দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
গুটিবসন্তে দৃষ্টিশক্তি হারানো হাফেজ চান সওদাগরের (৫০) জীবিকা নির্বাহের ব্রেইল মেশিনটি নষ্ট সাত মাস হয়েছে। ব্রেইল মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে তার জীবিকার পথ। জীবিকার পথ বন্ধ হওয়ায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে চান সওদাগরের। সঙ্গে বসতভিটা নিয়ে জটিলতা। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘা।
চান সওদাগরের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। দৃষ্টি শক্তি হারানো চান সওদাগরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, জন্মান্ধ নন তিনি। ৪ বছর বয়সে গুটি বসন্ত রোগ কেড়ে নেয় তার দুচোখের আলো। সে থেকেই চোখের আলোর সঙ্গে সঙ্গে নিভে যায় তার স্বপ্ন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁন সওদাগরের বয়স যখন চার বছর তখন তার বাবা মুনছর আলী মারা যান। জয়-বাংলা স্লোগান দেওয়ায় পাক হানাদার বাহিনী তার বাবাকে প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দেয়। মা খয়ারী বেগম মারা যান ১৯৭৪ সালে।
বাবা মাকে হারিয়ে অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগরের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ছয় বছর ছিলেন স্থানীয় হরিচন্ডি এতিমখানায়। পরে ১৯৮০ সালে টেরিডেস হোম নামে এক বিদেশি সংস্থা তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে সরকারি অন্ধ বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। প্রাথমিক পাস করার পরে খুলনা সরকারি অন্ধ ও বধির বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে দশম শ্রেণি পাশ করেন তিনি। পরে তেজগাঁও রহমতি আলম ইসলামী মিশন থেকে ব্রেইল পদ্ধতিতে চার বছর পড়াশোনার পর কোরআন শরিফ মুখস্থ করেন। ২০০১ সালে বিয়ে করেন অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর।
সংসার জীবন শুরু করার পরে অন্যের আর্থিক সহায়তায় একটি ব্রেইল মেশিন কিনেন তিনি। সেই ব্রেইল মেশিনের সাহায্যে কোরআন শিক্ষা দিয়ে যে আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। এর মধ্যে তাদের ঘরে আসে এক ছেলে সন্তান সিরাজুল। অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর জানান, ব্রেইল মেশিনটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হৃদয়বান ব্যক্তি দিতে চেয়েছেন। তবে এখনো হাতে পাননি। এ প্রসঙ্গে অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর বলেন, তার পৈতৃক নিবাস ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর ২০১০ সালে উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে তিন শতক জমি কিনেন তিনি। পরে সেই জমিতে বাড়ি করে এখন পর্যন্ত সেখানেই বাস করছেন। কিন্তু বর্তমানে জমির পূর্ব মালিক জমি বৈধভাবে ক্রয় করা হয়নি বলে তাকে বাড়ি ভাঙতে নিত্যদিন চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, আমরা অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগরের বাড়িতে গিয়েছি। তার বসতভিটার যে তিন শতক জমি নিয়ে ঝামেলা আছে সেই জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছি। দ্রুতই এ সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে।
গুটিবসন্তে দৃষ্টিশক্তি হারানো হাফেজ চান সওদাগরের (৫০) জীবিকা নির্বাহের ব্রেইল মেশিনটি নষ্ট সাত মাস হয়েছে। ব্রেইল মেশিনটি নষ্ট হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে তার জীবিকার পথ। জীবিকার পথ বন্ধ হওয়ায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে চান সওদাগরের। সঙ্গে বসতভিটা নিয়ে জটিলতা। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘা।
চান সওদাগরের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। দৃষ্টি শক্তি হারানো চান সওদাগরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, জন্মান্ধ নন তিনি। ৪ বছর বয়সে গুটি বসন্ত রোগ কেড়ে নেয় তার দুচোখের আলো। সে থেকেই চোখের আলোর সঙ্গে সঙ্গে নিভে যায় তার স্বপ্ন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চাঁন সওদাগরের বয়স যখন চার বছর তখন তার বাবা মুনছর আলী মারা যান। জয়-বাংলা স্লোগান দেওয়ায় পাক হানাদার বাহিনী তার বাবাকে প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দেয়। মা খয়ারী বেগম মারা যান ১৯৭৪ সালে।
বাবা মাকে হারিয়ে অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগরের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ছয় বছর ছিলেন স্থানীয় হরিচন্ডি এতিমখানায়। পরে ১৯৮০ সালে টেরিডেস হোম নামে এক বিদেশি সংস্থা তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে সরকারি অন্ধ বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন। প্রাথমিক পাস করার পরে খুলনা সরকারি অন্ধ ও বধির বিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে দশম শ্রেণি পাশ করেন তিনি। পরে তেজগাঁও রহমতি আলম ইসলামী মিশন থেকে ব্রেইল পদ্ধতিতে চার বছর পড়াশোনার পর কোরআন শরিফ মুখস্থ করেন। ২০০১ সালে বিয়ে করেন অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর।
সংসার জীবন শুরু করার পরে অন্যের আর্থিক সহায়তায় একটি ব্রেইল মেশিন কিনেন তিনি। সেই ব্রেইল মেশিনের সাহায্যে কোরআন শিক্ষা দিয়ে যে আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। এর মধ্যে তাদের ঘরে আসে এক ছেলে সন্তান সিরাজুল। অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর জানান, ব্রেইল মেশিনটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হৃদয়বান ব্যক্তি দিতে চেয়েছেন। তবে এখনো হাতে পাননি। এ প্রসঙ্গে অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগর বলেন, তার পৈতৃক নিবাস ব্রহ্মপুত্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর ২০১০ সালে উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে তিন শতক জমি কিনেন তিনি। পরে সেই জমিতে বাড়ি করে এখন পর্যন্ত সেখানেই বাস করছেন। কিন্তু বর্তমানে জমির পূর্ব মালিক জমি বৈধভাবে ক্রয় করা হয়নি বলে তাকে বাড়ি ভাঙতে নিত্যদিন চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, আমরা অন্ধ হাফেজ চাঁন সওদাগরের বাড়িতে গিয়েছি। তার বসতভিটার যে তিন শতক জমি নিয়ে ঝামেলা আছে সেই জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছি। দ্রুতই এ সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪