বাসব রায়
দিন দিন কিছু মানুষ বোধহীন হয়ে পড়ছে আর তার প্রভাব নিমেষেই সমাজকে কলুষিত করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ চরম স্বার্থপর আচরণ করছে এবং সীমাহীন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় শামিল হচ্ছে। ফলে মানুষ নিজের অস্তিত্ব ভুলতে বসেছে; বিশেষ করে নিয়মনীতির ধারেকাছেও আর মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বিনষ্ট অনুভূতি নিয়ে একে অপরের কাছে চরম শত্রু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চলছে।
নৈতিকতার চরম স্খলন, দুর্নীতির ব্যাপকতা, নৈরাজ্যের বিপরীতে শৃঙ্খলার দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। আর এসব বিষয় মানুষের হৃদয়কে বিষাক্ত করে তুলছে। মানুষ একে অপরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারছে না। আইন আছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার প্রয়োগও দেখা যায়, কিন্তু মানুষ এতটাই বেপরোয়া যে আজকাল কোনো কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছে না। নীতিহীন সমাজের এরূপ কদর্য রূপ একটি জাতির জন্য ভয়াবহ দুর্দিন বয়ে আনতে পারে, যা যুগ যুগ ধরে এর রেশ চলমান থাকতে পারে। ফলে সব অর্জন নেতিবাচক হয়ে যেতে পারে।
সমাজবিজ্ঞানীদের ধারণা অনুসারে, আমরা জানি ‘যেকোনো সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং সমাজস্বীকৃত আচার-আচরণের সমষ্টি হলো ‘সামাজিক মূল্যবোধ’। সমাজে বসবাসকারী মানুষের ধ্যানধারণা, বিশ্বাস, সংকল্প, মানুষের আচার-আচরণ এবং কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক মূল্যবোধ। নির্মম সত্যিটা হলো এই, আমরা জেনে-বুঝেও এসব মানছি না বা মেনে নিতে পারছি না ৷
সামাজিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের জন্য কল্যাণকর সব ভাবনাকে বোঝায়। মানুষ তার নিজস্ব ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করার শিক্ষা এবং যোগ্যতা সমাজ থেকেই পেয়ে থাকে ৷ মানুষ তার কাজের মাধ্যমে অন্যদের কাছে বরণীয় ও স্মরণীয় হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ এখন পরস্পরের কাছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য মানুষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার পথে এবং কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই তা নষ্ট হয়ে গেছে। জোড়াতালির প্রজেক্ট-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, বৈষম্যজনিত বিশৃঙ্খলা, সম্মান ও ভালোবাসা, প্রতারণার নিত্যনতুন কলাকৌশল ইত্যাদি বিষয় সামাজিক পটভূমিকে স্বাভাবিকতা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। বিষম অন্ধকার বুকে ধারণ করে আমরা কৃত্রিম আলোর দিকে ছুটছি।
বৃদ্ধ মা-বাবা আজকাল সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে উঠছেন। মানুষের হাতে সময় কম, আপনজনদের দেখাশোনা করার ফুরসতটুকুও আর হয়ে উঠছে না। এটি একটি অজুহাত মাত্র যে সময়ের অভাবে মা-বাবাকে দেখতে পারছে না! নিজেকে জানতে ও চিনতেও পারছে না। সন্তানেরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে আর মা-বাবা বুকভরা যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর শেষ প্রহরের আগপর্যন্ত চোখের জলের শুকনো ক্ষত ধারণ করে অপেক্ষা করছেন। দুর্বিষহ এমন সব পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাটা আজ ভয়ানক নড়বড়ে। ভবিষ্যতের সুখের আশায় শিকড়কে অস্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাও আর মানুষ করছে না।
আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত কিছু মানুষের কারণে অজস্র অর্জন আজ হুমকির মুখে। সার্বিক উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একদল মরিয়া আবার গঠনমূলক সমালোচনা বা আলোচনাও আমরা সহ্য করতে পারি না। উভয়সংকটের ওপর দাঁড়িয়ে একটি জাতি বা সমাজব্যবস্থা কতক্ষণ দৃঢ় থাকতে পারে! সামাজিক কাঠামো একটি চলমান-প্রক্রিয়া। আর যুগে যুগে মানুষই এর সংস্কার করেছে এবং ভেঙেচুরে আবার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সক্ষমও হয়েছে।
রাজনৈতিক দর্শন এবং চেতনার সামঞ্জস্যহীনতা, নানামুখী মতবাদ ও ভাবনার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্বলতা বা বলিষ্ঠতার অভাবে সমাজে বিবিধ টানাপোড়েনের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তালগোল পাকিয়ে একধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে, যা কারও জন্যই সুখকর বার্তা নিয়ে আসবে না। এ জন্য সহনশীল এবং মানবিক মানুষ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সঠিক বোধের অভাবে স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে ভুল ভাবাবেগে ভর করে কিছুটা চলা যায়, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। ক্ষীণ চেতনাকে বৃহৎ করে দেখার বা দেখানোর প্রক্রিয়া থেকে সাবধান হওয়াটা খুবই দরকার। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে রুদ্ধ করে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তাই উন্মুক্ত হোক ভাবনার পথ, খোলামেলা রুচিশীল বোধের ভাবনায় মানুষ হোক সমৃদ্ধ—এটাই বেশির ভাগ মানুষের প্রত্যাশা। মাত্রাহীন অবক্ষয়কে যে করেই হোক ঠেকাতেই হবে, না হলে মানুষের অর্জিত জ্ঞান-শিক্ষা এসবের আর মূল্য থাকবে না।
দিন দিন কিছু মানুষ বোধহীন হয়ে পড়ছে আর তার প্রভাব নিমেষেই সমাজকে কলুষিত করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ চরম স্বার্থপর আচরণ করছে এবং সীমাহীন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় শামিল হচ্ছে। ফলে মানুষ নিজের অস্তিত্ব ভুলতে বসেছে; বিশেষ করে নিয়মনীতির ধারেকাছেও আর মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বিনষ্ট অনুভূতি নিয়ে একে অপরের কাছে চরম শত্রু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চলছে।
নৈতিকতার চরম স্খলন, দুর্নীতির ব্যাপকতা, নৈরাজ্যের বিপরীতে শৃঙ্খলার দায়বদ্ধতা নেই বললেই চলে। আর এসব বিষয় মানুষের হৃদয়কে বিষাক্ত করে তুলছে। মানুষ একে অপরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারছে না। আইন আছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার প্রয়োগও দেখা যায়, কিন্তু মানুষ এতটাই বেপরোয়া যে আজকাল কোনো কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছে না। নীতিহীন সমাজের এরূপ কদর্য রূপ একটি জাতির জন্য ভয়াবহ দুর্দিন বয়ে আনতে পারে, যা যুগ যুগ ধরে এর রেশ চলমান থাকতে পারে। ফলে সব অর্জন নেতিবাচক হয়ে যেতে পারে।
সমাজবিজ্ঞানীদের ধারণা অনুসারে, আমরা জানি ‘যেকোনো সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব এবং সমাজস্বীকৃত আচার-আচরণের সমষ্টি হলো ‘সামাজিক মূল্যবোধ’। সমাজে বসবাসকারী মানুষের ধ্যানধারণা, বিশ্বাস, সংকল্প, মানুষের আচার-আচরণ এবং কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক মূল্যবোধ। নির্মম সত্যিটা হলো এই, আমরা জেনে-বুঝেও এসব মানছি না বা মেনে নিতে পারছি না ৷
সামাজিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের জন্য কল্যাণকর সব ভাবনাকে বোঝায়। মানুষ তার নিজস্ব ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করার শিক্ষা এবং যোগ্যতা সমাজ থেকেই পেয়ে থাকে ৷ মানুষ তার কাজের মাধ্যমে অন্যদের কাছে বরণীয় ও স্মরণীয় হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ এখন পরস্পরের কাছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য মানুষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার পথে এবং কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই তা নষ্ট হয়ে গেছে। জোড়াতালির প্রজেক্ট-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, বৈষম্যজনিত বিশৃঙ্খলা, সম্মান ও ভালোবাসা, প্রতারণার নিত্যনতুন কলাকৌশল ইত্যাদি বিষয় সামাজিক পটভূমিকে স্বাভাবিকতা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। বিষম অন্ধকার বুকে ধারণ করে আমরা কৃত্রিম আলোর দিকে ছুটছি।
বৃদ্ধ মা-বাবা আজকাল সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে উঠছেন। মানুষের হাতে সময় কম, আপনজনদের দেখাশোনা করার ফুরসতটুকুও আর হয়ে উঠছে না। এটি একটি অজুহাত মাত্র যে সময়ের অভাবে মা-বাবাকে দেখতে পারছে না! নিজেকে জানতে ও চিনতেও পারছে না। সন্তানেরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে আর মা-বাবা বুকভরা যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর শেষ প্রহরের আগপর্যন্ত চোখের জলের শুকনো ক্ষত ধারণ করে অপেক্ষা করছেন। দুর্বিষহ এমন সব পরিস্থিতিতে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাটা আজ ভয়ানক নড়বড়ে। ভবিষ্যতের সুখের আশায় শিকড়কে অস্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাও আর মানুষ করছে না।
আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত কিছু মানুষের কারণে অজস্র অর্জন আজ হুমকির মুখে। সার্বিক উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একদল মরিয়া আবার গঠনমূলক সমালোচনা বা আলোচনাও আমরা সহ্য করতে পারি না। উভয়সংকটের ওপর দাঁড়িয়ে একটি জাতি বা সমাজব্যবস্থা কতক্ষণ দৃঢ় থাকতে পারে! সামাজিক কাঠামো একটি চলমান-প্রক্রিয়া। আর যুগে যুগে মানুষই এর সংস্কার করেছে এবং ভেঙেচুরে আবার শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সক্ষমও হয়েছে।
রাজনৈতিক দর্শন এবং চেতনার সামঞ্জস্যহীনতা, নানামুখী মতবাদ ও ভাবনার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্বলতা বা বলিষ্ঠতার অভাবে সমাজে বিবিধ টানাপোড়েনের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তালগোল পাকিয়ে একধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে, যা কারও জন্যই সুখকর বার্তা নিয়ে আসবে না। এ জন্য সহনশীল এবং মানবিক মানুষ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সঠিক বোধের অভাবে স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে ভুল ভাবাবেগে ভর করে কিছুটা চলা যায়, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। ক্ষীণ চেতনাকে বৃহৎ করে দেখার বা দেখানোর প্রক্রিয়া থেকে সাবধান হওয়াটা খুবই দরকার। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে রুদ্ধ করে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তাই উন্মুক্ত হোক ভাবনার পথ, খোলামেলা রুচিশীল বোধের ভাবনায় মানুষ হোক সমৃদ্ধ—এটাই বেশির ভাগ মানুষের প্রত্যাশা। মাত্রাহীন অবক্ষয়কে যে করেই হোক ঠেকাতেই হবে, না হলে মানুষের অর্জিত জ্ঞান-শিক্ষা এসবের আর মূল্য থাকবে না।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫