শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বেশির ভাগ বাজারে ভেজাল কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। মানহীন এসব কীটনাশক জমিতে দফায় দফায় প্রয়োগ করেও সুফল মিলছে না। এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের তদারকি না থাকায় ভেজাল কীটনাশকে ছেয়ে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উৎপাদনকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির নকল ব্র্যান্ডের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম ও চকচকে মোড়ক দেখে আসল, না নকল; যাচাই না করেই কীটনাশক কিনছেন কৃষকেরা। তাই বাজারে এখন ভেজাল কীটনাশকের ব্যবসা রমরমা। এসব কীটনাশক বিক্রি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক অসাধু ডিলার। নকল কীটনাশকের পরীক্ষা করার ল্যাব উপজেলা পর্যায়ে না থাকায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে এসব অসাধু বিক্রেতারা। সিনজেন্টা, অটো, ইমাগ্রিনসহ দেশের নামীদামি কীটনাশক কোম্পানির ব্যান্ডের মোড়কে এসব ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত কীটনাশক ডিলার নোমান মোল্লা বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত কীটনাশক কোম্পানির মোড়কে নকল ও ভেজাল কীটনাশকের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কৃষকদের এসব নকল ও ভেজাল কীটনাশক চেনার কোনো উপায় নেই। ফলে কৃষকেরা নকল ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করলেও পোকামাকড় ও বালাই দমনে তা কোনো কাজে আসছে না। যার কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন।’
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিসের কীটনাশক লাইসেন্সের ১৬টি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলাররা সরকারি অনুমোদিত কোম্পানির ছাড়া কীটনাশক বিক্রি করতে পারবেন না। কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু এ শর্ত মানছেন না ডিলাররা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধশত কৃষক নকল কীটনাশক ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বায়ের ক্রপসাইন্স, অটো ক্রপ কেয়ার, মিম পেকস, সিনজেনটাসহ বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে ভেজাল কীটনাশক বিভিন্ন গ্রামের হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কাতলাগাড়ি গ্রামের রকিব উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে প্রায় কীটনাশক ভেজাল। কয়েক দিন আগে বাজার থেকে বেগুনের পোকা মারার জন্য সিনজেনটার ভারটিমেক কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করে কোনো ফল পাইনি। এসব ভেজাল কীটনাশক কিনে টাকার মতো টাকা চলে যায়, তবে কোনো উপকারে আসে না। আমরা ভেজাল কীটনাশকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বায়ারের লুনা নামে কীটনাশক পেঁয়াজের খেতে ব্যবহার করে কোনো উপকার পাইনি। এ ছাড়া সিনজেনটার রিডোমিল পেঁয়াজখেতে প্রয়োগ করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় উপকৃষি কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, ‘ভেজাল কীটনাশকের বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। কোনোভাবেই ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতে দেওয়া যাবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে, ভেজাল কীটনাশকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বেশির ভাগ বাজারে ভেজাল কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। মানহীন এসব কীটনাশক জমিতে দফায় দফায় প্রয়োগ করেও সুফল মিলছে না। এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের তদারকি না থাকায় ভেজাল কীটনাশকে ছেয়ে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উৎপাদনকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির নকল ব্র্যান্ডের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম ও চকচকে মোড়ক দেখে আসল, না নকল; যাচাই না করেই কীটনাশক কিনছেন কৃষকেরা। তাই বাজারে এখন ভেজাল কীটনাশকের ব্যবসা রমরমা। এসব কীটনাশক বিক্রি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে অনেক অসাধু ডিলার। নকল কীটনাশকের পরীক্ষা করার ল্যাব উপজেলা পর্যায়ে না থাকায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে এসব অসাধু বিক্রেতারা। সিনজেন্টা, অটো, ইমাগ্রিনসহ দেশের নামীদামি কীটনাশক কোম্পানির ব্যান্ডের মোড়কে এসব ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত কীটনাশক ডিলার নোমান মোল্লা বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত কীটনাশক কোম্পানির মোড়কে নকল ও ভেজাল কীটনাশকের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কৃষকদের এসব নকল ও ভেজাল কীটনাশক চেনার কোনো উপায় নেই। ফলে কৃষকেরা নকল ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করলেও পোকামাকড় ও বালাই দমনে তা কোনো কাজে আসছে না। যার কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন।’
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিসের কীটনাশক লাইসেন্সের ১৬টি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলাররা সরকারি অনুমোদিত কোম্পানির ছাড়া কীটনাশক বিক্রি করতে পারবেন না। কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু এ শর্ত মানছেন না ডিলাররা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধশত কৃষক নকল কীটনাশক ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বায়ের ক্রপসাইন্স, অটো ক্রপ কেয়ার, মিম পেকস, সিনজেনটাসহ বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে ভেজাল কীটনাশক বিভিন্ন গ্রামের হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কাতলাগাড়ি গ্রামের রকিব উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে প্রায় কীটনাশক ভেজাল। কয়েক দিন আগে বাজার থেকে বেগুনের পোকা মারার জন্য সিনজেনটার ভারটিমেক কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করে কোনো ফল পাইনি। এসব ভেজাল কীটনাশক কিনে টাকার মতো টাকা চলে যায়, তবে কোনো উপকারে আসে না। আমরা ভেজাল কীটনাশকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বায়ারের লুনা নামে কীটনাশক পেঁয়াজের খেতে ব্যবহার করে কোনো উপকার পাইনি। এ ছাড়া সিনজেনটার রিডোমিল পেঁয়াজখেতে প্রয়োগ করে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় উপকৃষি কর্মকর্তাদের জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, ‘ভেজাল কীটনাশকের বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। কোনোভাবেই ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতে দেওয়া যাবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে, ভেজাল কীটনাশকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫