Ajker Patrika

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পল্লিতে হামলা, আহত ১৫

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৯
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পল্লিতে হামলা, আহত ১৫

বগুড়ার শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারী, শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার মির্জাপুর পুরাতন হাটখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন—ফুলচান, রবিন চন্দ্র, তাঁর ভাই সুর্যা, রবিনের স্ত্রী রেহানা রানী ও তাঁর ছেলে সুমন চন্দ্র। তাঁদের প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলে ফুলচানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ফুলচান বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের এলাকার মনির তাঁর বাড়ির সামনে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। মনিরের চিৎকারে তিনি বাইরে আসেন। এ সময় তিনি দেখতে পান তাঁর প্রতিবেশী শাহিন ও কেবরাসহ আরও কয়েকজন মনিরকে মারধর করছেন। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরবর্তীতে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান তাঁরা। ওই ঘটনার জের ধরেই বুধবারের হামলা করা হয়েছে বলে আহতের প্রতিবেশীরা জানান।

এ বিষয়ে ফুলচানের প্রতিবেশী আকালী বলেন, বুধবার বেলা ৩টার দিকে ভ্যানচালক ফুলচান ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুমন চন্দ্র ও তাঁর সহকারীকে নিয়ে মির্জাপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাড়ি থেকে বের হলে পাশের এলাকার অতর্কিতভাবে শাহিন, ইব্রাহিম, মো. শাহাদত, মো. সোলায়মানসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ফুলচানের ওপর হামলা করেন। এ সময় ফুলচানের সঙ্গীরা বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। তাঁদের চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সবাইকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয় বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় ফুলচানের পক্ষ থেকে মৃত নগেন চন্দ্রের স্ত্রী শ্রীমতী পঞ্চরানী থানায় অভিযোগে করেছেন।

অন্যদিকে সোলায়মান আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা দেশীয় চোলাই মদ তৈরি ও সেবন করেন। ফলে এলাকার ছেলেদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ব্যাপারে নিষেধ করায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করেন। এতে তিনি ও তাঁর ছেলে শাহিন এবং শাহাদত আহত হন।

রায়হান দেওয়ান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার ভাইয়ের (শাহাদত) কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা ও গলায় পাঁচ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিল। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আমাদের মারপিট করে ছিনিয়ে নিয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাসজমিতে বসবাস করছেন। তাঁদের উচ্ছেদ করার জন্য প্রভাবশালী এক মহল বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। বুধবারের এই ঘটনা তারই পুনরাবৃত্তি বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানা মাত্রই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত