মির্জাপুর প্রতিনিধি
মির্জাপুরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতু। দুই বছর ধরে নিজেদের দেওয়া চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে এ সেতুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। ইতিমধ্যে সেতুটির প্রায় ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই সেতু নির্মাণে অর্ধকোটি টাকারও বেশি খরচ হবে বলে ওই গ্রামবাসী জানিয়েছেন।
গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামে লৌহজং নদীর ধারা বিভক্ত হয়েছে। গ্রামের দক্ষিণ পাড়ের মানুষ নদী পার হয়ে উপজেলা সদর, দেওহাটা বাজার ও স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এ ছাড়া অপর পাড়ের মানুষ নদী পার হয়ে তাঁদের আবাদি জমির ফসল আনা-নেওয়া করেন। এই গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল লৌহজং নদীতে মোল্লাবাড়ি ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, লৌহজং নদীর ওপর ওই গ্রামের মানুষের টাকা ও স্বেচ্ছাশ্রমে আটটি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে কাজ বন্ধ। চলাচলের জন্য সেই পিলারের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন নদী পারাপার হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘সারা বছর নৌকায় পারাপারের জন্য আমরা ঘাটের মাঝিকে ধান ও টাকা দিই। দুই বছর আগে পাকা খুঁটি করে নদীতে কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই উদ্যোগে গ্রামের ধনী-দরিদ্র সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। প্রতি বাড়ি থেকে ন্যূনতম ২ হাজার করে চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া ইটভাটার মালিকেরা এক ট্রাক করে ইট দিয়ে সহযোগিতা করেন।’
গ্রামের বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী রিপন ও ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, নদীর তলদেশের ১০ ফুট নিচ থেকে ঢালাই করে ৩২ ফুট উচ্চতার ৮টি খুঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট ও প্রস্থ ১১ ফুট।
ইউপি সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই সেতুর কাজ শেষ হলে মীর দেওহাটা গ্রামের মানুষ ছাড়া আড়াইপাড়া, মন্দিরাপাড়া, বুধিরাপাড়া, পাহাড়পুর ও ভাওড়া গ্রামের মানুষ অল্প সময়ে দেওহাটা হয়ে ঢাকা ও টাঙ্গাইল যাতায়াত করতে পারবে। সেতুটি নির্মাণে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করি।’
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে টেকনিক্যাল কোনো পরামর্শ লাগলে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, ‘গ্রামবাসীর উদ্যোগে সেতু নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি। তাঁদের ওই কাজে উপজেলা পরিষদ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’
মির্জাপুরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতু। দুই বছর ধরে নিজেদের দেওয়া চাঁদা ও স্বেচ্ছাশ্রমে এ সেতুর নির্মাণকাজ এখনো চলছে। ইতিমধ্যে সেতুটির প্রায় ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই সেতু নির্মাণে অর্ধকোটি টাকারও বেশি খরচ হবে বলে ওই গ্রামবাসী জানিয়েছেন।
গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামে লৌহজং নদীর ধারা বিভক্ত হয়েছে। গ্রামের দক্ষিণ পাড়ের মানুষ নদী পার হয়ে উপজেলা সদর, দেওহাটা বাজার ও স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এ ছাড়া অপর পাড়ের মানুষ নদী পার হয়ে তাঁদের আবাদি জমির ফসল আনা-নেওয়া করেন। এই গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল লৌহজং নদীতে মোল্লাবাড়ি ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, লৌহজং নদীর ওপর ওই গ্রামের মানুষের টাকা ও স্বেচ্ছাশ্রমে আটটি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে কাজ বন্ধ। চলাচলের জন্য সেই পিলারের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন নদী পারাপার হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘সারা বছর নৌকায় পারাপারের জন্য আমরা ঘাটের মাঝিকে ধান ও টাকা দিই। দুই বছর আগে পাকা খুঁটি করে নদীতে কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই উদ্যোগে গ্রামের ধনী-দরিদ্র সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। প্রতি বাড়ি থেকে ন্যূনতম ২ হাজার করে চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া ইটভাটার মালিকেরা এক ট্রাক করে ইট দিয়ে সহযোগিতা করেন।’
গ্রামের বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী রিপন ও ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, নদীর তলদেশের ১০ ফুট নিচ থেকে ঢালাই করে ৩২ ফুট উচ্চতার ৮টি খুঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট ও প্রস্থ ১১ ফুট।
ইউপি সদস্য ও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই সেতুর কাজ শেষ হলে মীর দেওহাটা গ্রামের মানুষ ছাড়া আড়াইপাড়া, মন্দিরাপাড়া, বুধিরাপাড়া, পাহাড়পুর ও ভাওড়া গ্রামের মানুষ অল্প সময়ে দেওহাটা হয়ে ঢাকা ও টাঙ্গাইল যাতায়াত করতে পারবে। সেতুটি নির্মাণে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতা কামনা করি।’
উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে টেকনিক্যাল কোনো পরামর্শ লাগলে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, ‘গ্রামবাসীর উদ্যোগে সেতু নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি। তাঁদের ওই কাজে উপজেলা পরিষদ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
২০ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪