মিজানুর রহমান, কাউনিয়া (রংপুর)
তিস্তা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতের তোড়ে ভাঙছে পাড়ের জমি ও বসতবাড়ি। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রংপুরের কাউনিয়ায় নদী তীরবর্তী কয়েক শ পরিবার।
নদীপারের বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর বর্ষায় তিস্তায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিলেও স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভাঙনের কবলে পড়ে লোকজন গৃহ ও ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছেন। অনেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনকবলিত স্থানে বাঁশ পুঁতে ভিটামাটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রবল স্রোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে বালাপাড়ার আরাজী হরিশ্বর, পাঞ্চরভাঙ্গা ও ঢুষমারা এবং টেপামধুপুরের চরআজম খাঁ, চরগনাই, চরবিশ্বনাথ, চর টাবু ও হরিচরণ লস্কর গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও ১০০ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
চরগনাই গ্রামের আছিয়া বেগম জানান, আগে স্বামীর আবাদি জমি, হালের গরুসহ অনেক কিছু ছিল। নদী ভাঙতে ভাঙতে সব শেষ করে দিয়েছে। চার দিন আগে বসতভিটার সবটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে কয়েক দিন ধরে সরকারি রাস্তার ওপর ছাপরা তুলে আছেন। নদী তাঁর সব শেষ করে দিয়েছে। চেয়ারম্যান তাঁকে ১০ কেজি চাল দিয়েছেন।
তিস্তার ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হামরা ইলিপ চাই না। সরকার নদী খনন ও বান দেউক। নদীর পেট উচা হয়া গেইছে, কাছার দিয়া স্রোত যাবার নাগছে। তার ওপর বান নাই, তয় নদীতো হামার সউগ শেইস করি দেবার নাগছে।’
বিশ্বনাথ গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শুরুতেই তিস্তা নদীর ভাঙনে অনেক পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।
নদীভাঙন রোধ কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ বছর তিস্তা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বর্ষা মৌসুমে টেপামধুপুর ইউনিয়নের গনাই গ্রামের ১৭টি পরিবারের বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ভূমিহীন হয়ে রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া তীরবর্তী ১০ গ্রামের অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে।
কমিটির সভাপতি সামছুল আলম জানান, কমিটির সদস্যরা ও গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ পুঁতে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ৪০ বছর ধরে কাউনিয়া অঞ্চলে তিস্তার ভাঙনে সবকিছু বিলীন হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ইতিমধ্যে তিনি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিন মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙন রোধে ৫ হাজার জিও ব্যাগ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড এক হাজার খালি জিও ব্যাগ সরবরাহ করছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘কাউনিয়ায় স্থায়ীভাবে তিস্তার ভাঙন রোধে প্রকল্প ঢাকার অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত কয়েক দিন আগে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নদীভাঙন রোধে লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমের বিষয়টি আমাকে জানায়। ইতিমধ্যে সেখানে আমরা ১ হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহ করেছি।’
তিস্তা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। স্রোতের তোড়ে ভাঙছে পাড়ের জমি ও বসতবাড়ি। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রংপুরের কাউনিয়ায় নদী তীরবর্তী কয়েক শ পরিবার।
নদীপারের বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর বর্ষায় তিস্তায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিলেও স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভাঙনের কবলে পড়ে লোকজন গৃহ ও ভূমিহীন হয়ে যাচ্ছেন। অনেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনকবলিত স্থানে বাঁশ পুঁতে ভিটামাটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নের তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রবল স্রোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে বালাপাড়ার আরাজী হরিশ্বর, পাঞ্চরভাঙ্গা ও ঢুষমারা এবং টেপামধুপুরের চরআজম খাঁ, চরগনাই, চরবিশ্বনাথ, চর টাবু ও হরিচরণ লস্কর গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও ১০০ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
চরগনাই গ্রামের আছিয়া বেগম জানান, আগে স্বামীর আবাদি জমি, হালের গরুসহ অনেক কিছু ছিল। নদী ভাঙতে ভাঙতে সব শেষ করে দিয়েছে। চার দিন আগে বসতভিটার সবটুকু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে কয়েক দিন ধরে সরকারি রাস্তার ওপর ছাপরা তুলে আছেন। নদী তাঁর সব শেষ করে দিয়েছে। চেয়ারম্যান তাঁকে ১০ কেজি চাল দিয়েছেন।
তিস্তার ভাঙনে বসতবাড়ি হারানো সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হামরা ইলিপ চাই না। সরকার নদী খনন ও বান দেউক। নদীর পেট উচা হয়া গেইছে, কাছার দিয়া স্রোত যাবার নাগছে। তার ওপর বান নাই, তয় নদীতো হামার সউগ শেইস করি দেবার নাগছে।’
বিশ্বনাথ গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শুরুতেই তিস্তা নদীর ভাঙনে অনেক পরিবারের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।
নদীভাঙন রোধ কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ বছর তিস্তা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বর্ষা মৌসুমে টেপামধুপুর ইউনিয়নের গনাই গ্রামের ১৭টি পরিবারের বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ভূমিহীন হয়ে রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া তীরবর্তী ১০ গ্রামের অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে।
কমিটির সভাপতি সামছুল আলম জানান, কমিটির সদস্যরা ও গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ পুঁতে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ৪০ বছর ধরে কাউনিয়া অঞ্চলে তিস্তার ভাঙনে সবকিছু বিলীন হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ইতিমধ্যে তিনি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিন মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ভাঙন রোধে ৫ হাজার জিও ব্যাগ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড এক হাজার খালি জিও ব্যাগ সরবরাহ করছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘কাউনিয়ায় স্থায়ীভাবে তিস্তার ভাঙন রোধে প্রকল্প ঢাকার অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত কয়েক দিন আগে কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নদীভাঙন রোধে লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রমের বিষয়টি আমাকে জানায়। ইতিমধ্যে সেখানে আমরা ১ হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহ করেছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪