Ajker Patrika

অবৈধ যানে বেহাল সড়ক প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
অবৈধ যানে বেহাল সড়ক প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ফসলি জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রলি। আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোয় দাপিয়ে চলছে এসব যানবাহন। এতে বেহাল হয়ে পড়ছে বিভিন্ন সড়ক। ট্রলির ধাক্কায় প্রাণ গেছে অনেকেরই। পঙ্গু হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপ্রাপ্ত ও অদক্ষ চালকের কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে সচেতন মহল। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

জানা গেছে, ট্রলির মালিকেরা খরচ বাঁচাতে অপেক্ষাকৃত কম বেতনে অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের নিয়োগ দেন। এসব চালকের বেশির ভাগরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। নেই কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ। অন্যদের দেখেই কোনো রকমে ট্রলি চালানো শিখেছেন তাঁরা।কিন্তু চালকের আসনে বসে তাঁরাই নামছেন বেপরোয়া গতিতে ট্রলি নিয়ে ছুটে চলার প্রতিযোগিতায়। এতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া, ট্রলির দৌরাত্ম্যে সড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ধুলাবালির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

চলতি বছরের ১৫ মার্চ কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসনের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় নদী থেকে বালু উত্তোলন, ফসলি জমির মাটি কাটা ও অবৈধ ট্রলির অবাধ চলাচল নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

গত ৪ এপ্রিল বিকেলে বেপরোয়া গতির একটি ট্রলির চাপায় মো. কবির হোসেন সিকদার (৫৮) নামের পথচারী নিহত হন। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নাশেরা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার দিন রানীগঞ্জ-গাজীপুর সড়কের গোসাইরগাঁও মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কবিরকে চাপা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। কাপাসিয়ার পাবুর এলাকায় ইটভর্তি ট্রলি উল্টে মারা যান দুজন দিনমজুর।

কাপাসিয়ার সদর ইউনিয়ন ট্রলি মালিক সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কোনো কমিটি নেই। যে যার মতো চলছে।’

কথা হলে উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, কম দামে ট্রাক্টর কিনে সেটিকে ট্রলিতে রূপান্তর করে দেদার ব্যবহার করা হচ্ছে।

গাজীপুর আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবলু বলেন, এই যানবাহনগুলোর (ট্রলি) সরকারি কোনো নিবন্ধন নেই।

কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, মাঝেমধ্যেই অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। 
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমরা অতীতেও ব্যবস্থা নিয়েছি। শিগগির আবার অভিযান চালানো হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত