মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
ওলকচু চাষে খরচ হয় কম, লাভ হয় প্রায় তিন গুণ। পতিত জমিতেও এ ফসল চাষ করা যায়। তাই অল্প খরচে ওলকচু চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা।
তাঁরা স্থানীয় উন্নত জাতের কন্দাল ফসল চাষ প্রকল্পের আওতায় এবার ওলকচু চাষ করছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কন্দাল ফসল চাষ প্রকল্পের আওতায় এবার বৈশাখ মাসের শেষার্ধে ২০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করেছেন তিনি। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, চারা রোপণ, জমির পরিচর্যা ও সেচ বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। বীজ বপনের সাত-আট মাসের মধ্যেই এ ফসল ঘরে ওঠে। সে হিসাবে অগ্রহায়ণ বা পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় ফসল তুলতে পারবেন তিনি। সে পর্যন্ত খরচ হবে আরও ৫ হাজার টাকা।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিশ শতক জমিতে আমি ওলকচুর গাছ লাগিয়েছি ৪৫০টি। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ৫০টি গাছ মরে গেলেও বেঁচে থাকবে ৪০০টি। প্রতিটি গাছ থেকে ৬-৮ কেজি পর্যন্ত ওল পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সে হিসাবে ফলন হওয়ার কথা ২ হাজার ৪০০ কেজি। খুচরা বাজারে ওলকচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পাইকারিতে বিক্রি হয় অন্তত ৩০ টাকা কেজি দরে।
পাইকারিতে বিক্রি করলেও এ ফসল থেকে পাব অন্তত ৭০ হাজার টাকা। তাতে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে অন্তত ৫০ হাজার টাকা।’
সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় বেশ কয়েকজন কৃষক এবার ওলকচু চাষ করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, এই
বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকেরা গাছপ্রতি ৭ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওলের ফলন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়সার ইকবাল বলেন, ওলকচু চাষে খরচ হয় নামমাত্র। কিন্তু লাভ হয় দুই থেকে তিন গুণ। এতে রোগবালাই কম। অনাবৃষ্টি বা খরার কবলে না পড়লে, সেচের প্রয়োজন হয় না। পরিত্যক্ত আধা ছায়া জায়গায়ও এটি হয়।
রোদযুক্ত জায়গায় লাগানো গেলে ফলন ভালো হয়। বাজারদর কম থাকলে, ফসল না তুললেও ক্ষতি হয় না। দেরিতে তুললে ফলন আরও বাড়ে। মোট কথা, ওলকচু
চাষে লোকসানের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
কায়সার ইকবাল আরও জানান, জয়পুরহাটের কৃষকদের ওল চাষে আগ্রহী করার জন্য কৃষি বিভাগ নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থানে বেশ কিছু প্রদর্শনী প্লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা কৃষিকাজে নতুন আসছেন, তাঁদের জন্যও ওল চাষ নিরাপদ।
ওলকচু চাষে খরচ হয় কম, লাভ হয় প্রায় তিন গুণ। পতিত জমিতেও এ ফসল চাষ করা যায়। তাই অল্প খরচে ওলকচু চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা।
তাঁরা স্থানীয় উন্নত জাতের কন্দাল ফসল চাষ প্রকল্পের আওতায় এবার ওলকচু চাষ করছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কন্দাল ফসল চাষ প্রকল্পের আওতায় এবার বৈশাখ মাসের শেষার্ধে ২০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করেছেন তিনি। জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, চারা রোপণ, জমির পরিচর্যা ও সেচ বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। বীজ বপনের সাত-আট মাসের মধ্যেই এ ফসল ঘরে ওঠে। সে হিসাবে অগ্রহায়ণ বা পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় ফসল তুলতে পারবেন তিনি। সে পর্যন্ত খরচ হবে আরও ৫ হাজার টাকা।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিশ শতক জমিতে আমি ওলকচুর গাছ লাগিয়েছি ৪৫০টি। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ৫০টি গাছ মরে গেলেও বেঁচে থাকবে ৪০০টি। প্রতিটি গাছ থেকে ৬-৮ কেজি পর্যন্ত ওল পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সে হিসাবে ফলন হওয়ার কথা ২ হাজার ৪০০ কেজি। খুচরা বাজারে ওলকচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পাইকারিতে বিক্রি হয় অন্তত ৩০ টাকা কেজি দরে।
পাইকারিতে বিক্রি করলেও এ ফসল থেকে পাব অন্তত ৭০ হাজার টাকা। তাতে সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে অন্তত ৫০ হাজার টাকা।’
সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় বেশ কয়েকজন কৃষক এবার ওলকচু চাষ করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল রানা জানান, এই
বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকেরা গাছপ্রতি ৭ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত ওলের ফলন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়সার ইকবাল বলেন, ওলকচু চাষে খরচ হয় নামমাত্র। কিন্তু লাভ হয় দুই থেকে তিন গুণ। এতে রোগবালাই কম। অনাবৃষ্টি বা খরার কবলে না পড়লে, সেচের প্রয়োজন হয় না। পরিত্যক্ত আধা ছায়া জায়গায়ও এটি হয়।
রোদযুক্ত জায়গায় লাগানো গেলে ফলন ভালো হয়। বাজারদর কম থাকলে, ফসল না তুললেও ক্ষতি হয় না। দেরিতে তুললে ফলন আরও বাড়ে। মোট কথা, ওলকচু
চাষে লোকসানের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
কায়সার ইকবাল আরও জানান, জয়পুরহাটের কৃষকদের ওল চাষে আগ্রহী করার জন্য কৃষি বিভাগ নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য সদর উপজেলার দর্শনীয় স্থানে বেশ কিছু প্রদর্শনী প্লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁরা কৃষিকাজে নতুন আসছেন, তাঁদের জন্যও ওল চাষ নিরাপদ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪