মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া
এক সময় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা, কালুপাড়া, মোল্লাপাড়া, ঐচারমাঠ, সাহেবেরহাট, ছয়গ্রাম, বাটরা, বাহাদুরপুর, বাকালসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের নারী-পুরুষ বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্রের কদরও ছিল ভালো। ফলে এ শিল্প থেকে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। কালের আবর্তে, প্রযুক্তির উৎকর্ষে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেকটাই হুমকির মুখে এখন শিল্পটি।
বাঁশের সংকট ও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন। তবে এর মাঝেও হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক এই পেশাটি ধরে রেখেছেন। বাঁশ-বেত শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতে বাঁশ ও বেত দিয়ে ঘর, কুলা, চালুন, খাঁচা, মাচা, মই, চাটাই, ওড়া, ঝুড়ি, ডুলা, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, সোফাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এবং আসবাব তৈরি হতো।
কালুপাড়া গ্রামের কালা বৈদ্য জানান, বিভিন্ন ধাতব ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার, প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বেত না পাওয়া এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ এ পেশাটি ছেড়ে দিয়েছেন।
কারিগর সান্টু রায় বলেন, ‘আগে বড় ও মাঝারি আকারের একটি বাঁশ ৫০-১০০ টাকায় কেনা যেত। এখন ২০০-৩৫০ টাকায় কিনতে হয়। প্রায় দুদিনের পরিশ্রমে একটি বড় বাঁশ দিয়ে ১০টি খাঁচা তৈরি করা যায়। আর প্রতিটি ৫০ টাকা করে ১০টি খাঁচা ৫০০ টাকা বিক্রি হয়। এতে আমাদের পোষায় না।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দিনা খান জানান, যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাঁশ-বেত শিল্পে কাজ করতে পুঁজির প্রয়োজন হয়, তাহলে সহযোগিতা চাইলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। উপজেলায় বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যদি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান, তাহলে বিআরডিবি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।’
এক সময় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা, কালুপাড়া, মোল্লাপাড়া, ঐচারমাঠ, সাহেবেরহাট, ছয়গ্রাম, বাটরা, বাহাদুরপুর, বাকালসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের নারী-পুরুষ বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাঁশ-বেতের তৈরি জিনিসপত্রের কদরও ছিল ভালো। ফলে এ শিল্প থেকে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। কালের আবর্তে, প্রযুক্তির উৎকর্ষে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে অনেকটাই হুমকির মুখে এখন শিল্পটি।
বাঁশের সংকট ও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন। তবে এর মাঝেও হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক এই পেশাটি ধরে রেখেছেন। বাঁশ-বেত শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতে বাঁশ ও বেত দিয়ে ঘর, কুলা, চালুন, খাঁচা, মাচা, মই, চাটাই, ওড়া, ঝুড়ি, ডুলা, মোড়া, মাছ ধরার চাঁই, সোফাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এবং আসবাব তৈরি হতো।
কালুপাড়া গ্রামের কালা বৈদ্য জানান, বিভিন্ন ধাতব ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার, প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বেত না পাওয়া এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ এ পেশাটি ছেড়ে দিয়েছেন।
কারিগর সান্টু রায় বলেন, ‘আগে বড় ও মাঝারি আকারের একটি বাঁশ ৫০-১০০ টাকায় কেনা যেত। এখন ২০০-৩৫০ টাকায় কিনতে হয়। প্রায় দুদিনের পরিশ্রমে একটি বড় বাঁশ দিয়ে ১০টি খাঁচা তৈরি করা যায়। আর প্রতিটি ৫০ টাকা করে ১০টি খাঁচা ৫০০ টাকা বিক্রি হয়। এতে আমাদের পোষায় না।’
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দিনা খান জানান, যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাঁশ-বেত শিল্পে কাজ করতে পুঁজির প্রয়োজন হয়, তাহলে সহযোগিতা চাইলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। উপজেলায় বাঁশ-বেত শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যদি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান, তাহলে বিআরডিবি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪