Ajker Patrika

দোকানের কর্মী থেকে গীতিকার

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১১: ১৭
দোকানের কর্মী থেকে গীতিকার

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া দরবেশ হাট সওদাগরপাড়ার বাসিন্দা গীতিকার বেলাল উদ্দিন হৃদয়ের লেখা প্রায় ৫০০ গান গেয়েছেন বিভিন্ন শিল্পী। ভান্ডারি, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, আধুনিক গান লিখেছেন তিনি।

অল্প বয়সে বাবা মনির আহমেদের মৃত্যুতে পরিবারের হাল ধরতে লেখাপড়ার ইতি টানতে হয় তাঁকে। পরে জীবিকার প্রয়োজনে চাকরি নেন স্থানীয় একটি অডিও ক্যাসেটের দোকানে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। গান লেখায় আগ্রহ বাড়ে।

এই আগ্রহ থেকে ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের অডিও প্রযোজনা ও পরিবেশনা কারী প্রতিষ্ঠান বিনিময় ক্যাসেট বাজারে চাকরি নেন তিনি। সেখানে পরিচয় হয় প্রয়াত সংগীত শিল্পী জানে আলমের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালে ইকবাল নামে এক শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হৃদয়ের। তাঁকে ইকবাল বলেন ভান্ডারি অ্যালবামে দুটি গান লিখে দেওয়ার জন্য। সে থেকেই শুরু।

পরবর্তীতে এরই মাধ্যমে পরিচয় হয় আঞ্চলিক, মাইজভাণ্ডারী, মুর্শিদি, মারফতি গানের কিংবদন্তি আব্দুল গফুর হালীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হয়। এর সূত্রে সুযোগ ঘটে দেশের নাম করা শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয়ের। তাঁদের জন্য গান লিখতে শুরু করেন। এই পর্যন্ত তাঁর লেখা, ভান্ডারি, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, আধুনিক মিলিয়ে প্রায় ৫০০ গান বাজারে এসেছে। আরও ৫০০ গান রয়েছে অপ্রকাশিত।

বেলাল উদ্দিন হৃদয় বলেন, ‘দীর্ঘ দুই যুগের সংগীত জীবনে প্রাপ্তি বলে তেমন কিছুই নেই। গানকে ভালোবেসে একজন সৃজনশীল গীতিকার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সেটি আর হলো না। গীতিকার হিসেবে পরিচিত হতে না হতেই মেমোরি কার্ড এসে সব স্বপ্ন ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। তবে ইউটিউব আসায় এখন আবার ভালো ভালো গান হচ্ছে। তবে আগের সেই আনন্দ অনুভূতি আর নেই।’

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু বলেন, বেলাল উদ্দিন হৃদয় ভান্ডারি ও আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন গানের অসাধারণ একজন গীতিকার। তাঁকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত