শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় এত দিন ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ পশুর হাটসহ উপজেলার বাকি হাটগুলো ঝিমিয়ে ছিল। এখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসায় সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে। জমে উঠেছে পশুর হাটও। তবে বিক্রি কম বলে দাবি করেছেন বিক্রেতা ও হাট ইজারাদারেরা।
তারাগঞ্জ পশুর হাটে গত সোমবার গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের ধারে গরু বহনকারী সারি সারি ভটভটি, ট্রাক দাঁড়িয়ে। হাটের ভেতরে গিজগিজ করছে মানুষ আর গরু, ছাগল, ভেড়া। হাটের চারদিকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন রসিদ লেখকেরা। হাটে মাঝারি ধরনের গরু ছিল বেশি।
হাটে কথা হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষক লেবু মিয়ার সঙ্গে। দুটি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকান ৭০ হাজার টাকা।
লেবু মিয়া বলেন, ‘গত হাটো গরু দুইটা বেঁচপার পাও নাই। আজ ধরি আসছুং। হটোত আইজ বহুত গরু উঠছে। কিন্তু কেনার লোক নাই। খালি দাম শুনি ঘুরি যাওছে। হাটের অবস্থা দেখি মনে হওছে আইজও গরু বেচা হবার নেয়।’
বিকেল তখন ৩টা। প্রচণ্ড রোদে টপটপ করে ঘাম ঝরছিল চিকলী গ্রামের মোজাহারুল ইসলামের। শক্ত হাতে গরুর রশি ধরে ক্রেতার আশায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। চোখেমুখে ছিল হতাশা।
মোজাহারুল বলেন, ‘বাপু গরুর খাওন আর দিবার পারোছোন না। ভুসি, চালের খুদি, ফিড, সউগগুলারে দাম হু হু করি বাড়ছে। সংসার খরচে কুলার পাওছুন না। মাঠোত ঘাস নাই। একমুঠ ঘাস যদি হাটোত কিনার যান ১০ টাকা নেয়। কম করি খাবার দিবার গেইলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা নাগে। ওই জন্যে গরু বেচপার আলছুন। মনের মতোন দাম কায়ও কয় না।’
তবে ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। নাতনির জন্য ২৫ হাজার টাকায় গরু কিনতে এসেছিলেন হাড়িয়ারকুঠির মমিন হোসেন। ৫ ঘণ্টা ঘুরেও তিনি গরু কিনতে পারেননি। তিনি জানান, বিক্রেতারা গরুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। আকারের সঙ্গে দামের সামঞ্জস্য নেই। দাম শুনে আর কথা বলার মতো উপায় থাকছে না। বেলা ১১টা থেকে ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত দামে গরু কিনতে পারিনি।
হাটে মাংসের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ সময় যে গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে তার ৯০ ভাগই মাংসের উদ্দেশ্যে কেনা। বাজারে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর দামও বেড়েছে।
বিক্রি কেমন জানতে চাইলে রসিদ লেখন জিয়া ইসলাম বিকেল ৪টার দিকে রসিদ বই দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখেন, এখনো সাতটি গরু বিক্রির তথ্য লিখতে পারিনি। অন্য দিনের চেয়ে হাটে গরু বেশি আসলেও বিক্রি খুবই কম।’
করোনার আগে প্রতি হাটে ৬ থেকে ৭ শ পশু বিক্রি হতো জানিয়ে হাট ইজারাদার স্বপন চৌধুরী বলেন, করোনার সময় তা কমে গেছে। ফের হাট শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পশুও উঠছে। কিন্তু কেনাবেচা আগের থেকে কম। এখন ১০০ থেকে ১৫০টি গরু বেচাকেনা হয়।
পশুর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘বাজারে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালন খরচ বেড়েছে। তাই গরুর বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। খামারিদের আমরা খরচ কমিয়ে কীভাবে গরু পালন করা যায় তাঁর পরামর্শ দিচ্ছি।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় এত দিন ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ পশুর হাটসহ উপজেলার বাকি হাটগুলো ঝিমিয়ে ছিল। এখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসায় সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে। জমে উঠেছে পশুর হাটও। তবে বিক্রি কম বলে দাবি করেছেন বিক্রেতা ও হাট ইজারাদারেরা।
তারাগঞ্জ পশুর হাটে গত সোমবার গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের ধারে গরু বহনকারী সারি সারি ভটভটি, ট্রাক দাঁড়িয়ে। হাটের ভেতরে গিজগিজ করছে মানুষ আর গরু, ছাগল, ভেড়া। হাটের চারদিকে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন রসিদ লেখকেরা। হাটে মাঝারি ধরনের গরু ছিল বেশি।
হাটে কথা হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষক লেবু মিয়ার সঙ্গে। দুটি মাঝারি আকারের গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকান ৭০ হাজার টাকা।
লেবু মিয়া বলেন, ‘গত হাটো গরু দুইটা বেঁচপার পাও নাই। আজ ধরি আসছুং। হটোত আইজ বহুত গরু উঠছে। কিন্তু কেনার লোক নাই। খালি দাম শুনি ঘুরি যাওছে। হাটের অবস্থা দেখি মনে হওছে আইজও গরু বেচা হবার নেয়।’
বিকেল তখন ৩টা। প্রচণ্ড রোদে টপটপ করে ঘাম ঝরছিল চিকলী গ্রামের মোজাহারুল ইসলামের। শক্ত হাতে গরুর রশি ধরে ক্রেতার আশায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। চোখেমুখে ছিল হতাশা।
মোজাহারুল বলেন, ‘বাপু গরুর খাওন আর দিবার পারোছোন না। ভুসি, চালের খুদি, ফিড, সউগগুলারে দাম হু হু করি বাড়ছে। সংসার খরচে কুলার পাওছুন না। মাঠোত ঘাস নাই। একমুঠ ঘাস যদি হাটোত কিনার যান ১০ টাকা নেয়। কম করি খাবার দিবার গেইলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা নাগে। ওই জন্যে গরু বেচপার আলছুন। মনের মতোন দাম কায়ও কয় না।’
তবে ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। নাতনির জন্য ২৫ হাজার টাকায় গরু কিনতে এসেছিলেন হাড়িয়ারকুঠির মমিন হোসেন। ৫ ঘণ্টা ঘুরেও তিনি গরু কিনতে পারেননি। তিনি জানান, বিক্রেতারা গরুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। আকারের সঙ্গে দামের সামঞ্জস্য নেই। দাম শুনে আর কথা বলার মতো উপায় থাকছে না। বেলা ১১টা থেকে ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত দামে গরু কিনতে পারিনি।
হাটে মাংসের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ সময় যে গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে তার ৯০ ভাগই মাংসের উদ্দেশ্যে কেনা। বাজারে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর দামও বেড়েছে।
বিক্রি কেমন জানতে চাইলে রসিদ লেখন জিয়া ইসলাম বিকেল ৪টার দিকে রসিদ বই দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখেন, এখনো সাতটি গরু বিক্রির তথ্য লিখতে পারিনি। অন্য দিনের চেয়ে হাটে গরু বেশি আসলেও বিক্রি খুবই কম।’
করোনার আগে প্রতি হাটে ৬ থেকে ৭ শ পশু বিক্রি হতো জানিয়ে হাট ইজারাদার স্বপন চৌধুরী বলেন, করোনার সময় তা কমে গেছে। ফের হাট শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত পশুও উঠছে। কিন্তু কেনাবেচা আগের থেকে কম। এখন ১০০ থেকে ১৫০টি গরু বেচাকেনা হয়।
পশুর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘বাজারে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালন খরচ বেড়েছে। তাই গরুর বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। খামারিদের আমরা খরচ কমিয়ে কীভাবে গরু পালন করা যায় তাঁর পরামর্শ দিচ্ছি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫