সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
পর্যটকের সমাগম বাড়ায় খাগড়াছড়িতে গড়ে উঠছে নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ। প্রকৃতিবান্ধব এসব রেস্তোরাঁ পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে। শহর থেকে কিছুটা দূরে প্রকৃতির ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা এসব রেস্তোরাঁয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবারও পরিবেশন করা হয়। চাহিদা থাকায় বর্তমানে জেলায় এ ধরনের রেস্তোরাঁর সংখ্যা বাড়ছে অনেক।
খাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ড’ সড়কে গড়ে ওঠা অন্যতম প্রকৃতিবান্ধব রেস্তোরাঁ ‘ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোড’ সরেজমিন দেখা গেছে, পর্যটকদের বাড়তি ভিড় এখানে। মধ্যাহ্নভোজে অসংখ্য পর্যটক আসছেন।
বেড়াতে আসা পর্যটক সুপর্ণা পাল বলেন, ‘এখানকার প্রাকৃতিক ও নৈর্সগিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে এই রেস্টুরেন্টের খবর পেয়েছি। এখানকার খাবার তালিকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন নিজস্ব রেসিপি ছিল। সচরাচর বাইরের রেস্তোরাঁয় এসব খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশও বেশ উপভোগ্য, বিশেষ করে শহরের রেস্তোরাঁগুলো চেয়ে এসব রেস্তোরাঁর খাবারের মান ভালো।’
খাগড়াছড়ির আরেক জনপ্রিয় খাবারঘর ‘ম্যাগনেট ক্যাফে’। বাহারি গাছের নার্সারিতে এটি গড়ে তোলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রিয় চাকমা। এখানে বসে পাহাড় দর্শন করা যায়। সবুজ গাছ এবং ফুলে ঘেরা এই রেস্তোরাঁ মানুষের মনের খোরাকও মেটায়। নার্সারিতে ফুটে আছে অন্তত ৫০ প্রজাতির ফুল।
এখানে খেতে আসা সাহানা সেতু ও পিংকি ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে। শহরের প্রচলিত রেস্টুরেন্টের চেয়ে এসব রেস্টুরেন্টের বড় পার্থক্য হলো এ জায়গার নৈসর্গিক প্রকৃতি। রেস্টুরেন্টে বসে পাহাড় দেখা যায়। চারপাশ বিভিন্ন ফুলে ভরা। এমন পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এখানকার খাবারের মানও ভালো।’
নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠায় এখানে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। জেলায় এ ধরনের প্রকৃতিবান্ধব রেস্তোরাঁর সংখ্যা ১০। এসব রেস্টুরেন্টে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোডে কর্মরত মংশিপ্রু মারমা ও স্মৃতিময় ত্রিপুরা বলছেন, এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে তাঁদের। আগে তাঁরা বেকার ছিলেন। এখানে কাজ করে ভালো বেতনও পাচ্ছেন তাঁরা। পরিবারকেও সহযোগিতা করা যাচ্ছে। নিজেদের পড়াশোনার খরচও চালানো যাচ্ছে।
পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। শহরের গণ্ডির বাইরে প্রকৃতির কাছাকাছি এসব রেস্তোরাঁ গড়ে তোলায় পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।
পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। এরপর থেকে পর্যটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসার বিকাশ হয়েছে।
ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোডের উদ্যোক্তা সদক চাকমা বলেন, ‘পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রকৃতির মাঝেই রেস্টুরেন্টগুলো গড়ে তুলেছি। এখানে প্রকৃতি উপভোগ করতে পর্যটকেরা খাবার খেতে পারে। পর্যটকদের কাছে এ ধরনের রেস্তোরাঁর প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে। খাগড়াছড়িতে পর্যটক সমাগম বাড়ায় এ ধরনের রেস্তোরাঁর সংখ্যাও বাড়ছে।’
ম্যাগনেট ক্যাফের উদ্যোক্তা প্রিয় চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পর্যটন অর্থনীতি বিকাশমান। এখানে পর্যটকদের ভিন্ন রকমের পরিবেশ দিতেই প্রকৃতির মাঝে নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে। এসব রেস্টুরেন্টে খাবারের পাশাপাশি প্রকৃতিও পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। প্রতি মাসেই এখানকার পর্যটন খাতে অন্তত ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। পর্যটকদের কাছেইকো রেস্টুরেন্টগুলো পছন্দের শীর্ষে। প্রচলিত ‘বাংলা খাবার’-এর বাইরে এসব রেস্তোরাঁয় স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাবারের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।’
পর্যটকের সমাগম বাড়ায় খাগড়াছড়িতে গড়ে উঠছে নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ। প্রকৃতিবান্ধব এসব রেস্তোরাঁ পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে। শহর থেকে কিছুটা দূরে প্রকৃতির ছোঁয়ায় গড়ে ওঠা এসব রেস্তোরাঁয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবারও পরিবেশন করা হয়। চাহিদা থাকায় বর্তমানে জেলায় এ ধরনের রেস্তোরাঁর সংখ্যা বাড়ছে অনেক।
খাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ড’ সড়কে গড়ে ওঠা অন্যতম প্রকৃতিবান্ধব রেস্তোরাঁ ‘ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোড’ সরেজমিন দেখা গেছে, পর্যটকদের বাড়তি ভিড় এখানে। মধ্যাহ্নভোজে অসংখ্য পর্যটক আসছেন।
বেড়াতে আসা পর্যটক সুপর্ণা পাল বলেন, ‘এখানকার প্রাকৃতিক ও নৈর্সগিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে এই রেস্টুরেন্টের খবর পেয়েছি। এখানকার খাবার তালিকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন নিজস্ব রেসিপি ছিল। সচরাচর বাইরের রেস্তোরাঁয় এসব খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশও বেশ উপভোগ্য, বিশেষ করে শহরের রেস্তোরাঁগুলো চেয়ে এসব রেস্তোরাঁর খাবারের মান ভালো।’
খাগড়াছড়ির আরেক জনপ্রিয় খাবারঘর ‘ম্যাগনেট ক্যাফে’। বাহারি গাছের নার্সারিতে এটি গড়ে তোলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রিয় চাকমা। এখানে বসে পাহাড় দর্শন করা যায়। সবুজ গাছ এবং ফুলে ঘেরা এই রেস্তোরাঁ মানুষের মনের খোরাকও মেটায়। নার্সারিতে ফুটে আছে অন্তত ৫০ প্রজাতির ফুল।
এখানে খেতে আসা সাহানা সেতু ও পিংকি ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে। শহরের প্রচলিত রেস্টুরেন্টের চেয়ে এসব রেস্টুরেন্টের বড় পার্থক্য হলো এ জায়গার নৈসর্গিক প্রকৃতি। রেস্টুরেন্টে বসে পাহাড় দেখা যায়। চারপাশ বিভিন্ন ফুলে ভরা। এমন পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এখানকার খাবারের মানও ভালো।’
নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠায় এখানে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। জেলায় এ ধরনের প্রকৃতিবান্ধব রেস্তোরাঁর সংখ্যা ১০। এসব রেস্টুরেন্টে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোডে কর্মরত মংশিপ্রু মারমা ও স্মৃতিময় ত্রিপুরা বলছেন, এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে তাঁদের। আগে তাঁরা বেকার ছিলেন। এখানে কাজ করে ভালো বেতনও পাচ্ছেন তাঁরা। পরিবারকেও সহযোগিতা করা যাচ্ছে। নিজেদের পড়াশোনার খরচও চালানো যাচ্ছে।
পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। শহরের গণ্ডির বাইরে প্রকৃতির কাছাকাছি এসব রেস্তোরাঁ গড়ে তোলায় পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।
পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। এরপর থেকে পর্যটনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসার বিকাশ হয়েছে।
ব্যাম্বুশুট ইকো ফুড কোডের উদ্যোক্তা সদক চাকমা বলেন, ‘পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রকৃতির মাঝেই রেস্টুরেন্টগুলো গড়ে তুলেছি। এখানে প্রকৃতি উপভোগ করতে পর্যটকেরা খাবার খেতে পারে। পর্যটকদের কাছে এ ধরনের রেস্তোরাঁর প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে। খাগড়াছড়িতে পর্যটক সমাগম বাড়ায় এ ধরনের রেস্তোরাঁর সংখ্যাও বাড়ছে।’
ম্যাগনেট ক্যাফের উদ্যোক্তা প্রিয় চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পর্যটন অর্থনীতি বিকাশমান। এখানে পর্যটকদের ভিন্ন রকমের পরিবেশ দিতেই প্রকৃতির মাঝে নতুন নতুন ইকো রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে। এসব রেস্টুরেন্টে খাবারের পাশাপাশি প্রকৃতিও পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, খাগড়াছড়ি এখন পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। প্রতি মাসেই এখানকার পর্যটন খাতে অন্তত ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। পর্যটকদের কাছেইকো রেস্টুরেন্টগুলো পছন্দের শীর্ষে। প্রচলিত ‘বাংলা খাবার’-এর বাইরে এসব রেস্তোরাঁয় স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাবারের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪