Ajker Patrika

ভাঙা কালভার্ট যেন মরণফাঁদ

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৪০
ভাঙা কালভার্ট যেন মরণফাঁদ

পাঁচ বছর আগে ভেঙে গেছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা বাজার-হুমায়ুন কবির মল্লিক বাড়ি সড়কের একটি কালভার্টের কিছু অংশ। কিন্তু ভাঙা জায়গা মেরামত বা নতুন কালভার্ট নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই কালভার্টটি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা বাজার-হুমায়ুন কবির মল্লিক বাড়ি সড়কের কিসমত ভোলানাথপুর এলাকার কাছে প্রায় ৫ বছর আগে কালভার্টটির পাটাতনের মাঝখান ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ। তবে অটোরিকশা, ভটভটিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। বর্তমানে ভাঙা অংশ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই এলাকার দক্ষিণ ভোলানাথপুর, কিসমত ভোলানাথপুর, লক্ষীপুরা, রানীপুর, শ্রীনগরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় লক্ষীপুরা বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

গত রোববার গিয়ে দেখা যায়, ২৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের কালভার্টের মাঝের পাটাতনের অংশ ভেঙে গেছে। ইঞ্জিনচালিত টমটমের ধাক্কায় অনেক আগে পাশ দেয়ালও ভেঙে গেছে। নতুন করে কালভার্টের ধস ঠেকাতে এর নিচে গাছের খুঁটি স্থাপন করা হয়েছে। তবে এই খুঁটি নড়বড়ে। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। চালকদের খুব সতর্কতার সঙ্গে পেরোতে হচ্ছে।

দক্ষিণ ভোলানাথপুর বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সিকদার, রুবেল মল্লিকসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় কারণে ধান, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজুল কবির বাবু বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে আছে। এতে এ সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। কালভার্ট ভাঙা হওয়ায় বড় গাড়ি চলে না। এখন ঝুঁকি নিয়ে শুধু ইঞ্জিনচালিত টমটম ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করে।

ভাঙা এই কালভার্টটির পরেই ভোলানাথপুর দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা। বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার থেকে এ মাদ্রাসায় এসে ছাত্ররা পড়ালেখা করে। ভোলানাথপুর দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস কুদ্দুস মল্লিক বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণ করার জন্য চেয়ারম্যানসহ আমরা বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখানে কয়েক মাস আগে যোগদান করেছি। ভাঙা কালভার্টটি সম্পর্কে আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য কোনো প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। যদি অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে শিগগিরই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মাণকাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

অদৃশ্য শর্তে বাংলাদেশের জন্য ট্রাম্পের ১৫% শুল্ক ছাড়

নারী আসন নিয়ে সিদ্ধান্ত হচ্ছে নারীদের ছাড়াই

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত