ্যে ফেস! আর কী চাই!

খ. গাধাকে সৃষ্টি করার পরে সৃষ্টিকর্তা বললেন, তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর মাথায় কোনো বুদ্ধি থাকবে না। তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর।

গাধা বলল, সে কী! এত কষ্ট করে আমি এত দীর্ঘদিন বাঁচতে চাই না। প্লিজ, আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দিন।

সৃষ্টিকর্তা বললেন, যাহ, তোকে ২০ বছরই দিলাম।

সৃষ্টিকর্তা কুকুরকে বললেন, তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু হবে ৩০ বছর।

কুকুর শুনে বলল, দয়া করে একটু কমিয়ে ওইটা ১৫ করে দিন। উচ্ছিষ্ট খেয়ে এত দিন বাঁচতে চাই না।

সৃষ্টিকর্তা এবারও রাজি হয়ে গেলেন।

তারপর সৃষ্টিকর্তা বানরকে বললেন, হে বানর, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া, আর তামশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর।

বানর তো আবেগে কেঁদে দিল। বলল, দেবেনই যখন ১০ বছর দেন, আমি এত বড় জীবন দিয়ে কী করব? এত লাফালাফি ভালো লাগবে না।

সৃষ্টিকর্তা বললেন, যা, তা-ই হবে।

এরপর সৃষ্টিকর্তা নজর দিলেন মানুষের প্রতি। বললেন, তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ। তোমার আয়ু হবে ২০ বছর।

মানুষ তো খুশিতে পাগল হওয়ার জোগাড়। তবু আফসোস নিয়ে বলল, এত মহৎ জীবন নিয়ে মাত্র ২০ বছর? করজোড়ে সৃষ্টিকর্তাকে বলল, একটা কাজ করা যায় না? গাধার ফেরত দেওয়া ৩০, কুকুরের ১৫, বানরের ১০ বছর আমাকে দিয়ে দেওয়া যায় না?

সৃষ্টিকর্তা বললেন, নিজের ভালো পাগলেও বোঝে, তুই বুঝলি না। যাহ, দিলাম।

সেই থেকে মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর, পরের ৩০ বছর গাধার মতো সংসারের বোঝা টানে, তার পরের ১৫ বছর ছেলেমেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে-পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মতো, আর তার পরের ১০ বছর বানরের মতো, কখনো এক সন্তানের বাসা তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘোরে আর নাতি-নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তাঁদের প্রধান দায়িত্ব।

গ. সারা দিন রোগী দেখে, হাসপাতালের ডিউটি শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে গোসল করে এককাপ গরম চা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে গল্পে মাতলেন একজন চিকিৎসক। এমন সময় বেরসিক মোবাইলটা বেজে উঠল।

ডাক্তার সাহেব ‘হ্যালো’ বলতেই অন্য প্রান্ত থেকে ভেসে এল, ‘আমরা তিনজন, আঠারো বছরের পুরোনো সিঙ্গল মল্ট নামী হুইস্কি নিয়ে বসেছি। তুই কি আসবি?’

ডাক্তার সাহেব গম্ভীর গলায়, ‘তাই? আসছি।’ বলেই তিনি তাড়াতাড়ি পোশাক বদলে তৈরি হয়ে বেরোবেন, তখন স্ত্রী প্রশ্ন করলেন, ‘কিছু কি সিরিয়াস ব্যাপার?’

ডাক্তার সাহেব তড়িঘড়ি জবাব দিলেন, ‘মাত্র আঠারো বছর বয়স। অলরেডি তিনজন ডাক্তার পৌঁছে গেছে। আর দেরি করলে হয়তো শেষ হয়ে যাবে।’

স্ত্রীও কথা না বাড়িয়ে বললেন, ‘তাড়াতাড়ি যাও তাহলে।’

ঘ. দুই গবেষক কথা বলছিলেন খাদ্য উৎপাদন ও বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে। একজন অপরজনকে হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কি ধারণা, পৃথিবীতে আবার কখনো দুর্ভিক্ষ হতে পারে?

দ্বিতীয়জনের উত্তর দিতে সময় লাগল না। অবশ্যই হতে পারে।

প্রথমজন আবার জানতে চান, সেটা কবে?

যেদিন চীনারা কাঠি ছেড়ে কাঁটাচামচ অথবা হাত দিয়ে খেতে শুরু করবে। নিরাসক্ত জবাব দ্বিতীয়জনের।

ও, তাহলে তাড়াতাড়ি হওয়ার আশঙ্কা নেই। স্বস্তির সঙ্গে স্বগতোক্তি প্রথমজনের।

ঙ. একটি রাশিয়ান রাজনৈতিক জোক।

-পুঁটি মাছ কী?

- কমিউনিজম পর্যন্ত সাঁতরে আসা তিমি মাছ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পালানোর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরলেন আবদুল হামিদ

মেঘালয়ে হানিমুনের সময় ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যা, উত্তর প্রদেশে নববধূর আত্মসমর্পণ

কানাডার লেকে বোট উল্টে বাংলাদেশের পাইলট ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর মৃত্যু

এআই যুগে চাকরি পেতে যে দক্ষতা লাগবেই, জানালেন মাইক্রোসফটের সিইও

ঈদের ছুটির সুযোগে মাদ্রাসার গাছ বেচে দিলেন সুপার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত