Ajker Patrika

বাড়ছে না জাহাজ, নিয়মিত দুটিতে বাড়বে ট্রিপ

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২২, ১০: ১৫
বাড়ছে না জাহাজ, নিয়মিত দুটিতে বাড়বে ট্রিপ

করোনায় টানা দুই বছর ঈদ উৎসবে বাড়ি ফিরতে পারেননি দক্ষিণের মানুষ। এবার তাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরামদায়ক যাত্রা নৌপথ। এবার ঈদে লঞ্চের টিকিট আগেভাগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রীদের শেষ ভরসা ছিল রাষ্ট্রীয় নৌযান। কিন্তু ঈদেও দৈন্যদশায় ভুগছে এ অঞ্চলের স্টিমার সার্ভিস।

জানা গেছে, এবারের ঈদে বিশেষ সার্ভিসের জন্য কোনো বাড়তি জাহাজ দেওয়া হচ্ছে না। বরং সার্ভিসে থাকা তিনটির মধ্যে দুটি স্টিমারের ট্রিপ বাড়িয়ে জোড়াতালি দিয়ে ঈদের বিশেষ সার্ভিস দেবে বিআইডব্লিউটিসি।

জানতে চাইলে এমভি মধুমতির মাস্টার আব্দুল হাই বলেন, মধুমতি আগে দুদিন সার্ভিসে ছিল। তবে ঈদ উপলক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ট্রিপ দেওয়া হবে। আগামী ৫ মে পর্যন্ত ঈদের শিডিউল চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটা অনুযায়ী ঢাকা, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, কাউখালী, হুলারহাট, চরখালী, মাছুয়া, সন্নাসী, মোড়েলগঞ্জ রুটে সার্ভিস দেওয়া হবে। এমভি মধুমতি ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানী থেকে রওনা দেবে। বরিশাল ভোর সাড়ে ৪টায় ভিড়বে। আর মোড়েলগঞ্জে বেলা দেড়টায় ভিড়তে পারে।

বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, ঈদে নিয়মিত জাহাজ এমভি মধুমতি, এমভি বাঙালি ছাড়া নতুন জাহাজ দেওয়া হবে না। তবে ট্রিপ বাড়ানো হবে। এর আগে এই দুটি স্টিমার সপ্তাহে দুদিন করে চলত। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্টিমার মাসহুদও ঈদে চালানো যাবে না। তিনি বলেন, এবারের ঈদে বিশেষ সার্ভিস বলতে ট্রিপ বাড়িয়ে দেওয়াকেই বোঝাবে।

পিরোজপুরের কাউখালীর ব্যবসায়ী জাকির হোসেন রাজধানী থেকে মালামাল আনতেন স্টিমারে। তিনি জানান, স্টিমারে মালামাল পরিবহন সহজ। কিন্তু এই সার্ভিসটিকে নানাভাবে অচল করা হয়েছে। ঈদেও এর দৈন্যদশা কাটছে না।

একই ধরনের আক্ষেপ জানিয়েছেন, ঝালকাঠি, চরখালী, মাছুয়ার একাধিক যাত্রী। তাঁদের কথা—রাষ্ট্রীয় এ নৌযান সচল হলে ঈদে লঞ্চের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমত।

নৌ যাত্রী ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু বলেন, নদীপথে যাত্রীদের ঈদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা। ১২ দফার দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলে স্টিমার সার্ভিস সপ্তাহে ৭ দিন চালানোর কথা বলেছেন। বিশেষ করে ঈদযাত্রীদের জন্য বাড়তি স্টিমার দেওয়ার দাবিও তুলেছেন। লঞ্চের চেয়ে নিরাপদ সার্ভিস স্টিমার। তিনিও একসময় স্টিমারে রাজধানী গেছেন। এটি নিয়মিত চললে লঞ্চের হয়রানি রোধ হবে।

বিআইডব্লিউটিসি বরিশালের এজিএম কে এম ইমরান জানান, এ অঞ্চলে দুদিন স্টিমার চলে। বুধ ও শনিবার মধুমতি ও বাঙ্গালি সার্ভিস দিচ্ছে। ঈদের জন্য এই দুটির ট্রিপ বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। স্টিমার মাসহুদ পুরোনো, তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদে পুরোনো কোনো স্টিমার আর সার্ভিসে আসছে না। চট্টগ্রামে নতুন জাহাজ আছে, কিন্তু ঈদে তা দেওয়া হবে কি না, সেটি অনিশ্চিত। প্রধান কার্যালয়ের এ সপ্তাহের সভায় ঈদ শিডিউল বিষয়ে পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত