Ajker Patrika

কষ্টে কাটছে দিন চা-শ্রমিকের

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৭: ১৫
কষ্টে কাটছে দিন চা-শ্রমিকের

‘আন্দোলনের কারণে কাজে যাচ্ছি না। কাজে না যাওয়ায় মজুরি ও রেশনও পাচ্ছি না। তাই অনেক কষ্টে যাচ্ছে দিন। টানা ১৭ দিন ধরে কাজ বন্ধ। এর মধ্যে দুই দিন সরকারি ছুটি ছিল।

এই দুই দিনের মজুরি ২২৫ টাকা আজকে (বৃহস্পতিবার) পামু। এই টাকা দিয়ে কিতা করমু?’ প্রতিদিন বাচ্চা-কাচ্চারে দুই বেলা ভাত রান্না কইরা দেই, আর নিজেরা পানি খাইয়া দিন কাটাইতাছি।’ আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বেগমখান চা-বাগানের শ্রমিক মণি সাধু। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী—দুজনই ওই শ্রমিক।তাঁদের আয়েই চলে পরিবার।

একই বাগানের শ্রমিক সুমি বাগতির গল্পটাও একই রকম। ৫ বছর আগে স্বামীকে হারানো সুমির দুই ছেলেমেয়েসহ তিন সদস্যের পরিবার চলে তাঁর আয়ে। ১৭ দিন চা-বাগানে কাজ না করায় পাচ্ছেন না চলতি সপ্তাহের মজুরি ও রেশন। ঘরে এক দিনের খাবারও নেই। তাই সুমির কপালে কেবল চিন্তার ভাঁজ।

এর আগে, ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলনে নামে হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানের শ্রমিকেরা। দফায় দফায় বৈঠক করেও বিষয়টির সমাধান হয়নি।

জানা গেছে, প্রতি বৃহস্পতিবার চা-শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি ও রেশন দেওয়া হয়। চুনারুঘাটের চাঁন্দপুর চা-বাগানের কারখানার সামনে তাই ওই দিন বসে মেলা। মিষ্টি-মিঠাইসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার, শিশুদের খেলনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন ক্রেতারা। কিন্তু এবারের বৃহস্পতিবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। শ্রমিকদের মজুরি হবে না, তাই তেমন কোনো দোকান বসেনি।

চাঁন্দপুর চা-বাগানের পঞ্চায়েতপ্রধান সাধন সাওতাল বলেন, ‘সবাই কষ্টে আছে। তবে এই কষ্টের মধ্যেও শ্রমিকেরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায়। আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। তবে নিতান্তই যারা অসহায় বা একেবারেই চলতে পারছে না। তাদের পঞ্চায়েত কমিটির ফান্ড থেকে সহযোগিতা করার আলোচনা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত