আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পণ্য খালাসে আমদানিকারকদের কথায় কথায় জরিমানা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় অনুরোধ বা আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। অপ্রয়োজনীয় নথিও কমিশনার পর্যন্ত পাঠিয়ে আমদানিকারকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, দপ্তরে দপ্তরে স্বাক্ষরের নামে সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ নিয়ে ‘চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ ও তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে একাধিকবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের কাছে পত্র দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে হয়রানি বন্ধ ও ব্যবসা সহজীকরণের দাবি জানিয়ে চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর চিঠি দেন। সমস্যা সমাধানে চিঠিতে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। আবেদনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যিক পণ্যের শ্রেণি (এইচএস কোড) নির্ধারণে হয়রানির নানা দিক তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া গত ৩০ অক্টোবর বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে কাস্টমসে হয়রানি বন্ধে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে চিঠি দেন।
সম্প্রতি ঢাকার কাকরাইলের আমদানিকারক কর্ণফুলী লিমিটেড সিঙ্গাপুর থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করে। এই জুতার চালান খালাস করতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন ৩১ আগস্ট। কিন্তু চালানটি খালাসে এক মাসের বেশি সময় লাগে।
এই চালানের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুল্কায়ন সম্পন্ন করতে বারবার নথিটি এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে চালাচালি হয়েছে। শুধু নথিটি শুল্কায়নে ২৬ কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেছেন। নথিটি কমিশনারের কাছে গেলে তিনি লেখেন, ‘এটি কমিশনারের কাছে প্রেরণের কারণ কী? এতেও বোঝা যায়, নথিটিতে আমদানিকারক হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত ৪ অক্টোবর চালানটি খালাস করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক মেসার্স কর্ণফুলী লিমিটেডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের আমদানি পণ্যের সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড এবং ট্যারিফ ভ্যালু থাকা সত্ত্বেও বাজারদরের নামে উচ্চমূল্যে শুল্কায়ন করা হয়। ফলে ব্যবসায়িকভাবে আমরা হয়রানির শিকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
এভাবে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার আমদানিকারক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘ফিল্টার ক্লথ’–এর (ফিল্টারের পানি ছাঁকার কাপড়) একটি চালান আমদানি করেন। চালানটি গতকাল সোমবার পর্যন্ত এখনো চালানটি শুল্কায়ন হয়নি।
সাইফ পাওয়ারটেকের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চালনটির সঠিক এসএইচ কোড থাকা সত্ত্বেও কাস্টমসের হয়রানির কারণে খালাস করতে পারিনি।’
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি করি। এইচএস কোড নিয়ে অন্যায়ভাবে বেশি টাকা দাবি করে কাস্টমস হয়রানি করছে।’
চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, আমদানিকারকেরা কাস্টমসের কিছু কর্মকর্তার কাছে হয়রানির শিকার।
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের প্রসিডিউর (প্রক্রিয়া)।
এতে আমদানিকারক হয়রানি মনে করতে পারেন।’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে পণ্য খালাসে আমদানিকারকদের কথায় কথায় জরিমানা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় অনুরোধ বা আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। অপ্রয়োজনীয় নথিও কমিশনার পর্যন্ত পাঠিয়ে আমদানিকারকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, দপ্তরে দপ্তরে স্বাক্ষরের নামে সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ নিয়ে ‘চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ ও তৈরি পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে একাধিকবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের কাছে পত্র দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে হয়রানি বন্ধ ও ব্যবসা সহজীকরণের দাবি জানিয়ে চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর চিঠি দেন। সমস্যা সমাধানে চিঠিতে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। আবেদনে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যিক পণ্যের শ্রেণি (এইচএস কোড) নির্ধারণে হয়রানির নানা দিক তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া গত ৩০ অক্টোবর বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে কাস্টমসে হয়রানি বন্ধে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে চিঠি দেন।
সম্প্রতি ঢাকার কাকরাইলের আমদানিকারক কর্ণফুলী লিমিটেড সিঙ্গাপুর থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করে। এই জুতার চালান খালাস করতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন ৩১ আগস্ট। কিন্তু চালানটি খালাসে এক মাসের বেশি সময় লাগে।
এই চালানের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুল্কায়ন সম্পন্ন করতে বারবার নথিটি এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে চালাচালি হয়েছে। শুধু নথিটি শুল্কায়নে ২৬ কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেছেন। নথিটি কমিশনারের কাছে গেলে তিনি লেখেন, ‘এটি কমিশনারের কাছে প্রেরণের কারণ কী? এতেও বোঝা যায়, নথিটিতে আমদানিকারক হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত ৪ অক্টোবর চালানটি খালাস করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক মেসার্স কর্ণফুলী লিমিটেডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের আমদানি পণ্যের সুনির্দিষ্ট এইচএস কোড এবং ট্যারিফ ভ্যালু থাকা সত্ত্বেও বাজারদরের নামে উচ্চমূল্যে শুল্কায়ন করা হয়। ফলে ব্যবসায়িকভাবে আমরা হয়রানির শিকার ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
এভাবে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার আমদানিকারক সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘ফিল্টার ক্লথ’–এর (ফিল্টারের পানি ছাঁকার কাপড়) একটি চালান আমদানি করেন। চালানটি গতকাল সোমবার পর্যন্ত এখনো চালানটি শুল্কায়ন হয়নি।
সাইফ পাওয়ারটেকের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চালনটির সঠিক এসএইচ কোড থাকা সত্ত্বেও কাস্টমসের হয়রানির কারণে খালাস করতে পারিনি।’
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি করি। এইচএস কোড নিয়ে অন্যায়ভাবে বেশি টাকা দাবি করে কাস্টমস হয়রানি করছে।’
চিটাগাং কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, আমদানিকারকেরা কাস্টমসের কিছু কর্মকর্তার কাছে হয়রানির শিকার।
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার শরফুদ্দিন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমাদের প্রসিডিউর (প্রক্রিয়া)।
এতে আমদানিকারক হয়রানি মনে করতে পারেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪