Ajker Patrika

চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ১০ দফা দাবি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১২: ৪৮
চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ১০ দফা দাবি

মৌলভীবাজারে চা-শ্রমিক তথা ‘মুল্লুক চল’ দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল করেছেন চা-শ্রমিকেরা। এ সমাবেশে চা-জনগোষ্ঠীর ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকেরা সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিলে অংশ নেন।

গতকাল রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এ আন্দোলনের ১০১তম বার্ষিকীতে বিভাগীয় সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক নিলিমেষ ঘোষ বলুর সঞ্চালনায় সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সিপিবি সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, এস এম শুভ প্রমুখ।

সমাবেশের আগে বিভিন্ন জাগরণের গান পরিবেশন করা হয়। পরে সহস্রাধিক মানুষের মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সিপিবি জাতীয় পরিষদ সদস্য ও শ্রমিকনেতা এস এম শুভ জানান, সমাবেশে চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো ঐতিহাসিক ‘মুল্লুকে চল’ আন্দোলন স্মরণে ২০ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে চা-শ্রমিক দিবস পালন এবং মজুরিসহ বাগানে ছুটি ঘোষণা করা, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা, চা-শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা।

সিপিবি সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘দেশে এত উন্নয়ন তাহলে চা-শ্রমিকেরা পিছিয়ে কেন? এই সরকার মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে বলে শ্রমিকদের পিছিয়ে রেখেছে। আমরা সরকারের প্রতি দাবি জানাই অবিলম্বে সিপিবি উত্থাপিত ১০ দফা বাস্তবায়নের জন্য।’

এদিকে বাসদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘চা-শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয় মৌলভীবাজার সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে।

সমাবেশের আগে দুপুরে অডিটরিয়াম থেকে লাল পতাকার মিছিল শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে শেষ হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ। অতিথি ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ও বাগানের নেতারা।

চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সূত্রমতে, বর্তমানে সারা দেশে ১৬৬ চা-বাগানে চা-জনগোষ্ঠী সংখ্যা ৫ লক্ষাধিক এবং শ্রমিক রয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের ৩টি জেলায় ১৩৫টি চা-বাগানে রয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৫০ জন নিবন্ধিত নারী শ্রমিক এবং ১৫ হাজার ১৫৩ জন অনিবন্ধিত নারী শ্রমিক। একজন শ্রমিকের সাপ্তাহিক বেতন ৮৪০ টাকা।

চা-শ্রমিক গোপাল গোয়ালা বলেন, ‘আমরা কত আন্দোলন করেছি; সরকার আমাদের কথা শুনে না। আমাদের লেখাপড়ার সুযোগ নেই, স্যানিটেশন সমস্যা আর চিকিৎসা তো নেই, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। চিকিৎসা বলতে শুধু প্যারাসিটামল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত