Ajker Patrika

নানার ইচ্ছা পূরণে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে

নওগাঁ প্রতিনিধি
নানার ইচ্ছা পূরণে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে

হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন রাজা-বাদশারা। সেই রাজপ্রথা এখন দূর অতীত। তবে কিছু এলাকায় শখের বশে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার খবর শোনা যায়। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর সীমান্তবর্তী উপজেলা ধামইরহাটে। নানার ইচ্ছা পূরণে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যান নাতি।

গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচিত বিয়ে। ঘটনাটি পুরো জেলায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।

বরের নাম মো. রাসেল মাহমুদ (২৮)। তিনি উপজেলা সদরের উত্তর চকযদু মহল্লার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। রাসেল ধামইরহাট সিদ্দিকিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় অফিস সহকারী পদে কর্মরত আছেন। কনের নাম মোসা. সাদিয়া খাতুন হিমু (২০)। তিনি উপজেলার উমার ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে।

জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মাহুতকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা সদর থেকে হাতির পিঠে চড়ে বেলঘরিয়া গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন রাসেল। মাঝে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্ব। এ সময় রাস্তার দুই পার্শ্বে হাতি ও বরকে দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পুরোনো দিনের রেওয়াজ অনুসারে হাতি নিয়ে বিয়ে করতে যাওয়ার এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে হাতির পিঠে বর আসায় কনের এলাকাতেও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। হাতির পিঠে চড়ে বর ও বরযাত্রীদের গাড়িবহর দুপুর নাগাদ বেলঘড়িয়া গ্রামে কনের বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় কনের গ্রামসহ আশপাশের মানুষ ভিড় জমান।

পরিবারের লোকজন জানান, রাসেলের নানা উপজেলার শালুকপুড়ি গ্রামের প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম। তিনি ব্রিটিশ আমলে হাতির পিঠে চড়ে গিয়ে বিয়ে করেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল নাতিকেও হাতির পিঠে চড়িয়ে বিয়ে দেবেন। সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই এই আয়োজন।

কনে সাদিয়া খাতুন হিমু বলেন, ‘আমার বিয়েতে হাতিতে চড়ে বর এসেছে, এটি আমার জীবনের অন্য রকম অনুভূতি।’

বর রাসেল মাহমুদ বলেন, কিছু টাকা খরচ হলেও নানার ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে তিনি খুব খুশি।

এ বিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সময়ে এসে এমন রাজকীয় বিয়ের ঘটনা এটিই প্রথম। ব্যাপারটা মজার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত