Ajker Patrika

বুড়িগঙ্গার দূষণে হতাশ নদী রক্ষা কমিশন

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বেনজির আহমেদ চৌধুরী বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ পরিস্থিতিতে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের যেমন স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকার রয়েছে, নদীরও স্বাভাবিক গতিপথে প্রবাহ হওয়ার অধিকার রয়েছে। অথচ আমরা ব্যক্তিস্বার্থে নদীকে দখল ও দূষণ করে নদীর প্রবাহ নষ্ট করে ফেলি।’ গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে এক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কেরানীগঞ্জের অংশে বুড়িগঙ্গা নদীর কিছু এলাকার দূষণের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরবরাহ করে ব্যবস্থার নির্দেশ দিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় আড়াই মাস পর গত সপ্তাহে সেসব এলাকার তথ্য নিয়ে দেখা যায়, দূষণরোধ না হয়ে বরং আরও বেড়েছে।’ 
এ সময় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জবাবদিহি করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষা কমিশন কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়, তবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। আমাদের প্রধান কাজই হচ্ছে, যেখানে নদী দূষিত হচ্ছে আমরা সেখানে যাচ্ছি। রাষ্ট্রের যত প্রশাসন আছে তাদের নদী দূষণরোধে কাজ করতে নির্দেশ প্রদান করতে পারি। প্রশাসন যদি আমাদের কথা না শোনে বা কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও অ্যাকশনে যেতে পারি।’  

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নদী রক্ষা কমিটি, পরিবেশ ও বন এবং পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা সংরক্ষণ কমিটির বিশেষ সভায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী 
রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সার্কেল আমেনা মারজানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে নদী দূষণরোধ করা সম্ভব। এ সময় বাড়িঘরের বর্জ্য সুয়্যারেজ লাইনের মাধ্যমে খালে-নদীতে না ফেলে প্রতিটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়ি মিলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে তরল বর্জ্য পরিশোধনের পর খালে-নদীতে 
ফেলা যেতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত