Ajker Patrika

তারাগঞ্জে ভাঙা কালভার্টে দুর্ভোগে সাত গ্রামের মানুষ

তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৫: ২৯
Thumbnail image

তারাগঞ্জের হাজীপুর-বামনদীঘি কাঁচা রাস্তার ওপর নির্মিত একটি কালভার্ট দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে আছে। এটি পুনর্নির্মাণ না করায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আশপাশের সাত গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাঁরা উৎপাদিত ফসল সহজে ঘরে ওঠাতে ও বাজারজাত করতে পারছেন না।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কালভার্টটির প্রায় পুরোটা ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। সড়কের মাঝখানে নালার মতো সৃষ্টি হয়েছে। লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টের পাশ দিয়ে চলাচল করছেন। তবে যানবাহনগুলো অতিরিক্ত দুই কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে বালাবাড়ি বাজার দিয়ে যাতায়াত করছে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইকরচালী ইউনিয়নের উত্তর পাশের সাত গ্রামের মানুষ রাস্তাটি দিয়ে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন। সেই সঙ্গে চলে ট্রাক, ট্রালি ও মাইক্রোবাস। এখানে পচা মিয়ার বাড়ির কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে আলু বহনকারী ট্রলি পারাপারের সময় কালভার্টটি ভেঙে যায়। পরে আর এটি সংস্কার না করায় হাজীপুর, চকিদারপাড়া, জুম্মাপাড়া, ফকিরপাড়া, বামনদীঘি, ছুট হাজীপুর ও তালেবারপাড়া গ্রামের মানুষকে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাঁরা উৎপাদিত ফসল সহজে বাজারজাত করতে পারছেন না।

হাজীপুর গ্রামের দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কালভার্টটি ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতায়াতের বিকল্প পথ না থাকায় ওই স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। কিন্তু খেতে উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে কাটার পর এখান দিয়ে ঘরে তুলতে পারছি না, বাজারজাত করা যাচ্ছে না।’

চৌকিদারপাড়া গ্রামের অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় রিকশা-ভ্যানসহ তিন-চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ। এতে আমাদের অতিরিক্ত পথ ঘুরে ফসল বাজারজাত করতে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে। আমরা চাই দ্রুত যেন কালভার্ট সংস্কার করে হাজারো মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করা হয়।’

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তাজ উদ্দিন বলেন, ‘কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। এটি ভেঙে যাওয়ায় সাত গ্রামের ৪ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। যত দ্রুত সেখানে কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তত দ্রুত হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, পরিষদে অর্থ না থাকায় এটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ওই সড়কে ভেঙে যাওয়া কালভার্টটির বিষয়ে জেনেছি। দু-এক দিনের মধ্যে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত