মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ আসন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে এ মাঠ। কিন্তু আগামী নির্বাচনের আগে ভাবনায় পড়তে হয়েছে দলটিকে। তাদের কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। গত নির্বাচনে এস এম শাহজাদা তাঁর মামা তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার জোরে টিকিট পেয়ে সংসদ সদস্য হলেও এবার অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। এখন আলোচনা বেশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুনকে নিয়ে। তবে এই হেভিওয়েট নেতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর এবং আসনের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। এঁদের মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বাজিমাত করতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বর্তমান এমপি বাদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আ স ম জাওয়াদ সুজন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফখরুল ইসলাম মুকুল এবং বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবুল হোসেন আজাদ। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যের যোগাযোগ কম। চার বছরে লক্ষণীয় কোনো উন্নয়ন নেই। দলের মধ্যে শক্ত অবস্থানও তৈরি করতে পারেননি। মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন বাকিরা।
এস এম শাহজাদা বলেন, ‘গত চার বছর আমি তৃণমূল মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কাজ করেছি, এখন আর কারও সহানুভূতির প্রয়োজন হবে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখবেন। কারণ, আমি কোনো কোন্দল করিনি।’ গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আ স ম জাওয়াদ সুজন বলেন, ‘দলের জন্য আমার বাবার মতোই মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। আমি মনোনয়ন চাইব এবং নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মেনে নেব।’
দলীয় মনোনয়নকে টার্গেট করে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন আবুল হোসেন আজাদ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম মুকুল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক কামরান প্রিন্স মহাব্বতও মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়ন পেতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন মো. হাসান মামুন। বিএনপি সরকারের সময় এলাকার বেকারদের চাকরি দেওয়াসহ ঢাকায় চিকিৎসা এবং বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার কারণে তাঁর রয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। মাঠের রাজনীতিতে তরুণ এই নেতা শক্ত অবস্থানে।
তবে হাসান মামুনের সাজানো ঘর ভেঙে নিজের সংসার গড়তে পারেন নুর। বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে জোট তৈরি হলে ভাগ-বাঁটোয়ারায় আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বিএনপির। সে ক্ষেত্রে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন নুর।
নির্বাচনের ব্যাপারে নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচনে গেলে অবশ্যই আমাদের নতুন দল থেকে নির্বাচন করব, আর আসনটি আমার প্রথম পছন্দ। যেহেতু বিএনপি এবং আমাদের লক্ষ্য এখন একই, সে ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে জোট হলেও হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না। এলাকার সন্তান হিসেবে সবাই আমাকে সাপোর্ট করবে।’
এ আসনে আলোচনায় আছেন আরেক আলোচিত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। উচ্ছেদে বসতবাড়ি হারিয়ে রনির স্থায়ী নিবাস ধূলিসাৎ হলেও আবারও নতুন স্বপ্ন বুনতে পারেন পটুয়াখালী-৩ আসনের মাটিতে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি হলেও ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে হেরে যান তিনি। আবার নির্বাচন করতে পারেন। তবে মাঠ পর্যায়ে রনির তেমন পদচারণ কিংবা জনপ্রিয়তা নেই।
এ বিষয়ে রনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া আমি নির্বাচনে অংশ নেব না। আর নির্বাচন করলে অবশ্যই বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইব, আওয়ামী লীগ থেকে কখনোই চাইব না। বিএনপি যদি এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে তাহলেও আমি নির্বাচন করব না।’
নির্বাচনী মাঠের বর্তমান হালহকিকত নিয়ে কথা হয় ভোটারদের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, স্বাভাবিক নির্বাচন হলে এবার কে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, সেটা বলা মুশকিল। শক্ত প্রার্থী দিতে না পারলে দীর্ঘদিন রাজত্বে থাকা আওয়ামী লীগকে হাতছাড়া করতে হবে আসনটি। এ কারণে বিএনপি একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এটিকে সুযোগ হিসেবে ধরে দীর্ঘদিন পর আসনটি নিজেদের দখলে নিতে চাইবে তারা। এ ছাড়া নুরুল হক নুরের প্রধান টার্গেট এ আসন, সে ক্ষেত্রে আসনটি তাঁর দখলে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ আসন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে এ মাঠ। কিন্তু আগামী নির্বাচনের আগে ভাবনায় পড়তে হয়েছে দলটিকে। তাদের কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। গত নির্বাচনে এস এম শাহজাদা তাঁর মামা তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার জোরে টিকিট পেয়ে সংসদ সদস্য হলেও এবার অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। এখন আলোচনা বেশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুনকে নিয়ে। তবে এই হেভিওয়েট নেতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর এবং আসনের সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। এঁদের মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বাজিমাত করতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বর্তমান এমপি বাদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আ স ম জাওয়াদ সুজন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফখরুল ইসলাম মুকুল এবং বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবুল হোসেন আজাদ। দলটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যের যোগাযোগ কম। চার বছরে লক্ষণীয় কোনো উন্নয়ন নেই। দলের মধ্যে শক্ত অবস্থানও তৈরি করতে পারেননি। মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন বাকিরা।
এস এম শাহজাদা বলেন, ‘গত চার বছর আমি তৃণমূল মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কাজ করেছি, এখন আর কারও সহানুভূতির প্রয়োজন হবে না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই দেখবেন। কারণ, আমি কোনো কোন্দল করিনি।’ গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আ স ম জাওয়াদ সুজন বলেন, ‘দলের জন্য আমার বাবার মতোই মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। আমি মনোনয়ন চাইব এবং নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মেনে নেব।’
দলীয় মনোনয়নকে টার্গেট করে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন আবুল হোসেন আজাদ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম মুকুল। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক কামরান প্রিন্স মহাব্বতও মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়ন পেতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন মো. হাসান মামুন। বিএনপি সরকারের সময় এলাকার বেকারদের চাকরি দেওয়াসহ ঢাকায় চিকিৎসা এবং বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার কারণে তাঁর রয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। মাঠের রাজনীতিতে তরুণ এই নেতা শক্ত অবস্থানে।
তবে হাসান মামুনের সাজানো ঘর ভেঙে নিজের সংসার গড়তে পারেন নুর। বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে জোট তৈরি হলে ভাগ-বাঁটোয়ারায় আসনটি হাতছাড়া হতে পারে বিএনপির। সে ক্ষেত্রে এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন নুর।
নির্বাচনের ব্যাপারে নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচনে গেলে অবশ্যই আমাদের নতুন দল থেকে নির্বাচন করব, আর আসনটি আমার প্রথম পছন্দ। যেহেতু বিএনপি এবং আমাদের লক্ষ্য এখন একই, সে ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে জোট হলেও হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না। এলাকার সন্তান হিসেবে সবাই আমাকে সাপোর্ট করবে।’
এ আসনে আলোচনায় আছেন আরেক আলোচিত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। উচ্ছেদে বসতবাড়ি হারিয়ে রনির স্থায়ী নিবাস ধূলিসাৎ হলেও আবারও নতুন স্বপ্ন বুনতে পারেন পটুয়াখালী-৩ আসনের মাটিতে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি হলেও ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়নে হেরে যান তিনি। আবার নির্বাচন করতে পারেন। তবে মাঠ পর্যায়ে রনির তেমন পদচারণ কিংবা জনপ্রিয়তা নেই।
এ বিষয়ে রনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া আমি নির্বাচনে অংশ নেব না। আর নির্বাচন করলে অবশ্যই বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইব, আওয়ামী লীগ থেকে কখনোই চাইব না। বিএনপি যদি এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে তাহলেও আমি নির্বাচন করব না।’
নির্বাচনী মাঠের বর্তমান হালহকিকত নিয়ে কথা হয় ভোটারদের সঙ্গে। তাঁরা বলছেন, স্বাভাবিক নির্বাচন হলে এবার কে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন, সেটা বলা মুশকিল। শক্ত প্রার্থী দিতে না পারলে দীর্ঘদিন রাজত্বে থাকা আওয়ামী লীগকে হাতছাড়া করতে হবে আসনটি। এ কারণে বিএনপি একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এটিকে সুযোগ হিসেবে ধরে দীর্ঘদিন পর আসনটি নিজেদের দখলে নিতে চাইবে তারা। এ ছাড়া নুরুল হক নুরের প্রধান টার্গেট এ আসন, সে ক্ষেত্রে আসনটি তাঁর দখলে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪