সাইফুল মাসুম, ঢাকা
প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চায়না
মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি।
চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে। তবে প্রয়োজনীয় বর্জ্য সরবরাহ করতে না পারলে উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রতি টন ঘাটতি বর্জ্যের জন্য এক হাজার টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে চায়না কোম্পানিকে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রাজধানীর গাবতলীসংলগ্ন আমিনবাজার এলাকার ডিএনসিসির জমিতে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি) ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। এতে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করবে সিটি করপোরেশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ ময়লা ও আবর্জনা প্রয়োজন হবে, তা সরবরাহ করতে পারলে শহরে ময়লার সমস্যা থাকবে না। তবে এত বর্জ্য সরবরাহ করতে পারবে কি না, তা নিয়েও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঢাকার বর্জ্যের মধ্যে পচনশীল পদার্থ অনেক বেশি থাকে। এসব বর্জ্যের দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা বা ক্যালোরিফিক ভ্যালু খুবই কম। এটা সহজে পুড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শফিকুর রহমান জানান, প্রকল্পের অগ্রগতি বেশ ভালো। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ডিএনসিসি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। জমি অধিগ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি ব্যয় করেছে ৩৩৬ কোটি টাকা। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও চালুর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।
প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে গেজেট হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত বর্জ্যের ৮০ শতাংশ পচনশীল বলে জানিয়েছেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্জ্যের মধ্যে জৈবিকভাবে পচনশীল পদার্থ অনেক বেশি। এটা সহজে পুড়বে না। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী এত বর্জ্য দিতে পারবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’
ড. ইজাজ হোসেন আরও জানান, জৈব বর্জ্যে প্রচুর পানি থাকে। এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক জটিল প্রক্রিয়া এবং ব্যয়বহুল। ফলে এই প্রকল্পে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে বরং কম্পোস্ট সার তৈরি করা যেতে পারে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ওই জমিতে মাটি ভরাট করে চায়না কোম্পানিকে হস্তান্তর করে দেব। ওই কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, তাদের জায়গা আর বর্জ্য দিতে হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, তারা বিদ্যুৎ কিনে নেবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যার বর্জ্য সম্পদে রূপ নেবে।’
প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চায়না
মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি।
চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে। তবে প্রয়োজনীয় বর্জ্য সরবরাহ করতে না পারলে উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রতি টন ঘাটতি বর্জ্যের জন্য এক হাজার টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে চায়না কোম্পানিকে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রাজধানীর গাবতলীসংলগ্ন আমিনবাজার এলাকার ডিএনসিসির জমিতে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি) ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। এতে প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য সরবরাহ করবে সিটি করপোরেশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ ময়লা ও আবর্জনা প্রয়োজন হবে, তা সরবরাহ করতে পারলে শহরে ময়লার সমস্যা থাকবে না। তবে এত বর্জ্য সরবরাহ করতে পারবে কি না, তা নিয়েও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঢাকার বর্জ্যের মধ্যে পচনশীল পদার্থ অনেক বেশি থাকে। এসব বর্জ্যের দাহ্য হওয়ার ক্ষমতা বা ক্যালোরিফিক ভ্যালু খুবই কম। এটা সহজে পুড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শফিকুর রহমান জানান, প্রকল্পের অগ্রগতি বেশ ভালো। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ডিএনসিসি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। জমি অধিগ্রহণে ঢাকা উত্তর সিটি ব্যয় করেছে ৩৩৬ কোটি টাকা। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও চালুর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।
প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন আজকের পত্রিকা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে গেজেট হতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত বর্জ্যের ৮০ শতাংশ পচনশীল বলে জানিয়েছেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্জ্যের মধ্যে জৈবিকভাবে পচনশীল পদার্থ অনেক বেশি। এটা সহজে পুড়বে না। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী এত বর্জ্য দিতে পারবে কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’
ড. ইজাজ হোসেন আরও জানান, জৈব বর্জ্যে প্রচুর পানি থাকে। এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক জটিল প্রক্রিয়া এবং ব্যয়বহুল। ফলে এই প্রকল্পে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে বরং কম্পোস্ট সার তৈরি করা যেতে পারে।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ওই জমিতে মাটি ভরাট করে চায়না কোম্পানিকে হস্তান্তর করে দেব। ওই কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, তাদের জায়গা আর বর্জ্য দিতে হবে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, তারা বিদ্যুৎ কিনে নেবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যার বর্জ্য সম্পদে রূপ নেবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪