কামরুল হাসান, ধোবাউড়া
নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ ও নদী। সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায়ও রয়েছে অন্তত ১০টি নদী। কিন্তু দখল, দূষণ এবং নাব্য হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে সেই সব নদ-নদী। মরা খালে পরিণত হয়ে মানচিত্র থেকে এসব নদ-নদী এখন মুছে যাওয়ার মুখে। অনেক স্থানে নাব্য হারিয়ে নদীগুলো বালুচরে পরিণত হচ্ছে। ফলে আগের মতো মেলে না দেশি মাছ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টি নদীর মাঝে প্রধান দুই নদী কংশ এবং নেতাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এক সময় উপজেলার গোয়াতলা বাজার থেকে পোড়াকান্দুলিয়া বাজার পর্যন্ত কংশ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করত। নদী পথে বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। এখন বর্ষায় কিছুদিনে আগের মতো নদীপথে কিছু নৌযান চলাচল করতে দেখা গেলেও অন্য মৌসুমে নদীর বুকে থাকে বালুচর।
আগের মতো সেই বিশাল জলরাশিরও দেখা মেলে না। নদীগুলোর মধ্যে নেতাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে করুন। স্নিগ্ধ, স্রোতস্বিনী নেতাই নদীর সেই জৌলুশ আর নেই। নেই তর্জন-গর্জন। বিভিন্ন স্থানে দখল, দূষণ ও নাব্য সংকটে বিলীনের পথে নদী। কিছু প্রভাবশালীদের দখল আর খননের কোনো উদ্যোগ না থাকায় মরা খালে পরিণত হচ্ছে নেতাই নদী।
এদিকে নদীতে পানি না থাকায় কৃষি নির্ভর এলাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বর্ষাকালে বন্যার পানি তোড়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন নদীপাড়ের মানুষ। নদীতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকলে বন্যার সৃষ্টি হতো না বলে মনে করেন নদীপাড়ের মানুষ। অপরদিকে সেচ মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কৃষকেরা।
তারাইকান্দি গ্রামের কৃষক মৌলাম হোসেন বলেন, ‘তারাই নদী থেকে ফসলের জন্য পানি দিয়ে ফসল ফলাতাম। কিন্তু নদী ভরাট হয়ে দখল হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবস্থা এখন আর নেই।’
জানা গেছে, ধোবাউড়া উপজেলার সাতারখালি, ঘাগটিয়া, তারাই, সুতিয়া, গুদাইরা, প্যাছাইসহ অন্তত ১০টি নদী রয়েছে। এই নদীগুলোর বুকে এখন কেউ কেউ ধান ও কৃষিপণ্য রোপণ করে দখল করে নিয়েছেন। অনেকে ঘের দিয়ে পানি আটকিয়ে মাছ শিকার করছেন। সরেজমিনে প্রায় সবগুলো নদীতেই এই চিত্র দেখা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভারত থেকে প্যাছাই নদীতে পানি আসলে কৃষকেরা অনেক সুবিধা পান। নদী খনন করা হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে খননের ব্যবস্থা করব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান বলেন, ‘নদী খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি খনন করা সম্ভব হবে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে দু-একটা ছোট নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি।’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ ও নদী। সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায়ও রয়েছে অন্তত ১০টি নদী। কিন্তু দখল, দূষণ এবং নাব্য হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে সেই সব নদ-নদী। মরা খালে পরিণত হয়ে মানচিত্র থেকে এসব নদ-নদী এখন মুছে যাওয়ার মুখে। অনেক স্থানে নাব্য হারিয়ে নদীগুলো বালুচরে পরিণত হচ্ছে। ফলে আগের মতো মেলে না দেশি মাছ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০টি নদীর মাঝে প্রধান দুই নদী কংশ এবং নেতাই উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এক সময় উপজেলার গোয়াতলা বাজার থেকে পোড়াকান্দুলিয়া বাজার পর্যন্ত কংশ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করত। নদী পথে বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। এখন বর্ষায় কিছুদিনে আগের মতো নদীপথে কিছু নৌযান চলাচল করতে দেখা গেলেও অন্য মৌসুমে নদীর বুকে থাকে বালুচর।
আগের মতো সেই বিশাল জলরাশিরও দেখা মেলে না। নদীগুলোর মধ্যে নেতাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে করুন। স্নিগ্ধ, স্রোতস্বিনী নেতাই নদীর সেই জৌলুশ আর নেই। নেই তর্জন-গর্জন। বিভিন্ন স্থানে দখল, দূষণ ও নাব্য সংকটে বিলীনের পথে নদী। কিছু প্রভাবশালীদের দখল আর খননের কোনো উদ্যোগ না থাকায় মরা খালে পরিণত হচ্ছে নেতাই নদী।
এদিকে নদীতে পানি না থাকায় কৃষি নির্ভর এলাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বর্ষাকালে বন্যার পানি তোড়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন নদীপাড়ের মানুষ। নদীতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকলে বন্যার সৃষ্টি হতো না বলে মনে করেন নদীপাড়ের মানুষ। অপরদিকে সেচ মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কৃষকেরা।
তারাইকান্দি গ্রামের কৃষক মৌলাম হোসেন বলেন, ‘তারাই নদী থেকে ফসলের জন্য পানি দিয়ে ফসল ফলাতাম। কিন্তু নদী ভরাট হয়ে দখল হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবস্থা এখন আর নেই।’
জানা গেছে, ধোবাউড়া উপজেলার সাতারখালি, ঘাগটিয়া, তারাই, সুতিয়া, গুদাইরা, প্যাছাইসহ অন্তত ১০টি নদী রয়েছে। এই নদীগুলোর বুকে এখন কেউ কেউ ধান ও কৃষিপণ্য রোপণ করে দখল করে নিয়েছেন। অনেকে ঘের দিয়ে পানি আটকিয়ে মাছ শিকার করছেন। সরেজমিনে প্রায় সবগুলো নদীতেই এই চিত্র দেখা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ভারত থেকে প্যাছাই নদীতে পানি আসলে কৃষকেরা অনেক সুবিধা পান। নদী খনন করা হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে খননের ব্যবস্থা করব।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিকুজ্জামান বলেন, ‘নদী খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি খনন করা সম্ভব হবে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, ‘কৃষকদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে দু-একটা ছোট নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪