Ajker Patrika

কিস্তি না পেয়ে দোকানিকে নির্যাতন ছাত্রলীগ নেতার

নাটোর প্রতিনিধি
কিস্তি না পেয়ে দোকানিকে নির্যাতন ছাত্রলীগ নেতার

ঋণের কিস্তি না পেয়ে ঋণগ্রহীতা দোকানিকে মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোকনুজ্জামান রাসেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ ছাত্রলীগ নেতা রোকনুজ্জামান রাসেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুদের ব্যবসা-সংক্রান্ত মারধরের মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২৫ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার করোটা এলাকায় মারধরের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত আব্দুস সাত্তার সরকারকে (৪০) উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. সাব্বির বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাসেলসহ দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা চাইপাড়া গ্রামের মুদিদোকানি আব্দুস সাত্তার  তাঁর ব্যবসার প্রয়োজনে তিন মাস আগে পাশের করোটা গ্রামের রোকনুজ্জামান রাসেলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা সুদে ধার নেন। সুদের শর্ত অনুযায়ী ওই টাকার সাপ্তাহিক সুদ হিসাবে ৫০০ টাকা দিতে থাকেন সাত্তার। যত দিন ৫ হাজার টাকা পরিশোধ না হবে তত দিন প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে সুদ দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয় তাঁকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাত্তারের কাছে সুদের টাকা নিতে পাঠানো হয় শিমুলকে। হাতে টাকা নেই বলেন সাত্তার। এরপরই দলবলসহ আসেন রাসেল। এসেই তাঁরা সাত্তারকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে রোকন মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে সাত্তারের মাথায় আঘাত করলে চাবির কিছু অংশ তাঁর মাথায় ঢুকে যায়। এ সময় তাঁর দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরও করা হয়।

হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি টাকা দিতে না পারায় তাঁর প্রতিনিধি শিমুল চলে যান। তখন আমার মনে হয় যে রোকনুজ্জামান এসে ঝামেলা করবেন। তখন টাকা ধার করে এনে আমি তাঁর বাবার হাতে দিয়ে আসি এবং অনুরোধ করি যেন তিনি আমার দোকানে হামলা না চালান। কিন্তু এরপরও আমাকে মারধর করা হয়।’

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন বলেন, তাঁরা রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের জেলা সভাপতি ফরহাদ-বিন আজিজের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাসেলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত