Ajker Patrika

আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ‘বিএনপির হামলা’

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আ.লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ‘বিএনপির হামলা’

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইদ্রিস আলী ও শওকত মিয়া নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। দুজনই বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে।

গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চলা সভায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের। ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর বাজারে চলছিল এই সভা। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাটগোবিন্দপুর বাজারে দলীয় বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আলোচনা করছিলেন।

এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় খারনৈ ইউনিয়নের যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম হোসেন লিমন, আজিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদস্য রবিকুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল মিয়া, ওয়াসিম উদ্দিন, খারনৈ কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক মিয়াসহ অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে সাতজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অন্যরা নিজ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম, রবিকুল মিয়া ও শরিফুল মিয়া নামের তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়ত্রী দেবনাথ তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। 
এ ব্যাপারে খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কলি আক্তারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তাদের ১০ নেতা-কর্মীকে আহত হন।’

আহত কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক মিয়া বলেন, ‘হাটগোবিন্দপুর বাজারে আওয়ামী লীগ অফিসে আমরা মিটিং করছিলাম। হঠাৎ অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা নিরস্ত্র ছিলাম। তাই প্রতিরোধ করতে পারিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকার পরও বিএনপির নেতা-কর্মীদের হাতে বারবার মার খেতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।’

কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কলি আক্তার বলেন, ‘গোবিন্দপুর বাজারে তার ভাইয়ের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া ও স্থানীয় বিএনপি নেতা লতিফ মিয়ার দোকানে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়।

পরে তারা বাউশাম বাজারে গিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়সহ চার-পাঁচটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় তাদের চার নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হাতে আহত হন। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।’

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরাই অহেতুক আমাদের শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হন।’

খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক বলেন, বুধবার সারাদিন কলমাকান্দা শহরে ছিলেন। মারামারির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু তাঁর অফিসসহ পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত