Ajker Patrika

ব্রহ্মপুত্র নদে সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে, আশায় মানুষ

কুড়িগ্রাম ও চিলমারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মার্চ ২০২২, ১২: ৪৭
ব্রহ্মপুত্র নদে সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে, আশায় মানুষ

কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ‘ব্রহ্মপুত্র সেতু’ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এগিয়ে চলছে। সবকিছু ইতিবাচক হলে নদটির ওপর তৈরি হবে সেতু। এতে রৌমারী ও রাজীবপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমবে।

স্থানীয়রা বলছেন, দেশের বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্রের ওপর সেতু হলে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র সড়ক সেতু বঙ্গবন্ধুর সেতুর ওপর প্রায় ৪০ ভাগ পরিবহন চাপ কমে আসবে। আর সেতুতে রেল যোগাযোগ যুক্ত করলে মানুষের যোগাযোগ ব্যয়ও কমে আসবে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই সেতু হলে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবেও সেতুর গুরুত্ব পাবে। কেননা ভারতের আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্যসহ নেপাল এবং ভুটানের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের নদীবন্দর এলাকার আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লব বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু এ এলাকার জন্য অপরিহার্য। সেতুটি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে নতুন মাত্রা যোগ হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে। দূর হবে দারিদ্র্য।’

থানাহাটের বাসিন্দা নাসির হোসেন বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের সেতু না থাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর-বগুড়া হয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে যেতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ব্যয় হয়। অন্যদিকে রৌমারী শেরপুর-জামালপুর দিয়ে ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ যেতে ৫ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সেতু বাস্তবায়ন হলে সময় এবং অর্থনৈতিকভাবে সবাই লাভবান হবে।’

রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা মোজ্জাম্মেল হক বলেন, ‘জেলার সঙ্গে রৌমারী-রাজিবপুর ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা আলাদা। এখানে কেউ অসুস্থ হলে নৌকা ভাড়া করে রোগী নিয়ে যেতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর অফিস-আদালতে কাজের জন্য গেলে সিরিয়ালের নৌকা না পেলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।’

উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত বছর নভেম্বর মাসে সেতু কর্তৃপক্ষের গঠিত দলের সদস্য অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান (পিএনডি), সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্য ও প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত আলী, সেতু বিভাগের সদস্য ও উপসচিব (বাজেট) আবুল হাসান ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চিলমারী পরিদর্শন করেন।

জানতে চাইলে সেতু বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের যারা কনসালট্যান্ট তাঁরা মাঠে কাজ করছেন। তারা প্রতিবেদন দিলে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।’

মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ‘ফরেন কনসালটিং ফার্ম কাজ করছে। সমীক্ষা করতে অনেক সময় প্রয়োজন। মাঠে গিয়ে বিভিন্ন স্পটে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া টেকনিক্যাল এবং নন টেকনিক্যাল কাজ আছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। এসব প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত