বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে দরিদ্র প্রসূতি ও অসহায় রোগীদের বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্সসেবা দিচ্ছেন শেফালী খাতুন (৩৬) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা। ২০১৯ সাল থেকে চলা এই কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ২৪০ জন রোগী উপকার পেয়েছেন।
শেফালী উপজেলার নগর ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের ময়লাল হোসেনের স্ত্রী ও মেরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জালোড়া গ্রামের আবুল হোসেন জানান, তাঁর বাবার অবস্থা মুমূর্ষু হলেও করোনা আতঙ্কে কোনো গাড়ি হাসপাতালে নিতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে শেফালীর অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান আবুল হোসেনের বাবা।
একই রকম উপকার পেয়েছেন পাঁচবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর রমজান আলী। তিনি বলেন, ‘আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারলে স্ত্রী-সন্তান দুজনেরই প্রাণ সংহারের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দরিদ্র মানুষ, অ্যাম্বুলেন্স ডাকার সাহস হচ্ছিল না। অবশেষে শেফালীর অ্যাম্বুলেন্সসেবায় আমার পরিবারের নতুন অতিথি আলোর মুখ দেখেছে।’
ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবা করার প্রবল ইচ্ছা কাজ করত শেফালীর মধ্যে। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ অসুস্থ অবস্থায় সময়মতো হাসপাতালে যেতে পারত না। বিষয়টি আমাকে পীড়া দিত। আমার বিদ্যালয়ের পাশে একজন মুদি দোকানি ছিলেন। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে কথা হতো। হঠাৎ শুনি সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারার কারণে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনা আমাকে খুব নাড়া দেয়।’
তখনই গ্রামের মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে কিছু একটা করার পরিকল্পনা নেন শেফালী। ২০১৪ সালে বিয়ের পর বিষয়টি স্বামীকেও জানান। সেখান থেকে উৎসাহ পেয়ে টাকা জমিয়ে ২০১৯ সালে অ্যাম্বুলেন্স কিনে সেবা কার্যক্রম শুরু করেন। স্বামীর সহযোগিতায় ৩ লাখ টাকায় গাড়ি কিনেন এবং মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চালক নিয়োগ দেন। আর ফোন নম্বর দিয়ে সেবা নিতে প্রচার চালান।
মেয়ের এই কাজে গর্বিত শেফালীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে যে সেবা করছে তা এক মহৎ কাজ। আমি দোয়া করি, সে যেন আমৃত্যু মানুষের সেবা করতে পারে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন জানান, শেফালীর অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেক রোগী হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া করোনার শুরুতে নমুনা সংগ্রহ করে তা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য কোনো গাড়ি পাওয়া যায়নি। তখন শেফালীর অ্যাম্বুলেন্স সেই সেবা দিয়ে সংকটের মুহূর্তে সহযোগিতা করেছে।
বড়াইগ্রাম ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ভালো কাজে প্রয়োজনে সহযোগিতা দিয়ে এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় উৎসাহিত করা হবে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে দরিদ্র প্রসূতি ও অসহায় রোগীদের বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্সসেবা দিচ্ছেন শেফালী খাতুন (৩৬) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা। ২০১৯ সাল থেকে চলা এই কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ২৪০ জন রোগী উপকার পেয়েছেন।
শেফালী উপজেলার নগর ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের ময়লাল হোসেনের স্ত্রী ও মেরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জালোড়া গ্রামের আবুল হোসেন জানান, তাঁর বাবার অবস্থা মুমূর্ষু হলেও করোনা আতঙ্কে কোনো গাড়ি হাসপাতালে নিতে রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে শেফালীর অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ায় সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান আবুল হোসেনের বাবা।
একই রকম উপকার পেয়েছেন পাঁচবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর রমজান আলী। তিনি বলেন, ‘আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারলে স্ত্রী-সন্তান দুজনেরই প্রাণ সংহারের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দরিদ্র মানুষ, অ্যাম্বুলেন্স ডাকার সাহস হচ্ছিল না। অবশেষে শেফালীর অ্যাম্বুলেন্সসেবায় আমার পরিবারের নতুন অতিথি আলোর মুখ দেখেছে।’
ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবা করার প্রবল ইচ্ছা কাজ করত শেফালীর মধ্যে। তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ অসুস্থ অবস্থায় সময়মতো হাসপাতালে যেতে পারত না। বিষয়টি আমাকে পীড়া দিত। আমার বিদ্যালয়ের পাশে একজন মুদি দোকানি ছিলেন। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে কথা হতো। হঠাৎ শুনি সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারার কারণে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনা আমাকে খুব নাড়া দেয়।’
তখনই গ্রামের মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে কিছু একটা করার পরিকল্পনা নেন শেফালী। ২০১৪ সালে বিয়ের পর বিষয়টি স্বামীকেও জানান। সেখান থেকে উৎসাহ পেয়ে টাকা জমিয়ে ২০১৯ সালে অ্যাম্বুলেন্স কিনে সেবা কার্যক্রম শুরু করেন। স্বামীর সহযোগিতায় ৩ লাখ টাকায় গাড়ি কিনেন এবং মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চালক নিয়োগ দেন। আর ফোন নম্বর দিয়ে সেবা নিতে প্রচার চালান।
মেয়ের এই কাজে গর্বিত শেফালীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে যে সেবা করছে তা এক মহৎ কাজ। আমি দোয়া করি, সে যেন আমৃত্যু মানুষের সেবা করতে পারে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন জানান, শেফালীর অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেক রোগী হাসপাতালে আসেন। এ ছাড়া করোনার শুরুতে নমুনা সংগ্রহ করে তা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য কোনো গাড়ি পাওয়া যায়নি। তখন শেফালীর অ্যাম্বুলেন্স সেই সেবা দিয়ে সংকটের মুহূর্তে সহযোগিতা করেছে।
বড়াইগ্রাম ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ভালো কাজে প্রয়োজনে সহযোগিতা দিয়ে এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় উৎসাহিত করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪