রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যসহ নানা কারণে আটকে আছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়োগ। এই সংখ্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদের প্রায় অর্ধেক। কবে দুই দপ্তরের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে নিয়োগ আটকে থাকায় হতাশ প্রায় ১০ লাখ আবেদনকারী। পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের দাবিতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলীকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আতিকুর রহমান বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে মাউশি ও ইইডির নিয়োগ কার্যক্রম। কিন্তু এখনো লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারেনি মাউশি। আর ইইডির মৌখিক পরীক্ষার চার মাস পরেও ফল প্রকাশ হয়নি। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থীর চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের মঞ্জুর করা পদ রয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪৫টি। এর মধ্যে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৩৯টি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শিক্ষা অফিস এবং সরকারি স্কুল-কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদের বিপরীতে ৪ হাজার ৩২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাউশি। এতে আবেদন করেন প্রায় ৯ লাখ চাকরিপ্রার্থী। পাঁচ ধাপে নেওয়া হয় একটি বাদে সব পদে এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা।
ষষ্ঠ ধাপে গত ১৩ মে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পদের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে এ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফল প্রকাশের কাজ শুরু হয়েছে। কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, অচিরেই মাউশির নিয়োগজট খোলার সম্ভাবনা কম। মাউশির চলমান নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। একপক্ষ চায় আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুরাহা হোক। আরেক পক্ষ চায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পদ বাদে বাকি পদগুলোর ফল প্রকাশ করতে। দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাউশির মতো শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) চলমান ১ হাজার ৪৫৬ জনের নিয়োগ কার্যক্রম আটকে আছে। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ১১ ধরনের পদে মোট ৭১ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ১২ ধরনের পদে ১ হাজার ২৬৫ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বাকি পদগুলো সংরক্ষিত পদ, যা চলমান নিয়োগের সঙ্গেই পূরণের কথা। এসব পদে আবেদনকারীর সংখ্যা লক্ষাধিক।
গত বছর মোট ছয় ধাপে এসব পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২৪ মার্চ। এরপর কিছু পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে এর ফলও প্রকাশ করা হয়। আর বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৯ মার্চ। এখন শুধু বাকি রয়েছে অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা।
এ দপ্তরের নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ না উঠলেও নিয়োগবিধি যথাযথ অনুসরণ না করার অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগেই শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের মৌখিক নির্দেশে স্থগিত করা হয় পুরো নিয়োগ কার্যক্রম। নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ইইডির বিভাগীয় নির্বাচন/পদোন্নতি কমিটির সভাপতি ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) রাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন সেসব বাধা আর নাই। আশা করছি আবারও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কিছুদিন আগে শিক্ষাসচিব আবারও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করতে নির্দেশ দেন প্রধান প্রকৌশলীকে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ নইমুল কাদের তাঁর দপ্তরে গেলেও সাক্ষাৎ দেননি।
প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ না করা এবং অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্যসহ নানা কারণে আটকে আছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়োগ। এই সংখ্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদের প্রায় অর্ধেক। কবে দুই দপ্তরের চলমান নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউই। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে নিয়োগ আটকে থাকায় হতাশ প্রায় ১০ লাখ আবেদনকারী। পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশের দাবিতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলীকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী আতিকুর রহমান বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে মাউশি ও ইইডির নিয়োগ কার্যক্রম। কিন্তু এখনো লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারেনি মাউশি। আর ইইডির মৌখিক পরীক্ষার চার মাস পরেও ফল প্রকাশ হয়নি। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থীর চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরের মঞ্জুর করা পদ রয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪৫টি। এর মধ্যে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৩৯টি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শিক্ষা অফিস এবং সরকারি স্কুল-কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদের বিপরীতে ৪ হাজার ৩২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাউশি। এতে আবেদন করেন প্রায় ৯ লাখ চাকরিপ্রার্থী। পাঁচ ধাপে নেওয়া হয় একটি বাদে সব পদে এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা।
ষষ্ঠ ধাপে গত ১৩ মে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পদের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে এ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও বিভাগীয় নির্বাচন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফল প্রকাশের কাজ শুরু হয়েছে। কবে হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেন, অচিরেই মাউশির নিয়োগজট খোলার সম্ভাবনা কম। মাউশির চলমান নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। একপক্ষ চায় আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুরাহা হোক। আরেক পক্ষ চায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পদ বাদে বাকি পদগুলোর ফল প্রকাশ করতে। দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাউশির মতো শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) চলমান ১ হাজার ৪৫৬ জনের নিয়োগ কার্যক্রম আটকে আছে। ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ১১ ধরনের পদে মোট ৭১ জনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ১২ ধরনের পদে ১ হাজার ২৬৫ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বাকি পদগুলো সংরক্ষিত পদ, যা চলমান নিয়োগের সঙ্গেই পূরণের কথা। এসব পদে আবেদনকারীর সংখ্যা লক্ষাধিক।
গত বছর মোট ছয় ধাপে এসব পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় গত ২৪ মার্চ। এরপর কিছু পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা নিয়ে এর ফলও প্রকাশ করা হয়। আর বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৯ মার্চ। এখন শুধু বাকি রয়েছে অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা।
এ দপ্তরের নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ না উঠলেও নিয়োগবিধি যথাযথ অনুসরণ না করার অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগেই শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের মৌখিক নির্দেশে স্থগিত করা হয় পুরো নিয়োগ কার্যক্রম। নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ইইডির বিভাগীয় নির্বাচন/পদোন্নতি কমিটির সভাপতি ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) রাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন সেসব বাধা আর নাই। আশা করছি আবারও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কিছুদিন আগে শিক্ষাসচিব আবারও নিয়োগ কার্যক্রম চালু করতে নির্দেশ দেন প্রধান প্রকৌশলীকে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রধান প্রকৌশলী শাহ্ নইমুল কাদের তাঁর দপ্তরে গেলেও সাক্ষাৎ দেননি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪