Ajker Patrika

শীতের শুরুতে ব্যস্ত লেপ তোশকের কারিগরেরা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ২৮
শীতের শুরুতে ব্যস্ত লেপ তোশকের কারিগরেরা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে নতুন লেপ-তোশক বানাতে দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। অনেকেই আবার এসেছেন পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লেপ-তোশক বানাতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কারিগরেরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরিতে ।

দাঁতভাঙা বাজারে পুরোনো লেপ মেরামত করতে এসেছেন উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে সর মজনু মিয়া।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবার তুলার দাম, কাপড়ের দাম, মজুরির দাম সবই বেশি। তাই পুরোনো লেপটা মেরামত করার জন্য এনেছি। গত বছর শিমুল তুলার কেজি ছিল ২৫০ টাকা। এবার চাচ্ছে ৪৫০ টাকা। কাপড়ের দামও অনেক বেশি। কি আর করার। শীত তো নিবারণ করতে হবে। তাই পুরাতন লেপটাই মেরামত করে নিচ্ছি। তুলার দামটাতো বাঁচানো যাবে।

রৌমারী বাজারের বড় কাপড় ব্যবসায়ী ও লেপ-তোশকের মহাজন আবু জার গীফ্ফারি জানান, গত বছরের তুলনায় এবারের শীতে লেপ-তোশকের চাহিদা বেশি। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলে এখনো ধান কাটা পুরোপুরি শরু হয়নি। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে লেপ-তোশকের চাহিদা তেমন আসছে না। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর একটি লেপ তৈরি করতে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। তোশক বানাতে খরচ পড়ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।

দাঁতভাঙা বাজারের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী রুহল আমিন বলেন, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। তবে এবার কার্তিক মাসের মাঝ থেকেই কিছুটা শীত শুরু হয়েছে। তাই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আমরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোশক তৈরি করে দোকানে মজুত করে রাখছি। এবার লেপের কাপড় ও তুলার দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। কালার তুলা প্রতিকেজি ৪০ টাকা, মিশালী তুলা ২৫ টাকা, সিম্পল তুলা ৮০ টাকা, শিমুল তুলা ৪৫০ টাকা ও সাদা তুলা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার শিমুল তুলা কেজিতে বেড়েছে ২০০ টাকা। আর গার্ন্টেসের তুলায় বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

উপজেলার গাছ বাড়ি বাজারের লেপ তোশক তৈরির কারিগর লুৎফর আলী ও জুলহাশ মিয়া জানান, সময় মতো লেপ-তোশক ডেলিভারি দেওয়ার জন্য আমারা ব্যস্ত। সারা বছরের মধ্যে এই শীতের মৌসুমেই কাজের বেশি অর্ডার পাই। কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এই চার মাস শুধু লেপ তোশক তৈরির কাজ চলে। আর এই চার মাসের আয় দিয়েই আমাদের চলতে হয় পুরো বছর। আমাদের একটি লেপ তৈরিতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এভাবে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি লেপ-তোশক তৈরি করতে পারি। ১টি করে লেপ বা তোশক তৈরি করে দিলে দোকানদারের কাছ থেকে মজুরি পাই ২০০ টাকা। দিনে আমরা ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকি, যা অন্য মাসে হয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...