Ajker Patrika

তিস্তার পানিতে তিন জেলার কৃষকের স্বস্তি

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ২১
তিস্তার পানিতে তিন  জেলার কৃষকের স্বস্তি

দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে তিন জেলায় বোরো চাষের জন্য সেচের পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুরে কৃষকের জমিতে পানি সেচের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের ‍উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান।

প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের কমান্ড এলাকার তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি আর টারশিয়ারি সেচ ক্যানেল পুনর্নির্মাণে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা ২০২৪ সালের জুন মেয়াদ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

তিনি আরও জানান, এটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং একই সঙ্গে অন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়বে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এ ছাড়া প্রকল্পের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অধিকতর উন্নীতকরণ, পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত ৩০ লাখ জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।

জানা যায়, সেচ প্রকল্পের আওতায় এবার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নীলফামারী সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর, রংপুর জেলার সদর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলা। এসব এলাকার ২০ লক্ষাধিক কৃষক তিস্তা নদীর পানি দিয়ে বোরো চাষ করতে পারবেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, প্রকল্পের সেচ সুবিধার জন্য তিন জেলার ১২ উপজেলার সুবিধাভোগী কৃষকের মধ্যে ২৪২টি পানি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করা হয়েছে। এসব দল মূলত কৃষকের সুবিধার্থে পানি বণ্টনের কাজ করবে।

সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রিশ আলী জানান, বৃষ্টির অভাবে কিংবা পানির স্তর নেমে যাওয়ায় যখন সেচের পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়, তখন নিশ্চিন্তে কম মূল্যে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি পাই। প্রকল্পের আওতায় বছরে তিন মৌসুমে (আউশ, আমন, বোরো) একর প্রতি জমির সেচ খরচ দিতে হয় ৪৮০ টাকা। সে হিসাবে শুধু বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে সেচ দিতে হয় মাত্র ১৬০ টাকা। প্রকল্পের বাইরে যেখানে পানি সেচের জন্য প্রতি একর গুনতে হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা।

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার জানান, তিস্তা কমান্ড এলাকায় চলতি বছর ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার উদ্যোগ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসব জমিতে রোটেশন পদ্ধতিতে সম্পূরক সেচ দেওয়া হবে। ফলে সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতির অভিযোগ

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত