তানিম আহমেদ, চট্টগ্রাম থেকে
ঈদের আগে এমন উপহার আসলেই তাঁদের আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারও কাছে তা ফাইভ স্টার হোটেল। তো কেউ মনে করেন, এই উপহার দিয়ে তাঁকে এক লহমায় ২০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক করে দেওয়া হয়েছে। আর দুঃখী মানুষগুলোর হাতে এই উপহার তুলে দিতে খুশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তার মুখে হাসি ফোটানো যায়, এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কি হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় ধাপে ৩২ হাজার ৯০৪ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেন। এদিন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ে এসব পরিবারের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে যখন দেখি একটা মানুষ ঘর পাওয়ার পর তাঁর মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘর পেয়েছেন আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ের রহিমা আক্তার। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র। বিল্ডিংটা দেখলে মনে হয়, ফাইভ স্টার হোটেলের মতো। আমি মনে করি, আমার বিল্ডিংটা ফাইভ স্টার হোটেল।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রহিমা বলেন, ‘আপনার দেওয়া ঘরে বসবাস করে দুইটা কাঁথা সেলাই করেছি।
আপনাকে অবশ্য অবশ্যই এই কাঁথাগুলো নিতে হবে। এর থেকে মূল্যবান আর কিছু দেওয়ার নাই।’ এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা।’
উপহারের ঘর পাওয়াদের আরও একজন ইয়ার মোহাম্মদ। তাঁর কথায়, তিনি নিরাশ্রয়। তাঁর মা-বাবাও আশ্রয় করে দিতে পারেনি। তাঁর মতো জেলে মানুষকে খুঁজে ঘর দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আনোয়ারায় আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাকি যে ঘরগুলো আছে সেগুলো আস্তে আস্তে তৈরি করা হবে, সকল মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
ভূমিহীন-গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনন্য মডেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশ এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা। আমি আজকে সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যাতে ভূমি ও গৃহহীন না থাকে। তারই অংশ হিসেবে দুই শতক জমিতে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর উপহার দিচ্ছেন। এর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপহারের ঘর পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। গতকাল তৃতীয় ধাপে পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবার। এই ধাপে আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ঈদের আগে এমন উপহার আসলেই তাঁদের আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারও কাছে তা ফাইভ স্টার হোটেল। তো কেউ মনে করেন, এই উপহার দিয়ে তাঁকে এক লহমায় ২০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক করে দেওয়া হয়েছে। আর দুঃখী মানুষগুলোর হাতে এই উপহার তুলে দিতে খুশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বললেন, মানুষকে যদি একটু আশ্রয় দেওয়া যায়, তার মুখে হাসি ফোটানো যায়, এর চেয়ে বড় পাওয়া একজন রাজনীতিবিদের জীবনে আর কি হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় ধাপে ৩২ হাজার ৯০৪ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেন। এদিন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের পোড়াদিয়া বালিয়া, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খোকশাবাড়ী এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ে এসব পরিবারের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লাগে যখন দেখি একটা মানুষ ঘর পাওয়ার পর তাঁর মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘর পেয়েছেন আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের হাজিগাঁওয়ের রহিমা আক্তার। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে সমুদ্র। বিল্ডিংটা দেখলে মনে হয়, ফাইভ স্টার হোটেলের মতো। আমি মনে করি, আমার বিল্ডিংটা ফাইভ স্টার হোটেল।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রহিমা বলেন, ‘আপনার দেওয়া ঘরে বসবাস করে দুইটা কাঁথা সেলাই করেছি।
আপনাকে অবশ্য অবশ্যই এই কাঁথাগুলো নিতে হবে। এর থেকে মূল্যবান আর কিছু দেওয়ার নাই।’ এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা।’
উপহারের ঘর পাওয়াদের আরও একজন ইয়ার মোহাম্মদ। তাঁর কথায়, তিনি নিরাশ্রয়। তাঁর মা-বাবাও আশ্রয় করে দিতে পারেনি। তাঁর মতো জেলে মানুষকে খুঁজে ঘর দেওয়া হয়েছে। এতে তিনি অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আনোয়ারায় আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাকি যে ঘরগুলো আছে সেগুলো আস্তে আস্তে তৈরি করা হবে, সকল মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
ভূমিহীন-গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনন্য মডেলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশ এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে কি না। কিন্তু আমরা জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক। আমার কাছে ক্ষমতাটা হচ্ছে জনগণের সেবা দেওয়া, জনগণের জন্য কাজ করা। আমি আজকে সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ যাতে ভূমি ও গৃহহীন না থাকে। তারই অংশ হিসেবে দুই শতক জমিতে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর উপহার দিচ্ছেন। এর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপহারের ঘর পেয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি পরিবার। গতকাল তৃতীয় ধাপে পেয়েছে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবার। এই ধাপে আরও ৩২ হাজার ৭৭০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪