Ajker Patrika

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে গৃহবধূ হাসপাতালে

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১১: ২২
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে গৃহবধূ হাসপাতালে

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে আহত এক গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্বামীকেও গাছের সঙ্গে বেঁধে সন্তানদের সামনে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার বিকেলে বরগুনার সদর উপজেলার লেমুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে ভুক্তভোগী রশোনা ও তাঁর স্বামী ফোরকান আকনকে উদ্ধার করে। গৃহবধূ রশোনা বর্তমানে তাঁর বাবার বাড়ি কলাপাড়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

ফোরকান বলেন, ‘কাজের সুবাদে আমি কলপাড়ার পাখিমারায় শ্বশুর বাড়িতে থাকি। আমার স্ত্রী রশোনা থাকে বরগুনায়। এ সুযোগে আমার বড় বোনের স্বামী সোবাহান মল্লিক ও মেজ বোনের স্বামী শহীদুল শিকদার আমার স্ত্রীকে বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দেয়। আমি বিষয়টি জানার পর বোনদের জানাই। কিন্তু তাঁরা উল্টো আমার স্ত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সে সময় আমাকেও গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।’

মারধরের ঘটনার সঙ্গে বড় বোন রিনা বেগম ও তাঁর স্বামী সোবাহান, মেজ বোন হেনা বেগম ও তাঁর স্বামী শহিদুল শিকদার, সেজ বোন আফসানা বেগম ও তাঁর স্বামী বেল্লাল তালুকদার, ছোট বোন রেকসোনা বেগম ও তাঁর স্বামী উজ্জ্বল এবং বড় দুলাভাইয়ের ছোট বোন মনি বেগম জড়িত বলে জানায় ফোরকান। তিনি বলেন, ‘তাঁরা আমার স্ত্রীকে কিল, ঘুষিসহ লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে অজ্ঞান করে ফেলে।’

রশোনার চাচা নজরুল ইসলাম জানান, এর আগেও তাঁর ভাইজিকে ননদেরা মারধর করেছেন। তবে এবার রশোনাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোবাহান ও বেল্লালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, ‘যেহেতু ঘটনা বরগুনার, মামলাও বরগুনা থানায় করতে হবে। তবে আমার কাছে এলে আইনি পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত