Ajker Patrika

অজানা কারণে দুই বছরেও করা হয়নি উচ্ছেদ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ০০
অজানা কারণে দুই বছরেও করা হয়নি উচ্ছেদ অভিযান

ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী মৌজার খাসজমির ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দুই বছর আগে উদ্যোগ নিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ দুই বছরে একটি স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়নি।

ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দেশ্বরী মৌজায় গাজীখালী নদীর তীরে ৬৬ শতাংশ খাসজমি ২০ বছরে বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ওই জমি দখল করে সেখানে বহুতল ভবনসহ পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। বছরের পর বছর ধরে এসব স্থাপনা গড়ে উঠলেও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় থেকে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি। এমনকি দখল বিষয়ে কোনো তথ্যও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।

বিষয়টি জানতে পেরে এ প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদারদের তথ্য চেয়ে আবেদন করা হলে ২০১৯ সালে ধামরাইয়ের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে সাতজন অবৈধ দখলদারের তালিকা তৈরি করা হয়। ওই বছরই তাঁদের দখলে থাকা ৬৬ শতাংশ জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর দখলে বাধা না দেওয়ায় বালিয়া ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর পার হয়েছে দুই বছর। উচ্ছেদ করা হয়নি একটি স্থাপনাও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উচ্ছেদ নথি তৈরির সময় খাসজমিতে আফাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর একতলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল। তখন ভবনটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে তা সরকারের হেফাজতে নেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আফাজ উদ্দিন ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করে ভাড়া দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬৬ শতাংশ জমির সরকারি মালিকানা-সংক্রান্ত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে আফাজ উদ্দিন সাইনবোর্ড অপসারণ করে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আবার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।

আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করে ভাড়া দিয়েছি। সরকার চাইলে ভেঙে দিতে পারে। আমি কোনো বাধা দেব না।’

সরকারি মালিকানার সাইনবোর্ড সরানোর অভিযোগ সম্পর্কে আফাজ উদ্দিন বলেন, সাইনবোর্ড ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আবার তা স্থাপন করা হয়েছে।

বালিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এস এম মোশারফ হোসেন বলেন, লোকবলের অভাবে সরকারি জমিতে আফাজ উদ্দিনের নির্মাণাধীন ভবনটির কাজ সম্পন্ন করার বিষয়টি খোঁজ রাখা সম্ভব হয়নি। তবে পরে জানতে পেরে মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত