উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
অধিগ্রহণ করা জমি পুনরায় অধিগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে। সেখানে সোয়া এক একর জমি এভাবে পুনরায় অধিগ্রহণ করায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি টাকা।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম হয়, সেগুলোর একটি উদাহরণ গাজীপুরের ওই ঘটনা। তিন অর্থবছরে ২৪ জেলায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের সময় এভাবে অনিয়ম হয়েছে অন্তত ২৭৯ কোটি টাকা।
এসব অনিয়ম উঠে এসেছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন পূর্ত অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। এতে কয়েক ধরনের অনিয়ম উল্লেখ করে আপত্তি দিয়েছে সরকারি ওই প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের জুলাইতে প্রকাশিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৪ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের অনিয়মগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে এক জমি দুবার অধিগ্রহণ করা বাবদ আর্থিক অনিয়ম দেখানো হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ওই তিন অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এল এ (ল্যান্ড অ্যাকুয়ারড) কেসের বিপরীতে অধিগ্রহণ করা খাসজমির মূল্য বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা নির্দিষ্ট কোডে জমা না দিয়ে অনিয়ম হয়েছে ২৩৮ কোটি টাকার ওপরে। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধিত অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তন না করা এবং কম করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এই তিন খাতে অনিয়ম প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা।
এক জমি দুবার অধিগ্রহণ
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজীপুরের জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে ইটাহাটা মৌজায় অধিগ্রহণকৃত ১ দশমিক ২১৬০ একর জমি পুনরায় অধিগ্রহণ করায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ টাকা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জিএফআর ১০ এর (১) ও (২) বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চেয়ে নোটিশ দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদালতে রিট পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। এরই মধ্যে স্থগিতাদেশ শেষ হলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিশোধিত টাকা আদায় হওয়ার প্রমাণ মেলেনি আজও।
অধিগ্রহণ করা জমি পুনরায় অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়ায় সরকারের ক্ষতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণসহ আপত্তিকৃত সব টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
একই জমি দুবার অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় তাঁদের জানা নেই। খোঁজখবর নেওয়ার পর বলা যাবে।
খাসজমির টাকা কোষাগারে যায়নি
প্রতিবেদনের অপর আপত্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এল এ কেসের বিপরীতে অধিগ্রহণ করা খাসজমির মূল্য বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা নির্দিষ্ট সরকারি কোডে জমা দেওয়া হয়নি, যা আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে ২৩৮ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ১০২ টাকা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এল এ কেসের মাধ্যমে খাস খতিয়ানের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার ১৫৪ টাকা নির্ধারিত কোডে জমা দিতে বলা হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। বিষয়টি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধান হিসাবদানকারী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো জবাব মেলেনি আজও। ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ আপত্তিকৃত সব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
খাস খতিয়ানের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা নির্ধারিত কোডে জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি দু-তিন বছর আগের ঘটনা। ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না।’
উৎসে কর কর্তন হয়নি
২৪ জেলার ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধিত অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তন না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ১১ হাজার ২৯২ টাকা। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৫২সি মোতাবেক সম্পত্তি হুকুমদখলের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার ক্ষেত্র ২ শতাংশ এবং এর বাইরের এলাকায় ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে। একইভাবে একটি জেলায় উৎসে কর কম কর্তন করায় সরকারের ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৯৭ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
নীতিমালার অভাবে অলস অর্থ
এর বাইরে অনিয়মের আরেকটি প্রধান কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের বিপরীতে আনুষঙ্গিক খরচ খাতের জমা করা অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা না থাকা। এই নীতিমালার অভাবে ওই তিন অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে অলস পড়ে রয়েছে ৪৮৬ কোটি ৩১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এই প্রায় ৫০০ কোটি টাকাকেও প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে অনিয়ম হিসেবে। সরকারি প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে মূল দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসকেরা। কয়েকজন জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, যেহেতু নীতিমালা করার কথা কয়েক বছর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারপরও নীতিমালা না করাটাকে অনিয়ম হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু টাকাটা যেহেতু সরকারি কোষাগারেই আছে এবং তছরুপ বা দুর্নীতি হয়নি, তাই এটাকে সেই অর্থে অনিয়ম বলা যাবে না।
এল এ কন্টিজেন্সি খাতের অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা প্রণয়নের অগ্রগতি জানতে চাইলে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান সোমবার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা অনেক আগের ঘটনা। আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেব।’
অধিগ্রহণ করা জমি পুনরায় অধিগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে। সেখানে সোয়া এক একর জমি এভাবে পুনরায় অধিগ্রহণ করায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি টাকা।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম হয়, সেগুলোর একটি উদাহরণ গাজীপুরের ওই ঘটনা। তিন অর্থবছরে ২৪ জেলায় সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের সময় এভাবে অনিয়ম হয়েছে অন্তত ২৭৯ কোটি টাকা।
এসব অনিয়ম উঠে এসেছে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন পূর্ত অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। এতে কয়েক ধরনের অনিয়ম উল্লেখ করে আপত্তি দিয়েছে সরকারি ওই প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের জুলাইতে প্রকাশিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৪ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের অনিয়মগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে এক জমি দুবার অধিগ্রহণ করা বাবদ আর্থিক অনিয়ম দেখানো হয়েছে সাড়ে ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ওই তিন অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এল এ (ল্যান্ড অ্যাকুয়ারড) কেসের বিপরীতে অধিগ্রহণ করা খাসজমির মূল্য বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা নির্দিষ্ট কোডে জমা না দিয়ে অনিয়ম হয়েছে ২৩৮ কোটি টাকার ওপরে। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধিত অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তন না করা এবং কম করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে এই তিন খাতে অনিয়ম প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা।
এক জমি দুবার অধিগ্রহণ
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজীপুরের জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে ইটাহাটা মৌজায় অধিগ্রহণকৃত ১ দশমিক ২১৬০ একর জমি পুনরায় অধিগ্রহণ করায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ টাকা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জিএফআর ১০ এর (১) ও (২) বিধি অনুসরণ করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত চেয়ে নোটিশ দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদালতে রিট পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। এরই মধ্যে স্থগিতাদেশ শেষ হলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিশোধিত টাকা আদায় হওয়ার প্রমাণ মেলেনি আজও।
অধিগ্রহণ করা জমি পুনরায় অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়ায় সরকারের ক্ষতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণসহ আপত্তিকৃত সব টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
একই জমি দুবার অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয় তাঁদের জানা নেই। খোঁজখবর নেওয়ার পর বলা যাবে।
খাসজমির টাকা কোষাগারে যায়নি
প্রতিবেদনের অপর আপত্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী এল এ কেসের বিপরীতে অধিগ্রহণ করা খাসজমির মূল্য বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা নির্দিষ্ট সরকারি কোডে জমা দেওয়া হয়নি, যা আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে আর্থিক অনিয়ম হয়েছে ২৩৮ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ১০২ টাকা। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এল এ কেসের মাধ্যমে খাস খতিয়ানের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার ১৫৪ টাকা নির্ধারিত কোডে জমা দিতে বলা হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। বিষয়টি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রধান হিসাবদানকারী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হলেও কোনো জবাব মেলেনি আজও। ভূমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ আপত্তিকৃত সব টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।
খাস খতিয়ানের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা নির্ধারিত কোডে জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি দু-তিন বছর আগের ঘটনা। ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না।’
উৎসে কর কর্তন হয়নি
২৪ জেলার ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধিত অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তন না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ১১ হাজার ২৯২ টাকা। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৫২সি মোতাবেক সম্পত্তি হুকুমদখলের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার ক্ষেত্র ২ শতাংশ এবং এর বাইরের এলাকায় ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে। একইভাবে একটি জেলায় উৎসে কর কম কর্তন করায় সরকারের ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৯৯৭ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে উৎসে কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
নীতিমালার অভাবে অলস অর্থ
এর বাইরে অনিয়মের আরেকটি প্রধান কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের বিপরীতে আনুষঙ্গিক খরচ খাতের জমা করা অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা না থাকা। এই নীতিমালার অভাবে ওই তিন অর্থবছরে সরকারি কোষাগারে অলস পড়ে রয়েছে ৪৮৬ কোটি ৩১ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এই প্রায় ৫০০ কোটি টাকাকেও প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে অনিয়ম হিসেবে। সরকারি প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে মূল দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসকেরা। কয়েকজন জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, যেহেতু নীতিমালা করার কথা কয়েক বছর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারপরও নীতিমালা না করাটাকে অনিয়ম হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু টাকাটা যেহেতু সরকারি কোষাগারেই আছে এবং তছরুপ বা দুর্নীতি হয়নি, তাই এটাকে সেই অর্থে অনিয়ম বলা যাবে না।
এল এ কন্টিজেন্সি খাতের অর্থ ব্যবহারের নীতিমালা প্রণয়নের অগ্রগতি জানতে চাইলে ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান সোমবার নিজ দপ্তরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা অনেক আগের ঘটনা। আমি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪