খান রফিক, বরিশাল
সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলার ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনা চিকিৎসার তোড়জোড় চলছে। চিকিৎসক ও নার্সদের ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিক পর্যায়ে শেবাচিম হাসপাতালে ১০০ শয্যা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পাঁচ শয্যা করে করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বরিশালের সর্বত্র। গতকাল বুধবার শেবাচিম হাসপাতালের পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, করোনা ওয়ার্ডের ৩০০ শয্যা ফাঁকা রাখা হয়েছে। দরকারে সব নেওয়া হবে। সেখানে নতুন করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চিকিৎসক ও সেবিকারা নতুন করে ঘুরেফিরে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, গতকাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগী ছিলেন ১৩ জন। এর আগের দিন মঙ্গলবার ভর্তি ছিলেন ১২ জন, সোমবার ১৩ এবং রোববার ছিলেন ১০ জন। গতকাল হাসপাতালের আরটিপিসি মেশিনে করোনা পরীক্ষায় ৭২ জনের মধ্যে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিন শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৪৬ ভাগ। অপর দিকে মঙ্গলবার আক্রান্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৭২ ভাগ এবং সোমবার ১২ দশমিক ৭২ ভাগ। ওয়ার্ডের দোতলায় প্রাথমিকভাবে করোনার চিকিৎসাসেবা চলছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় তাঁরা নতুন করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগের অভিজ্ঞতায় এবার আরও সচেতন হয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। এ জন্য সব ধরনের সুবিধা রয়েছে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে।
এদিকে নগরীর বাইরে জেলার ৯টি উপজেলায় গ্রামগঞ্জের রোগীদের করোনা চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড ও সরঞ্জাম সহায়তা প্রস্তুত করা হয়েছে। গ্রামের মানুষকে করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যা প্রস্তুত রেখেছেন। সেখানে একজন রোগী ভর্তি আছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব চিকিৎসক ও সেবিকাদের জুম মিটিংয়ে ওরিয়েন্টেশন করিয়েছেন। ওই প্রশিক্ষণে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে হারে করোনা বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে দরকার হলে ১০ শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ লজিস্টিক সহায়তা রয়েছে। ১৫ জন সেবিকাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুভাস সরকার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা রোগীর চিকিৎসায় পাঁচটি বেড প্রস্তুত রাখতে বললেও তিনি একটি কক্ষে ২০টি বেড প্রস্তুত করেছেন। উপজেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সবার তাপমাত্রা পরিমাপ করে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দিতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জেও পাঁচ শয্যার করোনা ওয়ার্ড তৈরি করে চিকিৎসাসেবা শুরু করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, জেলার ১০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেড প্রস্তুত আছে। সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তাও রয়েছে। স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় উপজেলার রোগীদের শেবাচিম হাসপাতালে আসতে হবে না।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নগরীসহ গোটা জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না সাধারণ মানুষ। যদিও প্রশাসন এ ক্ষেত্রে নামমাত্র পদক্ষেপ নিয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সব হাসপাতালে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসন যাতে পদক্ষেপ নেয়, তেমন আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলার ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও করোনা চিকিৎসার তোড়জোড় চলছে। চিকিৎসক ও নার্সদের ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিক পর্যায়ে শেবাচিম হাসপাতালে ১০০ শয্যা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পাঁচ শয্যা করে করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বরিশালের সর্বত্র। গতকাল বুধবার শেবাচিম হাসপাতালের পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, করোনা ওয়ার্ডের ৩০০ শয্যা ফাঁকা রাখা হয়েছে। দরকারে সব নেওয়া হবে। সেখানে নতুন করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চিকিৎসক ও সেবিকারা নতুন করে ঘুরেফিরে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, গতকাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগী ছিলেন ১৩ জন। এর আগের দিন মঙ্গলবার ভর্তি ছিলেন ১২ জন, সোমবার ১৩ এবং রোববার ছিলেন ১০ জন। গতকাল হাসপাতালের আরটিপিসি মেশিনে করোনা পরীক্ষায় ৭২ জনের মধ্যে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিন শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৪৬ ভাগ। অপর দিকে মঙ্গলবার আক্রান্তের হার ছিল ১৭ দশমিক ৭২ ভাগ এবং সোমবার ১২ দশমিক ৭২ ভাগ। ওয়ার্ডের দোতলায় প্রাথমিকভাবে করোনার চিকিৎসাসেবা চলছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় তাঁরা নতুন করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগের অভিজ্ঞতায় এবার আরও সচেতন হয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। এ জন্য সব ধরনের সুবিধা রয়েছে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে।
এদিকে নগরীর বাইরে জেলার ৯টি উপজেলায় গ্রামগঞ্জের রোগীদের করোনা চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড ও সরঞ্জাম সহায়তা প্রস্তুত করা হয়েছে। গ্রামের মানুষকে করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা রোগীদের জন্য পাঁচ শয্যা প্রস্তুত রেখেছেন। সেখানে একজন রোগী ভর্তি আছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব চিকিৎসক ও সেবিকাদের জুম মিটিংয়ে ওরিয়েন্টেশন করিয়েছেন। ওই প্রশিক্ষণে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে হারে করোনা বাড়ছে, সে ক্ষেত্রে দরকার হলে ১০ শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ লজিস্টিক সহায়তা রয়েছে। ১৫ জন সেবিকাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুভাস সরকার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা রোগীর চিকিৎসায় পাঁচটি বেড প্রস্তুত রাখতে বললেও তিনি একটি কক্ষে ২০টি বেড প্রস্তুত করেছেন। উপজেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সবার তাপমাত্রা পরিমাপ করে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দিতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, বাকেরগঞ্জেও পাঁচ শয্যার করোনা ওয়ার্ড তৈরি করে চিকিৎসাসেবা শুরু করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মারিয়া হাসান বলেন, জেলার ১০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেড প্রস্তুত আছে। সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তাও রয়েছে। স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় উপজেলার রোগীদের শেবাচিম হাসপাতালে আসতে হবে না।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নগরীসহ গোটা জেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না সাধারণ মানুষ। যদিও প্রশাসন এ ক্ষেত্রে নামমাত্র পদক্ষেপ নিয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সব হাসপাতালে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসন যাতে পদক্ষেপ নেয়, তেমন আহ্বানও জানানো হয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫