আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
বিভিন্ন মামলায় জব্দ করা গাড়ি বিচার-কাজ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত ব্যবহার করতে চায় পুলিশ। নিজেদের গাড়ির সংকটের কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এমন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে এখনো সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া আলামত হিসেবে জব্দ গাড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আইনগত বিধিনিষেধও আছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে কেউ রিসিভার হতে পারেন, তবে তাতেও ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, কারও গাড়ি অন্য কেউ ব্যবহার করে ধ্বংস করতে পারেন না। পুলিশেরও সে অধিকার নেই।
ডিএমপির তথ্যানুযায়ী, মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় রাজধানীতে মোটর-সাইকেলসহ সাত ধরনের গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। বছরে এক থেকে দুই হাজার পর্যন্ত গাড়ি জব্দ করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত থানা চত্বরসহ বিভিন্ন ডাম্পিং স্টেশনে রাখা থাকে ওইসব গাড়ি।
কিছু গাড়ি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মালিক নিজ হেফাজতে নিলেও বেশির ভাগই পুলিশ হেফাজতে পড়ে থাকে খোলা আকাশের নিচে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই পুলিশ এসব গাড়ি তাদের কাজে ব্যবহার করতে চায়।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম একটা প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম, তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে যেসব গাড়ি জব্দ হয়, সেগুলো সরকারি কাজে যাতে পুলিশ ব্যবহার করতে পারে, সেই দাবি আমাদের ছিল। তবে পুলিশের ব্যবহারোপযোগী গাড়ি জব্দ হয় খুবই কম। সে রকম গাড়ি এখন পাওয়া যাচ্ছে না। আদালত অনুমতি দিলে কিছু গাড়ি হয়তো ব্যবহার করা যেত, যেমন ডেসটিনির গাড়ি পুলিশ ব্যবহার করছে।’
জানা যায়, ডিএমপি থেকে গত জানুয়ারিতে এমন একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তরে। ডিএমপি সদর দপ্তরের তৎকালীন উপকমিশনার (ক্রাইম) শচীন চাকমার সই করা ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের একটি বৃহৎ ও পুরোনো ইউনিট।
যানবাহনের স্বল্পতা থাকায় ভিভিআইপি, ভিআইপি নিরাপত্তা ও চাহিদা অনুযায়ী প্রটেকশন প্রদানে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই আদালতে বিচারাধীন আলামতের গাড়ি ডিএমপির অনুকূলে ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। তবে পুলিশ সদর দপ্তর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্রে জানা যায়, জব্দ কোনো গাড়ির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আদালত মনে করলে ডিএমপির হেফাজতে দিতে পারে। এ জন্য কোনো আইন বা বিধি করার প্রয়োজন নেই। পুরো বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভরশীল।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের গাড়ি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করছে ডিএমপি।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির বলেন, আদালত চাইলে অনুমতি দিতে পারে, তবে গণহারে এই সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘জব্দ সামগ্রী ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে কোনো সুর্নিদিষ্ট নীতিমালা নেই। এ জন্য আমরা ২০২২ সালে একটি রিট করেছিলাম। রিট আবেদনে দেশের বিভিন্ন মালখানায় কোটি কোটি টাকার গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত শুনানি শেষে রুলসহ আদেশ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারকে দুই মাসের মধ্যে জব্দ সামগ্রীর বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি।’
শিশির মনির আরও বলেন, ‘জব্দ মালামাল নিষ্পত্তির বিষয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নীতিমালা, নির্দেশনা আছে। তবে বাংলাদেশে তা নেই। এ জন্যই আমরা রিট করেছিলাম।’ তিনি বলেন, পুলিশকে যেহেতু একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে, তারা সেই প্রতিবেদন দেওয়ার পর আদালত একটি নির্দেশনা দিতে পারেন। তখন হয়তো জব্দ মালামালের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বর্তমানে ফৌজদারি মামলায় জব্দ কোনো গাড়ি পুলিশ ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারবে না।
বিভিন্ন মামলায় জব্দ করা গাড়ি বিচার-কাজ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত ব্যবহার করতে চায় পুলিশ। নিজেদের গাড়ির সংকটের কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এমন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে এখনো সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া আলামত হিসেবে জব্দ গাড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আইনগত বিধিনিষেধও আছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে কেউ রিসিভার হতে পারেন, তবে তাতেও ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। তাঁদের মতে, কারও গাড়ি অন্য কেউ ব্যবহার করে ধ্বংস করতে পারেন না। পুলিশেরও সে অধিকার নেই।
ডিএমপির তথ্যানুযায়ী, মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় রাজধানীতে মোটর-সাইকেলসহ সাত ধরনের গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। বছরে এক থেকে দুই হাজার পর্যন্ত গাড়ি জব্দ করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত থানা চত্বরসহ বিভিন্ন ডাম্পিং স্টেশনে রাখা থাকে ওইসব গাড়ি।
কিছু গাড়ি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মালিক নিজ হেফাজতে নিলেও বেশির ভাগই পুলিশ হেফাজতে পড়ে থাকে খোলা আকাশের নিচে। মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। তাই পুলিশ এসব গাড়ি তাদের কাজে ব্যবহার করতে চায়।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম একটা প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম, তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে যেসব গাড়ি জব্দ হয়, সেগুলো সরকারি কাজে যাতে পুলিশ ব্যবহার করতে পারে, সেই দাবি আমাদের ছিল। তবে পুলিশের ব্যবহারোপযোগী গাড়ি জব্দ হয় খুবই কম। সে রকম গাড়ি এখন পাওয়া যাচ্ছে না। আদালত অনুমতি দিলে কিছু গাড়ি হয়তো ব্যবহার করা যেত, যেমন ডেসটিনির গাড়ি পুলিশ ব্যবহার করছে।’
জানা যায়, ডিএমপি থেকে গত জানুয়ারিতে এমন একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তরে। ডিএমপি সদর দপ্তরের তৎকালীন উপকমিশনার (ক্রাইম) শচীন চাকমার সই করা ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের একটি বৃহৎ ও পুরোনো ইউনিট।
যানবাহনের স্বল্পতা থাকায় ভিভিআইপি, ভিআইপি নিরাপত্তা ও চাহিদা অনুযায়ী প্রটেকশন প্রদানে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই আদালতে বিচারাধীন আলামতের গাড়ি ডিএমপির অনুকূলে ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। তবে পুলিশ সদর দপ্তর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্রে জানা যায়, জব্দ কোনো গাড়ির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আদালত মনে করলে ডিএমপির হেফাজতে দিতে পারে। এ জন্য কোনো আইন বা বিধি করার প্রয়োজন নেই। পুরো বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভরশীল।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের গাড়ি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করছে ডিএমপি।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির বলেন, আদালত চাইলে অনুমতি দিতে পারে, তবে গণহারে এই সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘জব্দ সামগ্রী ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে কোনো সুর্নিদিষ্ট নীতিমালা নেই। এ জন্য আমরা ২০২২ সালে একটি রিট করেছিলাম। রিট আবেদনে দেশের বিভিন্ন মালখানায় কোটি কোটি টাকার গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে উচ্চ আদালত শুনানি শেষে রুলসহ আদেশ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারকে দুই মাসের মধ্যে জব্দ সামগ্রীর বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পুলিশ এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন দেয়নি।’
শিশির মনির আরও বলেন, ‘জব্দ মালামাল নিষ্পত্তির বিষয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নীতিমালা, নির্দেশনা আছে। তবে বাংলাদেশে তা নেই। এ জন্যই আমরা রিট করেছিলাম।’ তিনি বলেন, পুলিশকে যেহেতু একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে, তারা সেই প্রতিবেদন দেওয়ার পর আদালত একটি নির্দেশনা দিতে পারেন। তখন হয়তো জব্দ মালামালের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে বর্তমানে ফৌজদারি মামলায় জব্দ কোনো গাড়ি পুলিশ ইচ্ছা করলেই ব্যবহার করতে পারবে না।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২০ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪