Ajker Patrika

আগাম বন্যা ও শীতসহিষ্ণু ধানের প্লট হবিগঞ্জে

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ১৬
আগাম বন্যা ও শীতসহিষ্ণু ধানের প্লট হবিগঞ্জে

তিন বছরে একবার আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় হাওরাঞ্চলের ধান। আবার আগাম চাষ করলে শীতের কবলে পড়ে ধান হয়ে যায় চিটা। এ সমস্যা সমাধানে এবার শীতসহিষ্ণু নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন হয়েছে। উদ্ভাবিত নতুন এ জাত যেমন শীতসহিষ্ণু, তেমনি ফলনও আশানুরূপ হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন এই জাত উদ্ভাবনে কাজ করে; যা পরীক্ষণ প্লট পরিদর্শন হচ্ছে হবিগঞ্জের নাগুড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে।

নতুন এই জাতের ধানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০।’

সম্প্রতি পরীক্ষণ প্লট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবির ও ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। এ সময় তাঁরা নতুন এই জাতে ব্যাপক সম্ভাবনার কথা জানান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির বলেন, ‘প্রতি তিন বছরে একবার মার্চ মাসের চৈতালি আর এপ্রিলের বৈশাখী ঢলে হাওর এলাকার ফসল তলিয়ে যায়। আবার আগাম চাষ করলে শীতের কবলে ধান চিটা হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাত উদ্ভাবনে কাজ শুরু করে। এতে সফলতা এসেছে।’

শাহজাহান কবির আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে এর পরীক্ষণ প্লট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিশোরগঞ্জের নিকলীর হাওর, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা বাকাটিয়ার হাওর, বানিয়াচং উপজেলার মকার হাওর, নবীগঞ্জ উপজেলার গুঙ্গিয়াজুরী হাওর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর, শনির হাওর ও মাটিয়ান হাওর।’

শাহজাহান কবির আরও বলেন ‘আপনারা জানেন হাওরে কৃষকেরা বেশি ফলন চান। তাঁরা প্রতি হেক্টরে সাত-আট মেট্রিক টন ফলন চান। সে হিসাবে এ হেক্টরপ্রতি সাত টন ফলন হবে। আমরা এই ধান নিয়ে আরও গবেষণা করব। এর ফলন যেন ৮ থেকে ৯ বা ১০ মেট্রিক টনে নিয়ে যাওয়া যায়, সে চেষ্টা আমাদের থাকবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি জাত অবমুক্ত করা হবে। যেগুলোর ফলন আরও বেশি হবে।’

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পরীক্ষণ ফিল্ডে নতুন এই জাতের বেশ কয়েকটি লাইন দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। তাই এই জাতটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। শিগগির এই ধান নতুন জাত হিসেবে অবমুক্ত করা হবে। এতে হাওরের কৃষক ভাইয়েরা উপকৃত হবেন।’

ড. মো. মোজাম্মেল হক জানান, ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ জাতের ফসলের মেয়াদ হবে ব্রি ২৮ ধানের মতো ১৫০ দিন। শীতসহনীয় হওয়ায় অক্টোবরেই এর বীজতলা তৈরি করা যায়। এতে শীতে বীজতলার কোনো ক্ষতি হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত